যে ৫ নিয়মে সালাদ বানালে একঘেয়ে লাগবেনা

সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে সালাদ খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর এখন আমাদের দেশে সালাদ বলতে শুধু সেই ভাত, পোলাও, তেহারি আর পরোটার সঙ্গে শসা-টমেটো-পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের মিশ্রণকেই বোঝে না সবাই। পছন্দমতো প্রোটিন আর জুতসই ড্রেসিংয়ে কাঁচা, গ্রিলড বা ভাপ দেওয়া বৈচিত্র্যময় সবজির সমন্বয়ে সালাদই হতে পারে এক বেলার সম্পূর্ণ খাবার।

সালাদে সবুজ রং আনতে শুধু লেটুস নয়, ব্যবহার করা যায় আরও অনেক ধরনের পাতা। ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লালশাক, কচি পালংশাক, শর্ষেশাক, থানকুনি পাতা। ক্যাপসিকামের সবুজও চোখ জুড়াবে, দেবে বাড়তি ভিটামিন সি। নিরীক্ষা চালাতে চাইলে বিভিন্ন পাহাড়ি হার্বস যোগ করা যায়। আরও রয়েছে বেসিল আর ওরিগানো পাতা। শসা খোসাসহ দিলেও সবুজের সমারোহ বাড়বে সালাদে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ তো আছেই। সালাদা কাঁচা মরিচ দিতে বিচি ফেলে নিলে ভালো। আজকাল দেশে চাইনিজ নাপা ক্যাবেজ, বকচয় ইত্যাদিও পাওয়া যায়। এগুলো হালকা ভাপিয়ে কচকচে অবস্থায় সালাদে দিলে আনবে বৈচিত্র্য।

সবেগে প্রবাহিত পানির ধারার নিচে ধরে রাখলে পাতাজাতীয় ও কোমল টেক্সচারের সবজি ও হার্বস নুয়ে পড়ে বেশি। এর চেয়ে বড় বোলে পানি নিয়ে কয়েকবার কচলে ধুয়ে নিলে ভালো। পানি দুই-তিনবার বদলে নিলেই হবে। কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে গাজর, মুলা, শসা, টমেটো বা যেকোনো সবজি ও ফল।

কাঁচা পেঁপে বা বাঁধাকপির ঝুরি লবণ মেখে রাখলে তা হয়ে ওঠে সুস্বাদু সালাদের বেইস। শসা অবশ্য লবণ মেখে বেশিক্ষণ রাখলে অনেক পানি ছেড়ে দেয়। বিভিন্ন ফলেও লবণ মেখে রাখলে টেক্সচার ও ফ্লেভার হয় আরও ভালো। লাল পেঁয়াজ লেবু, লবণ মেখে রাখলে সালাদে খুবই মানিয়ে যায় তা।

শুধু কাঁচা নয়, হালকা ভাপ দিয়ে, ওভেন-রোস্ট বা গ্রিল করে অথবা সিরকায় জারানো পিকলড সবজি সালাদকে নিয়ে যাবে অন্য মাত্রায়। গ্রিলড বেগুন যোগ করলে সালাদে এক স্নোকি ফ্লেভার দেয় তা। গ্রিলড, রোস্টেড বা ভাপানো ফুলকপি, আলু, গাজর, ব্রকলি ইত্যাদি সবজি দেওয়া যায় সালাদে। সতে করা বরবটিও মন্দ হয় না দিলে। আবার পিকল করা পেঁয়াজ, রসুন, শসা, মুলা, মরিচ ইত্যাদি সালাদের স্বাদ ও ফ্লেভার দুই-ই বাড়ায়।

আজকাল এ দেশে অ্যাভোকাডো মিলছে সব জায়গায়। আবার রয়েছে খেজুর ও অন্যান্য শুকনা ফল, বাদাম আর চিয়াসিড, তিল বা কুমড়ার বীজের মতো উপকরণ। ফেটা চিজ, ঢাকাই পনির, কাবুলি ছোলা, কিডনি বিনস, লবণে জারানো জলপাই—বেছে নেওয়া যায় ইচ্ছামতো বিশেষ কিছু। গরু বা মুরগির হাড়ছাড়া মাংস, সেদ্ধ ডিম, তোফু বা সেদ্ধ মাছ সালাদে প্রোটিন যোগ করবে। টেক্সচারের জন্য মচমচে ক্রুটনও দারুণ হবে।

ছবি: হাল ফ্যাশন