একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ তাপমাত্রার (৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস -এর বেশি গরম) খাবার ও পানীয় খেলে খাদ্যনালী ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন ছোট ছোট অভ্যাস, যেগুলো খালি চোখে ক্ষতিকর বলে মনে হয় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে মারাত্মক রোগের জন্ম দিতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো অতিরিক্ত গরম খাবার বা পানীয় নিয়মিত খাওয়া।
খুব গরম খাবার শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
যখন খাবার বা পানীয়ের তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়, তখন তা মুখের ভেতরের নরম টিস্যু, গলা এবং খাদ্যনালিকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করে। একবারে মারাত্মক কিছু মনে না হলেও, নিয়মিত এমন হলে দীর্ঘ মেয়াদে তা ক্ষতিকর।
প্রতিবার পোড়ার পর শরীর স্বাভাবিকভাবে সেরে ওঠার আগেই যদি আবার গরম কিছু খাওয়া হয়, তাহলে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি হয়। এই প্রদাহই ভবিষ্যতে কোষের গঠন বদলে দিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মুখ ও গলার শ্লেষ্মা স্তর যখন গরমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন সেখানে ধূমপান বা অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাব আরও বেশি হয়। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে মুখ ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
খুব গরম কিছু খেলে যদি জিভ পুড়ে যায় বা ব্যথা লাগে, তা শরীরের সতর্ক সংকেত। আমরা অনেকেই তা উপেক্ষা করি, কিন্তু এই ধরনের অনুভূতিই বলে দেয় খাবারটা আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত গরম।
খাবার বা চা-কফি কিছুটা ঠান্ডা করে খান। ধোয়া ওঠা গরম খাবারে যেমন স্বাদ, হালকা গরম খাবারের স্বাদও তাই। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করলেই আপনার শরীরের বহু বছরের জটিল সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরম খাবার আরামদায়ক মনে হলেও, নিয়মিত অতিরিক্ত গরম খাবার খেলে শরীরের সংবেদনশীল কোষ ও টিস্যু গুলি ধ্বংস হতে পারে। একপর্যায়ে এই ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও কোষগত পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ছবি: পেকজেলসডটকম