বিজ্ঞাপন
ফুরফুরে ম্যাকারন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

পৃথিবী এখন অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। ইউরোপ-আমেরিকায় যেমন ‘গুলাবজামুন’ আর কুলফি অচেনা কিছু নয়, তেমনি পাশ্চাত্য কায়দার ডেজার্টগুলোও এখন আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। এ দেশে কফির সঙ্গে কনটিনেন্টাল ডেজার্টের সমন্বয়ে নাগরিক ক্যাফে কালচার দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আবার অন্তর্জালের কল্যাণেও এখন নতুন প্রজন্মের মিষ্টি-পিপাসা বা ‘সুইট টুথ ক্রেভিং’ মেটাতে ক্রিম কেক স্লাইস, যা স্থানীয়ভাবে পেস্ট্রি বলে পরিচিত, তার বাইরে গিয়ে ওয়াফল, ব্রাউনি, চিজকেক, ম্যাকারন উঠে এসেছে তালিকার শীর্ষে। তবে ম্যাকারনের ব্যাপারই যেন আলাদা।

বিজ্ঞাপন

ম্যাকারনের রং আর ফ্লেভারের শেষ নেই। ফলের নির্যাস, চকলেট, ক্যারামেল, বাটারস্কচ ক্রিম, নারকেল, ভ্যানিলা—সবকিছুই দারুণ মানিয়ে যায় এতে। হালকা কামড়ে মুখে নিতেই মিলিয়ে যায়, যেন আরও একটু হলে ভালো হতো। আবার বেশিও খাওয়া যায় না। অনেকটা যেন রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের অনির্বচনীয় সংজ্ঞার মতো। কোথাও আরেকটু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রইল, কিন্তু এমনই যেন ভালো।

শৌখিন ডেজার্টের লীলাভূমি বলা যায় ফ্রান্সকে। ফ্রেঞ্চ ডেজার্টের বৈচিত্র্য আর বিশিষ্টতা বলে শেষ করা যাবে না। মূলত মিহি চূর্ণ করা কাঠবাদাম, চিনি আর ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে তৈরি সাদা মেঘের মতো পেঁজা মেরাং—এই হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ম্যাকারনের বেস। ইচ্ছেমতো ফ্লেভার ও রং এই মিশ্রণের সঙ্গে আলতো হাতে মিশিয়ে পাইপিং ব্যাগে ভরে বেকিং শিটে ম্যাকারনের আকারে সাজানো হয়। এবার অল্প কিছুক্ষণ ওভেনে বেক করলেই কেল্লা ফতে। একটু জুড়ালে দুটি ম্যাকারনের মধ্যে দেওয়া হয় একই ফ্লেভারের ফিলিং।

এবার এ স্যান্ডউইচ সাজিয়ে নেওয়া হয় থরে থরে। স্বচ্ছ কাচের ডিসপ্লেতে অথবা জুতসই কয়েক তলার সার্ভিং ডিশে ডেজার্ট টেবিলের মধ্যমণি ম্যাকারনের দিকে তাকিয়েই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তারপর স্বাদ পেলে সোনায় সোহাগা যোগ হয় অচিরেই।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ৪৫
বিজ্ঞাপন
হাল ফ্যাশন