এই ঈদে বৈচিত্র্যময় ঈদের পোশাক নিয়ে এসেছে ক্লদিং ব্র্যান্ড নাজিয়া বেগ স্টুডিওস। ব্র্যান্ডটির স্বত্বাধিকারী নাজিয়া বেগ জানান, ১০ বছর আগে নিজের ক্লদিং লাইন ‘ডিভা বাই নাজিয়া’ নামের দুটি শোরুম নিয়ে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু মাতৃত্বকালীন বিরতিতে তা বন্ধ করে দেন। তারপর চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বনানীতে নতুন করে নাজিয়া বেগ স্টুডিওস নামে যাত্রা শুরু করেছে এই ক্লদিং ব্র্যান্ড।
ডিজাইনার নাজিয়া নানা ধরনের পার্টিওয়্যারে সাজিয়েছেন তাঁর এবারের ঈদের পসরা। নিজস্ব ডিজাইন আর বিভিন্ন ট্রেন্ডি ও দৃষ্টিসুখকর রঙের শেড ফুটে উঠেছে প্রতিটি পোশাকে। এর মধ্যে ফ্যাশনপ্রেমী ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় আছে পাঞ্জাবি, সালোয়ার–কামিজ, শাড়ি, কাফতান আর কুর্তি।
নাজিয়া জানান, এ বছর ঈদ কালেকশনের প্রস্তুতি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে আবহাওয়া। এ বছর গরম বেশি পড়বে, এ কথা মাথায় রেখে পুরো ঈদ কালেকশন সাজানো হয়েছে।
তাই পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ফেব্রিক। এ ছাড়াও সুতি, শিফন, সিল্ক, রাজশাহী মসলিন হিসেবে পরিচিত র সিল্কও বেছে নেওয়া হয়েছে ফেব্রিক হিসেবে। এই পোশাকগুলোতে মাধ্যম হিসেবে তিনি হ্যান্ড এমব্রয়ডারি আর কারচুপির কাজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, এই কালেকশনে প্যাস্টেল শেডগুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
হালকা নীল ও গোলাপির মতো রংগুলো মেয়েদের পোশাকে বেশ ফুটে উঠেছে। আর ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে হালকা থেকে গাঢ় দুই ধরনের শেড নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
ঈদ কালেকশনে ছেলে বা মেয়েদের পোশাক ছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে ছোট শিশুদের আউটফিট। ২ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের পোশাক রয়েছে এই কালেকশনে। রয়েছে পরিবারের সবাই মিলে পরার জন্য ম্যাচিং সেটও। বাবা–ছেলের জন্য পাঞ্জাবি আর মা–মেয়ের জন্য এক রকমের সালোয়ার–কামিজ একসঙ্গে পরলে বেশ সুন্দর দেখাবে—জানান নাজিয়া বেগ। এই সেটগুলোতে চোখে আরাম দেয় এমন রঙের কম্বিনেশন রাখা হয়েছে। আর ফেব্রিকগুলোও আবহাওয়া বিবেচনায় আরামদায়ক। সব মিলিয়ে নাজিয়া বেগ তাঁঅর কালেকশনে পরিবারের সকলের জন্যই উপযোগী পোশাক রেখেছেন ঈদকে সামনে রেখে।
ছবি: নাজিয়া বেগ