অবশেষে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। এই সময়েে পিঠাপুলি না হলে কি চলে! বিয়েবাড়ির তত্ত্বের ডালায়, কুটুমবাড়িতে শীতের শুভেচ্ছাস্বরূপ, পটলাক বা পিঠা উৎসবের আয়োজনে অথবা পরিবারের সবাই মিলে ছুটির সকাল-বিকেল আনন্দময় করে তুলতে শীতের পিঠার জুড়ি মেলা ভার।
আর জীবনে গোলকধাঁধার শেষ নেই। সংসারজীবন, ব্যক্তিগত উপলব্ধি, পেশাগত ভূমিকা বা মনুষ্যত্বের প্রকাশ—বহু বছরেও কাউকে যেন ঠিক চিনে ওঠা যায় না। তবে সেলিনা শিল্পীর বানানো নারকেল পুলির এই খেয়ালি গোলকধাঁধায় জটিলতা নেই কোনো। নারকেল-গুড়ের আঠালো, সরল মিষ্টতা আর চালের গুঁড়ির নরম-গরম খামিরে মিলেমিশে চক্রাকারে ঘুরতে থাকলেও, তা আমাদের স্বাদ, সুবাস আর টেকশ্চারের ফোকাস থেকে সরতে দেয় না। তবে দুই চোখ ভরে উপভোগ করা যাক নারকেল পুলির গোলকধাঁধার পরিবেশনার চমক আর তারপর কামড় দিলেই চোখ বুজে আসবে সেই চিরচেনা অনবদ্য স্বাদের জাদুতে।
চালের গুঁড়ি ৪ কাপ
ময়দা আধা কাপ
দুধ ১ কাপ
ঘি ২ টেবিল চামচ
নারকেল কোরা ৪ কাপ
গুড় ২ কাপ
তেজপাতা ২টি
এলাচি গুঁড়া ১ চা-চামচ
দারুচিনি গুঁড়া আধা চা-চামচ
আস্ত এলাচি-দারুচিনি ২-৩টি
লবণ স্বাদমতো
প্রথমে একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তেজপাতা আস্ত এলাচি-দারুচিনি দিয়ে একটু নেড়ে নারকেল কোরা আর গুড় দিয়ে মাঝারি আঁচে ভালোভাবে মিশিয়ে নেড়ে নেড়ে ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিতে হবে।
এবার আরেকটি পাতিলে দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে।একটু ঘন হয়ে এলে তাতে স্বাদমতো লবণ দিতে হবে। এবার ময়দা আর চালের গুঁড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে ধীরে ধীরে দুধের সঙ্গে অল্প অল্প করে মেশাতে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে যেন ভালোভাবে চালের গুঁড়ি সেদ্ধ হয়। এবার নামিয়ে একটু ঠান্ডা হলে মথে নিতে হবে।
পিঠার খামির সাবধানে বেলে নিয়ে মাঝারি পুরুত্বের বড় গোল রুটি তৈরি করতে হবে। এবার পুরো রুটির ওপর পাক দেওয়া নারকেলের মিশ্রণ সমানভাবে বিছিয়ে দিতে হবে। এরপর একপাশ থেকে রোল করতে হবে সাবধানে। এখানে বর্ণিত রেসিপি অনুযায়ী তিনটি রোল হবে। এবার রাইস কুকারের স্টিমারে বা চুলায় পাতিলে পানি রেখে চালনির ওপর রেখে এই রোলগুলো ভাপে দিতে হবে ৫ মিনিট ধরে। নামিয়ে সামান্য ঠান্ডা হলেই ছুরির সাহায্যে আধা ইঞ্চি পুরুত্বে গোল গোল করে কেটে পরিবেশন করতে হবে নারকেল পুলির গোলকধাঁধা। এ পিঠা বানানোর পরপরই গরম–গরম খেতে হবে।