এয়ার ফ্রায়ার এখন আর আমাদের দেশে অপরিচিত কোনো কিচেন গ্যাজেট নয়। ভাজাপোড়া ছাড়া কি আর ছুটির দিনের বিকালের নাশতা চলে! এদিকে তেলেভাজা খাবারের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে কথা হয় সব সময়। তাই এয়ার ফ্রায়ারে হাওয়ায় ভেজে এসব ভাজাভুজির পদ বানালে সব দিকই রক্ষা হবে।
আমরা অনেকেই এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করলেও হয়তো ভাবি, হাওয়ায় আবার ভাজাভুজি হয় কী করে! আসলে খাবারের চারপাশে গরম বাতাস সঞ্চালনের মাধ্যমেই এখানে খাবারের তাপমাত্রা বাড়ে, রান্না হয়। একধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়াও ঘটে এখানে।একে ম্যালিয়ার্ড রিঅ্যাকশন বলে। আমিষের অ্যামিনো অ্যাসিড আর খাদ্যে অবস্থিত চিনির কারণে খাবারের রং ও টেক্সচার বদলায়।
বিভিন্ন মজাদার পদ তৈরি করা যায় এয়ার ফ্রায়ারে। আর ক্যালরি ও অনেক ফ্যাট কম থাকে এতে তেলেভাজা খাবারের চেয়ে। অবশ্য অনেক সময় একেবারে তেলবিহীন প্রক্রিয়ায় নয়, বরং ডুবো তেলে ভাজার বদলে এক টেবিল চামচ (১৫ মিলি) তেল ব্যবহার করা হয় এয়ার ফ্রায়ারে।
অয়েল ব্রাশ করে নিতে হয় এখানে একটু খাবারে এয়ার ফ্রায়ারে দেওয়ার আগে। কিন্তু ডিপ ফ্রায়ার বা কড়াইয়ে ভাজলে এই তেল লাগে পঞ্চাশ গুণের বেশি। তবে এয়ার ফ্রায়ারে তেলেভাজা খাবারের তুলনায় মচমচে ভাব কিছুটা কম হয়।
এয়ার ফ্রায়ার আসলে ওজন সচেতন মানুষদের জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগা রোগীরা এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা খাবার খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
তবে মাথায় রাখতে হবে, পাতলা ব্যাটারে চোবানো খাবার এখানে তৈরি করা সম্ভব নয়। আবার এয়ার ফ্রায়ারে সময়ও লাগে অনেক বেশি। মাঝে একবার উলটে দিলে সব দিক সমানভাবে ভাজা হবে।
ফ্রায়েড চিকেন, ফ্রেঞ্চফ্রাইজ, সমুচা, শিঙাড়া, স্প্রিংরোল, আলুর চপ সবই করা যায় এখানে। আবার গ্রিলড ধরনের খাবার খুব ভালো হয় এয়ার ফ্রায়ারে। করা যায় যেকোনো কাবাব, তন্দুরি চিকেনসহ নানা নিরামিষ পদ।
ছুটির দিনের বিকালে এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা এমন সব ভাজাভুজির পদ রাখতে পারেন চায়ের সঙ্গে। তাহলে ওজন বেড়ে যাওয়া বা বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের ভয় ছাড়া আরাম করে উপভোগ করতে পারবেন সময়টা বন্ধুরা বা পরিবারের সবাই মিলে। এখন অন্তর্জালে এয়ার ফ্রায়ারের অনেক রেসিপি পাওয়া যায়। আর নিজেও নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন এতে এটা সেটা দিয়ে।
সূত্র: হেলথলাইন