প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালিত হয় বাবা দিবস। বাবার জন্য এই দিনে অনেকেই নানা কিছু করেন। কেউ বাবাকে উপহার কিনে দেন, কেউ আবার বাবাকে তাঁর পছন্দের খাবার খাওয়াতে নিয়ে যান আবার কেউ কেউ চেষ্টা করেন বাবার সাথে পুরো দিনটা কাটাতে। জীবনের বটবৃক্ষ বাবাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয়না, তবে এ দিবসের অজুহাতে বাবার সঙ্গে কিছু সুন্দর মুহুর্ত কাটাতে পারলে ক্ষতি কি!যেহেতু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবাদের অনেক খাবারেই নিষেধাজ্ঞা চলে আসে।তাই বাবাকে নিয়ে খেতে যাওয়ার আগে সেসব বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়াই শ্রেয়। বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে খেতে যেতে পারেন এই জায়গাগুলোতে।
বাঙালিয়ানা ভোজের ভর্তা-ভাত
ভাত -ভর্তা আমাদের বরাবরই প্রিয় খাবার। বাড়িতে এত পদের ভর্তা করা হয়না তেমন। বাবারা কিন্তু পছন্দ করবেন শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত আর বৈচিত্র্যময় ভর্তা ভাত খেতে। গরম গরম ভাত দিয়ে নানা পদের ভর্তা খেতে ঢুঁ মারতে পারেন বাঙালিয়ানা ভোজে। সুস্বাদু বাংলা খাবারের জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছে রেস্তোরাঁটি।
মিরপুর,বসুন্ধরা,মোহাম্মদপুরসহ মোট ছয়টি শাখা আছে তাদের। ভাত, ডাল আর ১১ পদের ভর্তার একটি প্ল্যাটারও রেখেছে তরা। তাই বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বাঙালিয়ানা ভোজ থেকে।
ইজাকায়ার সুশি
আমাদের দেশে এখন বেশ কদর বেড়েছে জাপানি খাবার সুশির। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে এই খাবার। আবার গড়ে উঠছে সুশিকেন্দ্রিক রেস্তোরাঁও। সুশি খেতে যেমন সুস্বাদু ,তেমনি তেল-মসলা নেই বলে স্বাস্থ্যকরও বটে।
খাবারের ব্যাপারে একটু অ্যাডভেঞ্চারাস বাবারা বেশ পছন্দ করবেন স্বাস্থ্যকর এই খাবার। জাপানি খাবারের জন্য পরিচিত রেস্তোরাঁ ইজাকায়া। বিভিন্ন ধরণের সুশি পেয়ে যাবেন এখানে। উত্তরা ও ধানমন্ডিতে শাখা আছে তাদের। বাবার সঙ্গে ছিমছাম পরিবেশে সুস্বাদু সুশি খেতে ঘুরে আসুন ইজাকায়া থেকে।
খাও সান-এর ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস
গ্রীষ্মের ফলের সুবাসে ম ম করছে চারদিক। প্রতি গ্রীষ্মে আমরা যেমন আম দুধ মেখে ভাত খাই ঠিক তেমনি নারকেলের দুধে আঠালো ভাত বা স্টিকি রাইস দিয়ে পাকা আম খাওয়ার প্রচলন আছে প্রাচ্যের দেশে দেশে।
মজাদার এই খাবার পেয়ে যাবেন থাই রেস্তোরাঁ খাও সান এ। এই বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে যেতেই পারেন ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস খেতে।
ইট গ্রিনের সালাদ বোল
পুষ্টিকর খাবারের এক নির্ভরযোগ্য স্থান বনানীর ইট গ্রিন । এখানে বিভিন্ন ধরনের কম ক্যালরিযুক্ত সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন তাজা সবজি।
রেস্তোরাঁটি তাদের খাবারে কোনো ধরণের চিনি ও টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করেনা। বাবাকে নিয়ে খেয়ে আসতে পারেন ইট গ্রিনের সালাদ বোল ও হালকা স্যান্ডউইচ।
ফিশ অ্যান্ড কোং এর সিফুড
সামুদ্রিক খাবার বা সি ফুড আমাদের অনেকেরই প্রিয়। এ খাবারে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাট হার্ট অ্যাট্যাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় । সামুদ্রিক মাছ, স্কুইড, অক্টোপাস, মাসেলস, স্ক্যালোপস, চিংড়ি, কাঁকড়া খেতে এখন আর সমুদ্রপাড়ে যেতে হয়না।
ঢাকার বেশকিছু রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় এগুলো। এমনই এক সিফুডের রেস্তোরাঁ ফিশ অ্যান্ড কোং। এখানে পাবেন বাহারি সি ফুড। বাবার সঙ্গে এসব ভিন্নধর্মী খাবারের স্বাদ নিতে ঢুঁ মারতে পারেন ফিশ এন্ড কোং রেস্তোরাঁয়।
হংবাওন-এর ডাম্পলিং
গুলশানে অবস্থিত হংবাও নামের নান্দনিক রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায় বিভিন্ন চীনা খাবার । রেস্তোরাঁটি সাজানোও হয়েছে চীনা আবহে। তাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ডামপ্লিং।
মা পো ডামপ্লিং, চিকেন ডামপ্লিং, কর্ণ এন্ড প্রণ ডাম্পলিংসহ মোট ১৬ ধরণের ডাম্পলিং আছে এখানে। বাবার সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্যকর চীনা খাবার খেতে যেতে পারেন হংবাও-এ।