ছেলেরা যা কিনছেন
বসুন্ধরা সিটিতে শেষ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চাহিদা এখন পাঞ্জাবি, কাবলি সেট, হাফ শার্ট ও পোলো শার্টের। ছেলেদের ব্র্যান্ড জেন্টল পার্কে ঢুকে বোঝা গেল, নীল, হালকা গোলাপি, অলিভ, নেভি ব্লু এবং লেমন রঙের রেমি কটনের একরঙা শার্টের চাহিদা বেশি। রয়েছে কটনের ওপর এমবস প্রিন্টের ছাপা শার্ট। কাবলি সেট বাদ দিলে কিন্তু একদম চলবে না। সাদা, কালো ও লাল রঙের কাবলি গলায় রয়েছে এমব্রয়ডারির কাজ। কিছু কাবলিতে থাকছে ভেলভেট কলার। এ ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে মেরুন, অলিভ, পার্পল, নেভি ব্লুর মতো গাঢ় রংগুলো। অনেকে পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য বেছে নিচ্ছেন কটি। পাঞ্জাবির ফ্যাব্রিক হিসেবে লিলেন, সুতি ও সিল্ক এবার ঈদে বেশি চলছে।
এক্সট্যাসিতে একরঙা সুতির পাঞ্জাবি ও লিলেন কটন মিক্সড ফ্যাব্রিকের কাবলির জন্য ভিড় জমিয়েছেন ছেলেরা। রঙের ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি, ধূসর ও প্যাস্টেলে চাহিদা বেশি। গলায় রয়েছে এমব্রয়ডারির কাজ।
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড বিশ্বরঙে রয়েছে নানা ধরনের পাঞ্জাবি। সুতি ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের সিল্কের পাঞ্জাবি। জ্যাকার্ড সিল্কের পাঞ্জাবিতে রয়েছে সুতার জামদানির বুনন, গলায় এমব্রয়ডারি। তুষার সিল্কের পাঞ্জাবির হাতায় রয়েছে সুতার কাজ আর গলায় এমব্রয়ডারি। এ ছাড়া থাকছে জয় সিল্ক, এন্ডি সিল্কের পাঞ্জাবি। কাঠের বোতাম রয়েছে পাঞ্জাবিগুলোতে। বয়স্করা বেছে নিচ্ছেন ভেজিটেবল ডাইয়ের নীল, বেগুনি, সবুজ ও ধূসর রঙের পাঞ্জাবি। সঙ্গে নিচ্ছেন সাদা পায়জামা।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড সেইলরের এক্সক্লুসিভ কালেকশনে কটিসহ পাঞ্জাবির চাহিদা এই মুহূর্তে বেশি। কিছু পাঞ্জাবির গলা এবং পকেটে রয়েছে হালকা কাজ। গিজা কটনের পাঞ্জাবির চাহিদাও রয়েছে অনেক। কিছু কিছু পাঞ্জাবিতে ব্যবহার করা হয়েছে ভিসকস ও পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিক।
দেশী দশে ঢুকে বোঝা গেল, সবচেয়ে বেশি ভিড় এখানেই। দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো দেশীয় পোশাকের বিচিত্র পসরা সাজিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাঞ্জাবি। কে ক্রাফটে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এন্ডি কটন, সুতি, এন্ডি সিল্ক এবং ভয়েল ফ্যাব্রিকের পাঞ্জাবির চাহিদা অনেক। তবে সুতির হালকা রঙের পাঞ্জাবিগুলো বয়স্করা কিনছেন বেশি। দেশীয় ব্র্যান্ড দেশালেও পাঞ্জাবির চাহিদা তুঙ্গে। মোটিফের জন্য বিখ্যাত তাদের পোশাকগুলো। অঞ্জন’সে হালকা রঙের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। এগুলোর ফ্যাব্রিক হিসেবে রয়েছে ডিজাইন কটন, এন্ডি সিল্ক ও এন্ডি ভয়েল। রঙ বাংলাদেশে বেশি চলছে স্ক্রিন প্রিন্ট, সুতার কাজ ও জামদানি প্রিন্টের পাঞ্জাবি। সাদাকালোতে সাদা পাঞ্জাবির জন্য ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।
ফ্রিল্যান্ডে প্রিন্টের শার্ট কিনতে দেখা গেছে ছেলেদের। পাঞ্জাবি তো রয়েছেই, কালো ও নীল রঙের রেমি কটনের পাঞ্জাবিতে রয়েছে ছোট ছোট ফুলের ছাপ। অন্যদিকে ক্লাবহাউজে ডিজিটাল ও স্ক্রিন প্রিন্টের সিল্কের পাঞ্জাবি, ফুলেল মোটিফের সুতি পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। কিছু পাঞ্জাবির জমিনে রয়েছে কারচুপির কাজ। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চাহিদা বেশি থাকায় পাঞ্জাবির কালেকশন প্রায় শেষের দিকে। পাঞ্জাবির পাশাপাশি অনেকের আগ্রহ শার্টের দিকে। প্লাস পয়েন্টে পোলো শার্ট এবং ডিজিটাল প্রিন্টের শার্টগুলো চলছে বেশি। আর রিচম্যানে চলছে সুতি ফরমাল শার্ট।
পোশাকের পাশাপাশি থাকছে টুপি, জুতা ও ঘড়ির চাহিদা। এ ছাড়া জুতার দোকানগুলোতে ঘুরে বোঝা গেল, ছেলেরা বেশি কিনছেন লোফার ও স্যান্ডেল সু।
মেয়েদের পছন্দ
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড বিশ্বরঙে মেয়েদের শাড়ির চাহিদা শেষ মুহূর্তে বেশি। বলাকা সিল্ক, দেশীয় তাঁত—মৃগনয়ন বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। বলাকা সিল্কের ওপর স্ট্রাইপ আঁচল, বডি ও কুঁচি আলাদা। অলিভ, লাল, নীল ও কালো রঙের এই
শাড়িগুলোতে রয়েছে এমব্রয়ডারির কাজ, আঁচলে রয়েছে পুঁতির ট্যাসল। এ ছাড়া চলছে মসলিনের ওপর ফ্লোরাল প্রিন্টের শাড়ি। ফ্যাশন হাউস অন্যমেলায় মসলিনের ওপর সুতার জামদানি কাজের শাড়ির চাহিদা বেশি। পেঁয়াজ, গোলাপি, অলিভ, হলুদ, মেলন, পেস্ট ও লাল রঙের এই শাড়িগুলোয় নিখুঁতভাবে জামদানি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে বসুন্ধরা সিটির জামদানি শাড়ির দোকানগুলোতে ঢুঁ মেরে বোঝা গেল, পার্পল, ল্যাভেন্ডার ও হালকা রঙের জামদানিই বেশি চলছে। কোনো কোনো শাড়ির অউটলেটে হালকা রঙের অরগাঞ্জা শাড়ি ও কপার গোল্ডেন কাজের তামবুরা সিল্ক কিনছেন মেয়েরা।
সেইলরে শেষ মুহূর্তে বেশি বিক্রি হচ্ছে মেয়েদের ওয়ান পিস ও ফ্রক। রংবেরঙের পোশাকগুলোতে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি, সুতা ও পুঁতির কাজ। দেশী দশের দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা এখন শাড়ি, কুর্তি, ওয়ান পিস ও থ্রি-পিসের। কে ক্রাফটের এক্সক্লুসিভ কালেকশনের মধ্যে পিউর সিল্ক ও মসলিনের মিশ্রণের মিষ্টি রঙের শাড়ি বেছে নিচ্ছেন মেয়েরা। শাড়ির কুঁচিতে পিউর সিল্ক রয়েছে আর বাকি জমিনটা মসলিনের। দেশালে রয়েছে টাঙ্গাইল শাড়ি। উপহার দেওয়ার জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ব্লক শাড়ি। টিনেজাররা বেছে নিচ্ছে থ্রি-পিস। গোলাপি, সবুজ, লাল ও কাঁঠাল রঙের জামায় রয়েছে সুতার কাজ ও জ্যামিতিক নকশা।
অঞ্জন’সে সালোয়ার-কামিজের চাহিদা বেশি। এ ক্ষেত্রে ফ্যাব্রিক হিসেবে রয়েছে পিউর সিল্ক ও এন্ডি কটন। রঙের ক্ষেত্রে নীল, পার্পল ও পেস্ট বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশে রঙিন থ্রি-পিস বেশি কিনছেন কম বয়সী মেয়েরা। শাড়ি বেছে নিচ্ছেন অনেকেই আবার। এর মধ্যে হাফ সিল্কের ওপর ব্লকের কাজ করা ফিরোজা, মেজেন্টা, সি গ্রিন ও পার্পলের মতো গাঢ় রংগুলোই ক্রেতারা বেশি কিনছেন। নাগরদোলা, সাদাকালো ও বিবিয়ানাতে থ্রি-পিস ও কুর্তির চাহিদা অনেক।
ক্লাবহাউজে মেয়েদের ওয়ান-পিস চলছে বেশি। তসর, সামু সিল্কের জামাগুলোতে রয়েছে ফ্লোরাল প্রিন্ট। ঈদ এবং এই গরমে এগুলোই বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা। এ ছাড়া মসলিনের ওপর কারচুপি ও এমব্রয়ডারির কাজ করা জামাও অনেক কিনছেন মেয়েরা। কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের থ্রি-পিস। ওড়নাটা নেটের। সামু সিল্কের ফ্লোরাল প্রিন্টের জামাও এই ফ্যাশন হাউসে বেশ চলছে। রয়েছে মেয়েদের সবুজ, কালো ও সাদা টু-পিস কাবলি। বডিতে কারচুপির কাজ।
বসুন্ধরার অন্যান্য দোকান ঘুরে বোঝা গেল, শাড়ি, ওয়ান-পিস কিংবা থ্রি-পিস ছাড়াও অনেক মেয়ের পছন্দ পার্টি ওয়্যার গাউন। বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বললেন, সারা দিনের গরমে সুতি পোশাক থাকলেও, সন্ধ্যার দাওয়াতে লং গাউন পরতে পছন্দ করেন অনেক মেয়েই।
মেয়েদের পছন্দ
ঈদের শপিং প্রায় শেষের দিকে। ধানমন্ডির মার্কেট ও শোরুমগুলো ঘুরে সেটাই বোঝা গেল। আর্টিসানে লং ও শর্ট লেডিস টপস চলছে বেশি। লিলেন কটনের কালারফুল টপসগুলোতে গলায় রয়েছে এমব্রয়ডারি, সুতা ও পুঁতির হালকা কাজ। এক্সক্লুসিভ কালেকশনের কোটিও কিনছেন অনেকে। অনেকে আবার পছন্দ করেছেন ফরমাল প্যান্ট শার্ট। কেউ কিনছেন ফ্লোরাল প্রিন্টের ফ্রক।
লা রিভে মেয়েদের টিউনিক বেশি চলছে। ভিসকস ও সুতিতে ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাকগুলো এই ঈদ এবং সামারে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। ফ্যাশন হাউস অরণ্যের ভেজিটেবল ডাই করা শাড়ি ও রেডিমেড থ্রি-পিস কিনতে এসেছেন কিছু ক্রেতা। তবে ভিড় নেই বললেই চলে। পাশেই ফ্যাশন হাউস টেক্সমার্ট। এখানে মেয়েরা কিনতে এসেছেন পার্টি ওয়্যার কামিজ সেট ও ওয়ান-পিস লং কুর্তি। সিনথেটিক জর্জেট কাপড়ের ওপর চুমকি ও ফ্লোরাল প্রিন্ট বেশির ভাগই। হাতায় রয়েছে লেইস। মেরুন, নেভি ব্লু, কালোর মতো রংগুলো বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজায় ঢুকে বোঝা গেল, পার্টি ওয়্যার, জর্জেটের লং গাউন, ফ্লোরাল প্রিন্টের টপস ও থ্রি-পিসের চাহিদা অনেক। অন্যদিকে রাপা প্লাজায় মেয়েদের শাড়ির মধ্যে বেশি চলছে মিরপুর কাতান ও দেশীয় তাঁতের শাড়ি। কফি, পার্পল, মেরুনের মতো গাঢ় রঙের শাড়িই ক্রেতাদের পছন্দ। এই মার্কেটের চারতলায় দেশীয় ব্র্যান্ড জয়িতার শোরুম। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা কেমন চলছে দেখতে গিয়ে বুঝি, এখানেই ভিড়টা সবচেয়ে বেশি। কী নেই এখানে। সুতির থ্রি-পিস, শাড়ি, টাই ডাই ও বাটিকের পোশাক, অ্যাপ্লিকের কাজের জামা সবই পাওয়া যাবে এখানে। হাতের কাজের সুতি শাড়ি, সিল্ক ও মসলিনের ওপর হ্যান্ড পেইন্ট করা শাড়ি, মেশিন এমব্রয়ডারি, সুতার কাজ করা পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে। তবে শেষ সময়ে ওয়ান-পিসগুলো বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ফ্যাশন হাউস ভারমিলিয়ানে শেষ মুহূর্তে বেশি চাহিদা ভারমিলিয়ান সিল্ক শাড়ির। শাড়ির সঙ্গে রেডি ব্লাউজও কিনছেন অনেকে। এ ছাড়া সুতির থ্রি-পিসও রয়েছে। এই শোরুমে চাঁদরাত পর্যন্ত ১০-১০০% পর্যন্ত ছাড় থাকছে নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর।
ধানমন্ডির অন্য দোকানগুলোতে ঘুরে বোঝা গেল, শেষ সময়ের কেনাকাটায় শাড়ি, রেডিমেড থ্রি-পিস ও টিনেজাররা বেছে নিচ্ছেন গাউন। বাচ্চা মেয়েদের কেনাকাটা আগেই হয়ে গেছে। তবু কিছু কিছু শোরুমে সুতি ফ্রকের চাহিদা রয়েছে।
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা ও গয়না কিনতেও আউটলেটগুলোতে মেয়েরা ভিড় জমিয়েছেন। জুতার মধ্যে ব্লক হিল, পেনসিল হিল, পাম সু ও স্লিপারের চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে গয়নার মধ্যে গোল্ডেন ব্রেসলেট, লকেট ও স্টোনের কানের দুল কিনছেন বেশি মেয়েরা।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড আর্টিসানে ছেলেদের হালকা রঙের ফরমাল শার্ট ও ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবির চাহিদা অনেক। পাশেই লা রিভ। সেখানে এক্সক্লুসিভ কালেকশনের গাঢ় রঙের সুতার কাজ ও পুঁতি বসানো সেল কটন পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অনেকে বেছে নিচ্ছেন রেগুলার ফিট পাঞ্জাবি। এগুলো বেশির ভাগই ডিজিটাল প্রিন্টের। নেভি ব্লু, ব্রাউন, রেড ও কালোর চাহিদা বেশি এখানে। প্রিন্টেটেড ভিসকস, সিল্ক ফেব্রিকের পাঞ্জাবিও কিনছেন ছেলেরা।
দেশীয় ব্র্যান্ড অরণ্যতে ভেজিটেবল ডাইয়ের পাঞ্জাবি কিনছেন অনেকে। কিছু রয়েছে সিল্কের ওপর সুতার বুনন। কাঁথা স্টিচের এই পাঞ্জাবিগুলো সাদা, নীল, সবুজ—এসব রঙের রয়েছে। কাপড়টি বেশ গ্লসি। এ ছাড়া রয়েছে কোটা কাপড়ের পাঞ্জাবি। গরমে পরতে আরাম।
টেক্সমার্টে কটন পাঞ্জাবির চাহিদা রয়েছে বেশি। অন্যদিকে কেটস আইতে হালকা রঙের ফরমাল শার্ট ও পাঞ্জাবির জন্য ভিড় করছেন ক্রেতারা। জেন্টল পার্কে সলিড কালারের পাঞ্জাবি চলছে বেশি এই মুহূর্তে। হালকা রঙের এই পাঞ্জাবিগুলো কিনছেন বয়স্করা। গলায় এমব্রয়ডারির হালকা কাজ রয়েছে।
শপিং মল জেনেটিক প্লাজায় ছেলেদের পাঞ্জাবিই চলছে বেশি। এ ছাড়া অনেকে কিনছেন পোলো টি-শার্ট। রাপা প্লাজায় ছেলেরা বেশি কিনছেন শার্ট।
ধানমন্ডি এলাকার শপিং মলগুলো ঘুরে বোঝা গেল, সবকিছুর ওপরে পাঞ্জাবির চাহিদাই শেষ সময়ে সবচেয়ে বেশি। বাচ্চা ছেলেদের পোলো টি-শার্ট ও হাফ শার্টের চাহিদাও রয়েছে। অনুষঙ্গ হিসেবে হাতঘড়ি ও জুতা কিনছেন অনেকে। স্যান্ডেল সু, লোফার এই ঈদে চলছে বেশি।