গরমে প্রাণ জুড়াতে জুড়ি নেই এই দেশি ফলের, বাড়তি পাওনা ৬টি স্বাস্থ্যগুণ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

পাকা তাল থেকে সুস্বাদু নানা পদ তৈরি করা যায়। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, ফ্যাট .১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তালের শাঁসের উপকারিতা:

 তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

* তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

* তালের শাঁস আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খেলে আমাদের শরীরের ভেতরে নাইট্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়াও এতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের কোষ ও রক্তরসের জন্য দরকারি উপাদান হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে এটি আমাদের হৃৎস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

* তালে মজুত ভিটামিন বি, নানা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাঁচা তালও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন
কাঁচা তালও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন

* তালে শাঁসে আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সালফার, সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার এবং ম্যাগনেশিয়ামের মত বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই তালের শাঁস খেলে আমাদের দৃষ্টিশক্তির অনেক উন্নতি হয় এবং রাতকানা রোগ থেকে চিরতরে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও চোখের অ্যালার্জি সহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ কমাতে তালে অনেক কার্যকরী।

* তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ আরও অনেক খনিজ উপাদান।

* কাঁচা তালও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এতে ভিটামিন এ, সি, বি, কপার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে।  

বিজ্ঞাপন

পাকা তালের রসের উপকারিতা:

তালের রসে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে
তালের রসে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে

 * তালের রসে খাদ্য আঁশ রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে ভালো ভূমিকা রাখে।

 * পুরোনো কাশি সারাতে ৩-৪ চামচ তালের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকেল কয়েক দিন খেলে তা ভালো হয়ে যায়।

 * বমি বমি ভাবে ৩-৪ চামচ তালের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকেল কয়েক দিন খেলে বমি বমি ভাব চলে যায়।

তালের শাঁস আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
তালের শাঁস আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

  * তালের রসে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। যা আমাদের দাঁত ও হাড়কে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে।

  * তালের রস খেলে কৃমি রোগ ভালো হয়ে যায়।

  * তাল শরীরের ভিটামিন বি এর অভাব দূর করে। নিয়মিত তাল খেলে সর্দি, মাথা ব্যথা, অনিদ্রার মতো রোগ দূর করতে সাহায্য করে।

ছবি: প্রথম আলো, ইনস্টাগ্রাম ও উইকিপিডিয়া

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন