গাজরের ভরা মৌসুম এখন। দামও বেশ সহনীয়। গাজরের হালুয়া-পায়েস তো হলো অনেক। বরং ফাল্গুনী রং আর ভালোবাসা দিবসের আমেজে ক্ল্যাসিক ক্যারট কেক করতে পারে বাজিমাত। এদিকে পুরুষের রন্ধন পারদর্শিতা নিয়ে কোনোরকম সন্দেহের অবকাশ দূর করার ব্রত নিয়েছেন হাঙ্গেরিবাসী রেজওয়ান ইসলাম।
বাঙালি মায়ের এই ছেলে এখনো বাংলাদেশে না এলেও বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি রয়েছে তাঁর অনেক টান। আর বেকিং ও স্বাস্থ্যসম্মত ডেজার্ট তৈরি করতে খুব ভালোবাসেন তিনি। আজকে তাঁর দেওয়া গাজরের কেকের রেসিপিটি জটিল নয় একেবারেই। তাই ঝটপট বানিয়ে ফেলা যাক মজাদার এই ডেজার্ট।
কেকের জন্য
ব্রাউন সুগার ২০০ গ্রাম
ক্যানোলা তেল ২০০ মিলি
ডিম ৩টি
দানাদার চিনি ১৫০ গ্রাম
মিহি দানার সামুদ্রিক লবণ আধা চা-চামচ
কিশমিশ ৬৫ গ্রাম
মোটা কুচি করা যেকোনো বাদাম ১০০ গ্রাম
দারুচিনি গুঁড়া দেড় চা-চামচ
ভ্যানিলা নির্যাস ১ চা-চামচ
বেকিং সোডা ২ চা-চামচ
সমান অনুপাতে মিশিয়ে নেওয়া সাদা ও হোলগ্রেন আটা ২৫০ গ্রাম
কোরানো গাজর ৩০০ গ্রাম (৫-৬টি)
ফ্রস্টিংয়ের জন্য
ক্রিম চিজ ২২৫ গ্রাম
হেভি হুইপিং ক্রিম ৮০ মিলি
চিনির মিহি গুঁড়া সোয়া কাপ
সব শুকনা উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চেলে নিতে হবে। ডিম, চিনি ও তেল একসঙ্গে ফেটিয়ে নিতে হবে খুব ভালো করে। একটি বড় বাটিতে এবার এর সঙ্গে ভ্যানিলা, কোরানো গাজর, কিশমিশ, বাদাম মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার এতে অল্প অল্প করে শুকনা উপকরণের মিশ্রণ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি পছন্দমতো বেকিং টিনে ঢেলে নিতে হবে। টিনটি আগে থেকে তেল মাখিয়ে বা বেকিং পেপার দিয়ে রাখতে হবে। প্রিহিট করা ওভেনে গাজরের কেক ১৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে। বের করে টিন থেকে বের করে ওয়ায়ার র্যাকে ঠান্ডা করতে দিতে হবে।
ফ্রস্টিংয়ের সব উপকরণ ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে, যাতে ক্রিমি হয়। চিজটি প্রথমেই ফ্রিজ থেকে বের করে কক্ষ তাপমাত্রায় এনে রাখতে হবে।
কেক ঠান্ডা হলে ওপরে ফ্রস্টিং মাখিয়ে নিতে হবে দরাজ হাতে। এবার ফ্রিজে অন্তত ঘণ্টাখানেক রেখে তবে কেটে পরিবেশন করতে হবে ভালোবাসায় মাখামাখি গাজরের কেক।