কাছিম দৌড় ও রসাল পিৎজা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ট্রেন চলছে ঢিমেতালে। কু ঝিক ঝিক টাইপ না হলেও ঝিমুনিতে ঘুম এসে যাচ্ছে। জানালায় বাইরে বিকেলের শেষ রোদটা আলো ছড়িয়ে আগুনমাখা ফিনিক্স পাখি হতে চাইছে যেন। তবে গ্রিক পুরাণে এ মুহূর্তে মন ভরবে না। দরকার ওই ডুবন্ত সূর্যটার মতো গোল জব্বর একখানা ইতালিয়ান পিৎজা। খিদেটা আকাশসমান বিশাল হওয়ার আগেই মুঠোফোনের বোতাম চাপলাম।

‘হ্যালো, ‘ফোন পিৎজা’ বলছি। কী অর্ডার করবেন, বলুন?’
‘একটা পিৎজা ‘ফেবারিট’। ১০ মিনিটের ভেতর আসছি’।

‘ফোন পিৎজা’ হলো বাসার কাছের স্টেশন লাগোয়া টেক-অ্যাওয়ে। ইচ্ছা করলে পেতে রাখা সস্তা প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিলে বসে আমুদে ‘ডাইন-ইন’ও করা চলে। আর ফেবারিট মানে ফেবারিট। আগের বার কয় চেখে দেখা হয়েছে এবং অতুলনীয় স্বাদ একেবারে কলিজায় গিয়ে লেগেছে। ফেবারিট পিৎজা তাই পছন্দের খাদ্যতালিকায় টপ ফেবারিট ইদানীং।

বিজ্ঞাপন

গরমাগরম পিৎজার অপেক্ষায় কমলা সূর্যের দিকে একটা লোভাতুর দৃষ্টি ছুড়ে চেয়ে রইলাম। এই চাহনিতে কবিতা নেই, খবিতা আছে। খিদে মেশানো কাব্যিকতার নাম খবিতা।

এই অস্থির খবিতার কারণ হলো সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে আসা হয়েছে আজকে। মিউনিখের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গ্রাম গ্রাম চেহারার সবুজ ঘেরা গারশিং নামের অতিকায় ক্যাম্পাসে ম্যারাথনের আয়োজন করেছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই দৌড়েছেন। এমন কি রাশভারী বিভাগীয় ডিন আর চেয়ারম্যানেরাও হাফ প্যান্ট-শর্টস পরে নেমে পড়েছেন।

সেখানেই ছিল এগারো আর সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন। ভাবলাম, এগারো কিলোমিটার দৌড়ানো কিছুটা ভূতের বেগার হয়ে যায়। তা ছাড়া মাছ-মুরগি খাওয়া নরমসরম বাঙালি ঠ্যাং। আরামপ্রিয় চেহারাতেও বেশ একটা ফার্মের মুরগি, ফার্মের মুরগি ভাব আছে। হাত ভাঁজ করে দাঁড়ালে দূর থেকে ঠিক চিকেন উইংসের মতোই দেখায়। এমন লোকের জন্য তাই সাড়ে পাঁচই সই।

বিজ্ঞাপন

খেলনা পিস্তলে যেই না ঠুস্‌ হলো, অমনি ছাত্র-শিক্ষক সবাই দৌড় শুরু করলেন। এ যেন এক শ মিটার স্প্রিন্টে উসাইন বোল্ট হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। মাঝখান থেকে মৃদুমন্দ আয়েশি বেগে দৌড় শুরু করা মিস চিকেন উইংস বোকা বনে গেলাম। চোখের পলক না পড়তেই দুই পাশ থেকে অন্যরা ভোজবাজির মতো উধাও। পড়ে রইল শুধু এক ভলান্টিয়ার।

‘কী হলো, হাল ছেড়ে হাঁটছ কেন। জগিংয়ের মতো দৌড়ালেও তো পারো।’
জবাব না দিয়ে বাঁকা চোখে হাসলাম। এর চেয়ে ঊর্ধ্বগতি যে আর সম্ভব নয়, কী করে বোঝাই। তা ছাড়া দৌড় শুরু করতে না করতেই পা ধরে আসছে খুব। এই ভলান্টিয়ার ছোকরা বিদায় হলে খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিতাম। তিতি বিরক্ত লাগছে। গালের ভেতর গালি পর্যন্ত চলে এল, ‘ম্যারাথনের গুষ্টি কিলাই, ধ্যার্..’।

মনের কথা বুঝতে পেরেই বোধ হয় ভলান্টিয়ার ছেলেটা নিশানাগুলো টপাটপ তুলে নিয়ে রাস্তা মাপল। সামনের পথ আবার ডান-বাঁ দুই দিকে চলে গেছে। ভালো বিপদ!
‘এ্যাই, নিশান তুললে কেন? এখন যাব কোন দিকে?’

গা ঝাঁকানো দায়সারা উত্তর এল, ‘ডানে চলে যাও। তুমি ছাড়া তো আর কেউ নেই পেছনে। ফ্ল্যাগগুলো তুলে কাজ এগিয়ে রাখি।’

অগত্যা ডানেই ভিড়ে গেলাম। একেবারে একা বোকা হয়ে পড়ে খুব যে বোকা বোকা লাগছে, ঠিক তা-ও নয়। পাশ দিয়ে ছোট্ট খাল বয়ে যাচ্ছে। সেখানে বেলে হাঁসদের ভালো আড্ডা জমেছে। গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির। হালকা বাতাসে দোলা লেগে সবুজ পাতায় উইন্ডচাইম বাজছে মিহি তানে। বাঁ দিকে আদিগন্তবিস্তৃত মাঠ। পায়ে-পায়ে বদলে যায় তার দৃশ্যপট। কখনো তাতে ফসল, কখনো ফুল, কখনো শূন্য মাঠে একাকী ট্রাক্টর ধাতব শরীর নিয়ে উদাস দাঁড়িয়ে। এক-আধটা ইলেকট্রিক খাম্বা যেন বিকট কাকতাড়ুয়া সেজে পাহারায়।

জুন মাসের নাতিশীতোষ্ণ বিকেলের পরতে পরতে বুনো ফুলের মতো তীব্র মাদকতা ছড়ানো। গারশিং ক্যাম্পাসের চারকোনা দালানগুলোর আড়ালে যে এমন এক আশ্চর্য লুকানো জগৎ আছে, তা তো জানাই হতো না আজকের ম্যারাথনে না এলে। ইশ্, সঙ্গে ফোন থাকলে দুর্দান্ত কতগুলো ছবি তুলে নিতাম পটাপট।

ছটফটে টগবগ শব্দে ঘাড় ঘোরালাম। দুর্দান্ত সুঠাম দেহের বিশাল বাদামি ঘোড়া কেশর ফুলিয়ে এগিয়ে আসছে। এ পথে লোকে সাইকেল চালায়। এখন ঘোড়াও যে চলে দেখছি। ঘোড়সওয়ার এক আশি পেরোনো দাদু গোছের ভদ্রলোক। শখের ঘোড়ায় শৌখিন বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়েছেন বোধ হয়। বাভারিয়ান স্টাইলে ছাঁটা ইয়া মোচের ফাঁক থেকে গমগমে স্বরে বললেন, ‘কী দারুণ বিকেল! হাঁটতে বেরিয়েছ বুঝি?’
হাঁটা আর ম্যারাথনের ভেতর যে মোটাদাগ আছে, সেটা আর মচুদাদুকে বোঝাতে গেলাম না। তাড়াহুড়ো করে ভদ্রতার হাসির সঙ্গে ‘শুভ সন্ধ্যা’ জানিয়েই দমে গেলাম।

যদিও সন্ধ্যা হওয়ার বহুত বাকি। উত্তরে ভদ্রলোক তার বাহারি টুপিটা সামান্য খুলে অভিবাদন জানিয়ে হ্যাট্‌ হ্যাট্ ঘোড়া হাঁকিয়ে দিগন্তে হারালেন। তাঁকে এখন মোটেও দাদু দাদু লাগছে না। বরং ওয়েস্টার্ন ছবি থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া দুঁদে কাউবয়ের মতো দেখাচ্ছে। বিকেলের রোদে সবকিছু অন্য রকম দেখায় হঠাৎ হঠাৎ।

‘ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য হর্স’ মিলিয়ে যেতে না যেতেই হুড়মুড়িয়ে চলে এল ম্যারাথন পার্টি। এরা এগারো কিলোমিটারের দল। এক পাক ঘুরে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খতম দিয়ে দুই নম্বর চক্কর দিচ্ছে। বিনা বাক্যব্যয়ে তাদের সঙ্গে মিশে গেলাম। এ শর্মা যে সেই আগের সাড়ে পাঁচেই ঝুলে আছে, সে সত্যকে আলপটকা ক্যামোফ্লেজ পরিয়ে দিলাম। একজন আবার মায়া করে পানির বোতল এগিয়ে দিলে চোখে-মুখে দুই ফোঁটা ছিটিয়ে নিলাম। অভিনয়টা বেশ উঁচু দরের হচ্ছে।

ঝটপট তারা ঝেঁটিয়ে বিদায় নিল। টিকিও দেখা যাচ্ছে না। আবার একা পড়ে ক্যাম্পাসের নিস্তরঙ্গ রূপটা দেখায় মন দিলাম। তবে কাছিম দৌড় চলছেই। খরগোশেরা তেড়েফুঁড়ে বেরিয়ে গেলে যাক। হু কেয়ারস!

সুড়ঙ্গের যেমন শুরু আর শেষ আছে, এই আপাত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ম্যারাথনও খতম হলো এক সময়ে। উফ্, বাড়ি যাব এখন এক দৌড়ে।

লাল ফিতা ছুঁতেই কে যেন মাইক্রোফোন হাতে ছেঁকে ধরল, ‘আপনার অনুভূতি কী?’
জবাবে একনিশ্বাসে বলতে চাইলাম, ‘খুব ভালো লেগেছে, এই প্রথম ম্যারাথনে নাম লেখানো, এমন আয়োজন আরও হোক, ইত্যাদি।

অথচ অবাক করে দিয়ে মুখ দিয়ে শুধু বেরোলো, ‘ভভ ভ ফফ ফ ...’।

আয়োজক চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে সামলে দিল, ‘অ্যা, ইনি মনে হয় তার মাতৃভাষায় আনন্দ প্রকাশ করছেন। তাঁর জন্য তালি হবে, তালি। সেই সঙ্গে আজকের ম্যারাথনের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। লাগাও ডিজে গান...! ’

বিকেল উড়িয়ে আকাশের গায়ে লালিমা মেখে সন্ধ্যা নামছে
বিকেল উড়িয়ে আকাশের গায়ে লালিমা মেখে সন্ধ্যা নামছে

বুমবুম ডিজে গানের বদলে ফুল ভলিউমে হেভি মেটাল সংগীত ছাড়া হলো। বিখ্যাত জার্মান ব্যান্ড ‘রামস্টাইন’ তাদের প্রলয়ংকরী সুর-লয়ে ক্যাম্পাসে দোজখ নামিয়ে দিতে লাগল। লোকজন উৎসবের আমেজে বিয়ারের বোতলে চিয়ার্স ঠোকা শুরু করেছে।
খুঁজে পেতে সঙ্গে আসা কলিগদের দেখা মিলল। তারা তুমুল আগ্রহে কার কত সময় লেগেছে ম্যারাথন শেষ করতে, তাই নিয়ে পড়েছে।

পাক্কা ছাপ্পান্ন মিনিটে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে মনে হয় রেকর্ড করে ফেলেছি। যেখানে অন্যদের লেগেছে উনিশ কি বিশ মিনিট বড়জোর। তবে এই আকাশ-পাতাল ব্যবধান নিয়ে কারও মাথাব্যথা দেখা গেল না। বরং এই ক্ষীণপ্রাণ বাঙালি মেয়ে যে তাদের সঙ্গে মাঠে নেমেছে, তাতেই পেটানো শরীরের শক্তপোক্ত জার্মানগুলো বেজায় খুশি।

আরও কিছুক্ষণ বাৎচিত সেরে কলিগদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম। তারাও খালি বেঞ্চি খুঁজে খাবারের স্টলগুলো বরাবর পা চালাল। আজকে তাদের মেনুতে আছে কারি উর্স্ট আর ব্রেৎজেল। কারি উর্স্ট হল মসলারসসে মাখানো ঝাঁজালোসসেজ। আর ব্রেৎজেল হল জার্মানির বিখ্যাত রুটি বিশেষ; যা কিনামাথা বরাবর ছুড়ে মারলে আপনি এক ঘায়ে অক্কা যাবেন, এমনই শক্ত তার বাইরের খোলস। কিন্তু ভেতরে অদ্ভুত নরম। আপাত-কাঠখোট্টা জার্মানরা যেমন আরকি।

কিন্তু আজ অমৃতে অরুচি। মন বলছে সে একটা নরম তুলতুলে পিৎজা খেতে চায়। এবং এই পিৎজা সে মনের আনন্দে তারিয়ে তারিয়ে, পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে, একদম একা একা খেতে চায়। এমন অমোঘ আহ্বানে সাড়া না দিয়ে উপায় নেই। ঝটপট ট্রেন ধরে উঠে বসলাম জানালা ঘেঁষে। মন বড় জ্বালা।

বার দুই ট্রেন বদলে অতঃপর এসে পৌঁছানো গেল কাঙ্ক্ষিত স্টেশনে। মিউনিখ থেকে দূরের শহরতলি অটোব্রুন। ট্রেন থামতেই পড়িমরি ছুটলাম। ভীষণ তাড়া যে। স্টেশন-লাগোয়া ‘ফোন পিৎজা’ টেক-অ্যাওয়ের তাওয়া থেকে ধোঁয়া উঠিয়ে আমার অর্ডার দেওয়া পিৎজাটা নামল বলে।

'‘ফোন পিৎজা’ টেক-অ্যাওয়ের নরম পিৎজা
'‘ফোন পিৎজা’ টেক-অ্যাওয়ের নরম পিৎজা

‘হেই সাবরিনা, ঠিক টাইমে হাজির তুমি। পিৎজা তৈরি!’রেস্তোরাঁর ব্যস্ত বাবুর্চি সিনান উইঘুর তার কালো ক্যাপের নিচ থেকে ছুড়ল কথাগুলো। সিনান জাতে তুর্কি। এই ইতালিয়ান পিৎজার ব্যবসা তার বাবার। এখন হাত ঘুরে তার হাতে এসে পড়েছে। এবং সেই সুবাদে তুর্কি বা উইঘুর রেস্তোরাঁর আদলে এক বাটি মরিচের ঝাল সস বহাল তবিয়তে তার অস্তিত্ব জানান দেয় টেবিলের কোনা থেকে। এই ঝালের কঠিন সমঝদার হওয়ায় সিনান তার রেগুলার কাস্টমারের নামটা খুব চেনে।

অতি যত্নে সে মরিচের সস আর বিশাল এক পিৎজা নামিয়ে হেঁশেলে হারিয়ে গেল। সে কাজের লোক। আলাপে তার উৎসাহ নেই। আর আমি খাওয়ার লোক। আলোচনায় আগ্রহ নেই।

সপ্তাহের মাঝের দিন বুধবার। লোকে তেমন হামলে পড়ে খানাখাদ্য অর্ডার করছে না। সপ্তাহান্তে যেমনটা করে। তাই রেস্তোরাঁর ব্যস্ততা কম। জানালায় গাড়ি-ঘোড়ার আনাগোনা গুনতে গুনতে ডুব দিলাম উষ্ণ পিৎজার এক টুকরায়। মাখনরঙা মোজ্জারেলাচিজের খানিকটা চুইংগামের মতো লম্বা হতে হতে শেষ অবধি তার পিৎজা পরিবার ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে এল। এই নতুন ঠিকানা হলো রাক্ষসের পেট। ম্যারাথন দৌড়ে এসে এখন রাক্ষুসে খিদে পেয়ে বসেছে।

সুবিশাল থালাজোড়া রুটির ময়দানে রঙের ছড়াছড়ি। সাদা মাশরুমের ডানে-বাঁয়ে লাল টমেটো আর সবুজ ক্যাপসিকাম। কালচে বেগুনি জলপাই টুকরাগুলো থেকে অপার্থিব সুঘ্রাণ আসছে। এই আহ্বান উপেক্ষা করা ভরপেট লোকের পক্ষেও দুঃসাধ্য।

রেস্তোরাঁর টেবিলে বহাল তবিয়তে থাকা তুর্কি ঝালের বাটি
রেস্তোরাঁর টেবিলে বহাল তবিয়তে থাকা তুর্কি ঝালের বাটি

ঝাল সস ছড়িয়ে পুরো পিৎজাটাকে আগুনের গোলা বানিয়ে ফেলেছি। সিনান উইঘুর চোখের কোনা দিয়ে মুচকি হেসে পিৎজার এই হেভি মেটাল চেহারাটা একবার দেখে গেল। ঠান্ডা কোকের বোতলে ঝাল নিভিয়ে আরও একটা তেকোনা টুকরো হাতে তুলে নিলাম। এই ত্রিভুজকে কোনো জ্যামিতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এ যে গণিতের ঊর্ধ্বে। অরিগানোপাতার রোস্টেড ঘ্রাণের সঙ্গে অলিভ অয়েলের বাসনা মিশে যে তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, তার সংজ্ঞাই বা পৃথিবীর কোন ফিজিকস দেবে। এই রসের বিশ্লেষণ রসায়ন দিয়েও কি সম্ভব?

ইতং বিতং অদরকারি চিন্তাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জ্যামিতির গোল খাতা থেকে সব কটা ত্রিভুজ উড়িয়ে দিতে সময় লাগল না।

কাছিম বেগে অলস পায়ে বাড়ির পথে
কাছিম বেগে অলস পায়ে বাড়ির পথে

বিকেলটা উড়ে গেছে কোন ফাঁকে। পশ্চিমের আকাশে লালিমা মেখে সন্ধ্যা নেমে এসেছে টুপ করে। একমন তৃপ্তি নিয়ে পুবের দিকে বাড়ির পথে ধরলাম কাছিম বেগে অলস পায়ে।

লেখক: ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার, গবেষক, মিউনিখ, জার্মানি।
ছবি: লেখক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩: ০০
বিজ্ঞাপন