এই গরমে ভালো থাকতে টক দই
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

শত শত বছর ধরে সারা বিশ্বের মানুষের খাদ্যতালিকায় দই রয়েছে। অনন্য পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সাদামাটা টক দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আর এমন গরম আবহাওয়ায় হজমের সমস্যা মোকাবিলায় রোজ তাজা টক দই খাওয়াই যথেষ্ট।

দুধের বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ফার্মেন্টেশন বা এক প্রকারের গাঁজন প্রক্রিয়ায় দই তৈরি হয়। এতে আছে পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া। একে ‘লাইভ কালচার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দই বানিয়ে পাস্তুরিত করলে বা হিমায়িত করলে এই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অকার্যকর হয়ে যায়। তাই হজমের সমস্যা দূর করতে, পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে রোজ তাজা টক দই খেতে হবে।

দুধ থেকে দই হওয়ার সময়ে দইয়ের এই কালচার দুধের প্রাকৃতিক চিনি ল্যাকটোজকে গাঁজিয়ে ভেঙে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে। এতে দুধের প্রোটিন জমাট বেঁধে দই হয়ে যায়। ফার্মেন্টেশনের ফলে দইয়ের স্বাদ টক ও চিরচেনা গন্ধটি চলে আসে।

বিজ্ঞাপন

দই এক দারুণ আমিষের উৎস। এক কাপ দইয়ে ১২ গ্রাম আমিষ থাকে, যা অতি সহজে শোষণযোগ্য। আবার ক্যালসিয়ামের খনি টক দই। এতে হাড়ক্ষয় রোধ হয়, অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এক কাপ দই দিনের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের অর্ধেকই মেটাতে পারে। ভিটামিন বি বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ আর রিবোফ্লাভিন প্রচুর পরিমাণে আছে টক দইয়ে৷ এতে হৃদ্‌যন্ত্র ভালো থাকে। হবু মা টক দই খেলে নবজাতকের মস্তিষ্কের গঠন নিখুঁত হয়।

এক কাপ দইয়ে দিনের প্রয়োজনের ২৮ শতাংশ ফসফরাস, ১০ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১২ শতাংশ পটাশিয়াম পাওয়া যায়৷ এই মিনারেলগুলো বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে টক দইয়ের জুড়ি নেই। এতে পেট ভরে কম ক্যালরিতে। টক দইয়ে জলীয় অংশ রয়েছে বেশ। তাই টক দইয়ের লাচ্চি, লাবান খেলে পানির চাহিদা পূরণ হবে, মিলবে তৃপ্তি। যেকোনো ভারী খাবারের সঙ্গে টক দইয়ের রায়তা দারুণ লাগবে। টক দই মেশানো যায় স্মুদি, ফলের চাট বা যেকোনো সালাদেও।

সূত্র: হেলথলাইন

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৭: ৪৮
বিজ্ঞাপন