হেলথ ট্রেন্ডের শীর্ষে এখন ঘরে বানানো 'ভাইরাল' এ-বি-সি জুস
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ভিটামিনসহ নানা পুষ্টির সমাহার রয়েছে ফল ও সবজির মধ্যে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ফলমূল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। ফলের জুস বা সরবত আমরা সকলেই কমবেশি পছন্দ করি। এক্ষেত্রে কয়েকটি ফল বা সবজির একসাথে ব্লেন্ড করে কিছু পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ জুস পান করতে পারি। বিশ্বব্যাপী হেলথ ট্রেন্ডে এখন রীতিমতো ভাইরাল এ-বি-সি জুস। খুব সহজেই এটি বাড়িতে বানিয়ে পান করা যায় রোজ।

বিশ্বব্যাপী হেলথ ট্রেন্ডে এখন রীতিমতো ভাইরাল এ-বি-সি জুস
বিশ্বব্যাপী হেলথ ট্রেন্ডে এখন রীতিমতো ভাইরাল এ-বি-সি জুস
ইন্সটাগ্রাম
এ-বি-সি জুস  আপেল, বিটরুট ও গাজর অর্থাৎ ক্যারট দিয়ে বানায়
এ-বি-সি জুস আপেল, বিটরুট ও গাজর অর্থাৎ ক্যারট দিয়ে বানায়
ইন্সটাগ্রাম

এ-বি-সি জুস  আপেল, বিটরুট ও গাজর অর্থাৎ ক্যারট একসঙ্গে মিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এজন্যই এর এমন নাম। আমরা সবাই জানি এই তিনটি ফল ও সবজি অত্যন্ত উপকারী। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন।

বিজ্ঞাপন

এটি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে শরীরে সতেজ অনুভূতির পাশাপাশি পেতে পারেন অনেক উপকার। যেমন, এই জুস অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। ত্বকের যত্ন এবং সুরক্ষায় সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরকে ডিটক্স করে। তাছাড়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে সহায়তা করে।

এই জুস অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ
এই জুস অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ
ইন্সটাগ্রাম
বাসায় বসে নিজেই তৈরি করে ফেলতে  পারেন এই এ-বি-সি জুস
বাসায় বসে নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এই এ-বি-সি জুস
ইন্সটাগ্রাম

অনেকেই বাইরের বানানো জুস পান করতে পছন্দ করেন না। তাছাড়া এগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর সেটাও ভাবনার বিষয়।এক্ষেত্রে আপনি বাসায় বসে নিজেই তৈরি করে ফেলতে  পারেন এই এ-বি-সি জুস।

বিজ্ঞাপন

জেনে নেই কিভাবে সহজে অত্যন্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এ-বি-সি জুস বানাতে পারেন।

১. প্রথমে আপেল, বিটরুট, গাজর পরিমাণমতো নিয়ে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

২. পরিস্কার করা হলে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার এগুলো ছোট সাইজে কেটে নিতে হবে। তাতে ব্লেন্ড ভালো হবে।

৩. পরবর্তীতে এই আপেল, বিটরুট ও গাজরের টুকরাগুলো ব্লেন্ডারে নিতে হবে। অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। একদম মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে হবে।

৪.ব্লেন্ড করার পর ওপরে পাল্প জমা হবে। অনেকে এই পাল্পসহ পান করে থাকেন এটি। ইচ্ছা হলে পাল্প ছেঁকে নিতে পারেন।

৫. স্বাদ পরিবর্তনের জন্য ছোট এক টুকরা লেবু কেটে রস নিয়ে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। অনেকে পুষ্টির জন্য অল্প পালংশাক এই মিশ্রণের সাথে ব্লেন্ড করেও পান করেন।

৬. এরপর পুরো মিশ্রণটি একটি বড় গ্লাসে নিলেই তৈরি হয়ে গেল এ-বি-সি জুস। আবার বরফ কুচি দিয়ে ঠান্ডা পানীয় হিসেবেও পান করতে পারেন এটি।

এই জুস বা শরবতের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পেতে হলে বানানোর পরপরই পান করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনো কিছু খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে এটি পান করলে অনেক বেশি উপকার পেতে পারেন। রিফ্রেশিং এই জুস বা স্মুদি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে অনেক কার্যকরী। যাঁদের কাজ করতে করতে দুর্বলতা অনুভব হয়, বিষাদ ভর করে, তাঁদের প্রতিদিনের রুটিনে অবশ্যই এই জুস রাখুন। খুব শীঘ্রই ইতিবাচক ফল পাবেন।

সূত্র: লিভ স্ট্রং, বডিওয়াইজ

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৩৬
বিজ্ঞাপন