এই ঈদে সব বয়সী নারীর জন্য শাড়ি হচ্ছে মূল আকর্ষণ। যেহেতু এবার গরম একটু বেশিই, তাই আরামদায়ক ফেব্রিক হিসেবে সুতি রয়েছে সবচেয়ে এগিয়ে। উৎসবে সবাই একটু রঙিন কাপড় পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু স্বস্তির কথা মাথায় রেখে এবারের শাড়িতে হালকা রংগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। সাদা, নীল, হালকা হলুদ, হালকা কমলা, লেমন, ক্রিম, ধূসর রঙের শাড়িগুলোতে থাকছে ব্লকের কাজ। কোনো কোনো শাড়িতে আবার হালকা এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি, স্ক্রিন প্রিন্ট রয়েছে। যেহেতু খুব হালকা কাজের শাড়ি ডিজাইন করা হয়েছে, তাই আঁচলে বাহারি ট্যাসেলের ব্যবহার থাকছে।
ফ্যাশন হাউস ‘কইন্যা’র ডিজাইনার তাসমিনা তাবাসসুম জানান, ‘মায়েদের কথা মাথায় রেখে এবার বেশকিছু শাড়ি ডিজাইন করা হয়েছে। শাড়িগুলো সব হালকা রংয়ের। পাড় কোনোটার চিকন, কোনোটা আবার পাড় ছাড়া। জমিনে থাকছে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার পঙ্ক্তিমালা। এ ছাড়া ২০টি ভাষায় ‘ভালোবাসি মা’ কথাটি লেখা রয়েছে। মাকে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে সুন্দর উপহার আর কী হতে পারে?’
সুতি শাড়ির পাড় এবং আঁচলে প্যাচওয়ার্ক এখনকার ট্রেন্ডি। এ ছাড়া থাকছে জামদানি। উপহার হিসেবে এক্সক্লুসিভ মসলিন শাড়িও কিন্তু পিছিয়ে নেই। মায়ের পছন্দের রং আর আরামের কথা মাথায় রেখে বেছে নিন শাড়ি। বিশ্বরঙ, কে-ক্রাফট, রঙ বাংলাদেশ, আড়ং, খুঁত, দেশাল, কিউরিয়াস , অঞ্জন’স, বিবিয়ানা, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের মতো দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে আছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি সাধ্যের মধ্যে থাকা দামে।
ঈদে বাবাকে দেওয়ার জন্য পাঞ্জাবি ছাড়া অন্য কিছু কি ভাবা যায়? তবে ভারী কাজের পাঞ্জাবি থেকে বের হয়ে এখন সবাই আগে ভাবছেন স্বস্তির কথা। আর স্বস্তি মানেই সুতি কাপড়। নানা ধরনের সুতি কাপড়ে এবার পাঞ্জাবিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এগুলো সিম্পল অথচ ক্লাসি। সুতি ছাড়াও থাকছে সাটিন ও ক্রিসপি সিল্ক। পাঞ্জাবিগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন স্টাইলের পাশাপাশি আরামও মেলে। অফহোয়াইট, সাদা, মেরুন, কালো, রয়েল ব্লু, গ্রিন, ধূসর রং এবারের পাঞ্জাবিতে বেশি দেখা গেছে। এসব পাঞ্জাবির বেশিরভাগই সিঙ্গেল কালার ও ডিজিটাল প্রিন্টের। রুচিশীল এম্ব্রয়ডারি ও কারচুপি কাজ করা পাঞ্জাবিতে পাওয়া যাবে দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোতে। সঙ্গে থাকছে ম্যাচিং টুপি। ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘বাবাকে কোনোকিছু উপহার দিতে গেলেই প্রথমে মাথায় আসে আরামের কথা। আমরা হয়তো রঙিন কাপড়ে বাবা–মাকে দেখতে চাই। কিন্তু তাঁরা সাদামাটা রংয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই আমাদের সাব-ব্র্যান্ড ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’তে বাবার জন্য পাঞ্জাবি এবং ফতুয়ায় খুবই হালকা রং ব্যবহার করেছি। অস্বস্তি যেন না হয় তাই গলায় অল্প কাজ রেখেছি। আরামের জন্য পাঞ্জাবিগুলো এমনভাবে তৈরি করেছি, যেন গায়ে লেগে না থাকে।
দেশি ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে আসতে পারেন। উপহার হিসেবে বাবাকে পাঞ্জাবির জন্য কেনা যেতে পারে ফতুয়াও।
ছবি: শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং কইন্যা