নাদিমা জাহান
অবসরে চায়ের কাপ হাতে রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে শুনতে উদাস নয়নে জানালা দিয়ে আকাশ দেখেনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। মন কেমন করা ঝিম দুপুর, ক্লান্ত বিকেল নয়তো বিষণ্ন সন্ধ্যাগুলো আলো-আঁধারিময় শান্ত পরিবেশে রবীন্দ্রনাথের গানে ডুবে অথবা তাঁর লেখা প্রিয় কোনো উপন্যাস, ছোটগল্প বা কবিতার তরণি ধরে কল্পনার জগতে ভেসে যাওয়া—এ এক অন্য রকম রবীন্দ্র উদ্যাপন।
নিজ গৃহকোণে তো বটেই, এখন এমন একান্ত সময় কাটানোর জন্য ঢাকা নগরীর বুকেই রয়েছে রবিঠাকুরের থিমে সাজানো এক রেস্তোরাঁ। এই রবীন্দ্র-প্রাঙ্গণের নাম টেগোর টেরেস।
বনানীর টেগোর টেরেসের পুরো আবহ, রবীন্দ্রনাথের লেখা গল্প-কবিতার বই আর তাঁর চিত্রকর্মে সাজানো অন্দরসজ্জা, সহনীয় ও আরামদায়ক ভলিউমে বাজতে থাকা রবীন্দ্রসংগীত রবি-অনুরাগীদের এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ ভাস্কর্যটিও সুরুচির পরিচয় দিচ্ছে। আবার চা তো বটেই, সেই সঙ্গে মিলবে নানা রকম দেশি আমেজের ‘টা’–এর আয়োজন।
বিভিন্ন দেশের কুইজিন থেকেও নানা পদ দিয়ে সাজানো হয়েছে টেগোর টেরেসের মেন্যু। রবীন্দ্রনাথ নিজেও নানা দেশের খাবার খেতে ভালোবাসতেন আসলে। ডেকোরে রাখা গাছগুলোর মাঝে রবীন্দ্রনাথের পছন্দের বকুল, বেলি আর কামিনী রাখা হয়েছে৷ দারুণ সুবাস ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা রেস্তোরাঁর নামের প্রতিও সুবিচার করছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে স্থপতি দম্পতি মুস্তাফা খালিদ আর শাজিয়া খালিদের হাত ধরে টেগোর টেরেসের সূচনা হয়। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী আর রাবিন্দ্রিক আবহের দারুণ মিশেল রয়েছে এখানে। আজ রবীন্দ্রজয়ন্তীর বিকেল বা সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে বা একাই সুন্দর সময় কাটতে পারে রবীন্দ্র-উদ্যাপনে।
ছবি: টেগোর টেরেস