
ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের কাছে অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড ওয়্যারহাউস এখন এক পরিচিত নাম। ট্রেন্ডি পোশাক ও আভিজাত্যপূর্ণ শাড়ির জন্য ব্র্যান্ডটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির অনুপ্রেরণা নিয়ে সমসাময়িক ফ্যাশনকে নতুনভাবে উপস্থাপন করাই ওয়্যারহাউসের মূল বৈশিষ্ট্য। শুরু থেকেই তারা গুরুত্ব দিয়ে আসছে এমন সব পোশাক তৈরিতে, যেগুলো শুধু উৎসবেই নয়, বরং বছরজুড়ে পরা যায়।

পূজা শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এ এক আবেগ, এক উৎসব, যেখানে বাঙালির সাজপোশাক পায় এক নতুন মাত্রা। সেই সাজকে আরও অনন্য করে তুলতে ওয়্যারহাউস এবার এনেছে তাদের বিশেষ পূজা শাড়ি কালেকশন। ওয়্যারহাউস সব সময় চেষ্টা করে ফ্যাশনে নতুনত্ব আনতে, আবার ঐতিহ্যের শিকড়ও ধরে রাখতে। তাই এই সংগ্রহে পাওয়া যাবে একদিকে সরল, মিনিমাল ডিজাইনের শাড়ি, অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী অলংকরণে ভরপুর আভিজাত্যের ছোঁয়া। ফলে তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক সব বয়সের নারীর রুচির সঙ্গেই মিলে যাবে এই কালেকশনের কোনো না কোনো ডিজাইন।
শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে ওয়্যারহাউস এবার নিয়ে এসেছে এক বিশেষ ক্যাপসুল কালেকশন, যেখানে ঐতিহ্যের আবেদন মিলেছে আধুনিক ফ্যাশনের ছোঁয়ায়। এবারের থিম সাজানো হয়েছে প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। মোগল আমলের দেয়ালচিত্র থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী পূজামণ্ডপের শিল্পরূপ পর্যন্ত নানা উৎস থেকে উঠে এসেছে নতুন ডিজাইনের ধারণা। এগুলোকে আধুনিকভাবে রূপ দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল প্রিন্টে, যা একদিকে আমাদের মনে করিয়ে দেয় ঐতিহ্যের সৌন্দর্য, আবার অন্যদিকে আনে আধুনিকতার সতেজ ছাপ।

তাদের সংগ্রহে রাখা হয়েছে ভিন্ন বয়স ও ভিন্ন রুচির নারীর উপযোগী শাড়ি। যাঁরা সরলতাকে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য আছে সমসাময়িক মিনিমাল ডিজাইন যেমন রোজ শাড়ি। আর যারা চিরায়ত আভিজাত্য খোঁজেন, তাঁদের জন্য রয়েছে ঐতিহ্যনির্ভর শাড়ির ভিন্ন ভিন্ন ধরন। তবে তাঁদের সব শাড়ি তৈরি হয়েছে ডিজিটালি প্রিন্টেড ওয়েটলেস জর্জেট কাপড়ে, সঙ্গে রয়েছে রানিং ব্লাউজ পিস। হালকা, বাতাস চলাচলযোগ্য এবং আরামদায়ক এই কাপড় উৎসবের ভিড়, আড্ডা কিংবা মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো—সবক্ষেত্রেই উপযোগী।
এই ক্যাপসুল কালেকশনে ওয়্যারহাউস বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে তাঁদের গুণগত মানে। পূজার সাজ শুধু কয়েক দিনের উৎসব নয়, বরং এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা, যা অনেক দিন মানুষের মনে থেকে যায়। তাই একের পর এক অসংখ্য ডিজাইন বাজারে আনার বদলে ওয়্যারহাউস বেছে নিয়েছে সীমিত কিন্তু অর্থবহ কিছু শাড়ি তৈরি করতে, যার প্রতিটি শাড়ির নকশা তৈরি করা হয়েছে গভীর চিন্তা ও যত্ন নিয়ে। কোথাও মিশেছে মোগল দেয়ালের নকশা, কোথাও ধরা পড়েছে পূজামণ্ডপের শৈল্পিক সৌন্দর্য। এটি একদিকে ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যদিকে আধুনিক প্রিন্টের অভিনব ব্যবহার প্রকাশ পায়। ডিজিটাল প্রিন্টের হালকা জর্জেটের এই শাড়িগুলো শুধু আরামদায়কই নয়, বরং নান্দনিকতায় ভরপুর।

এবার ওয়্যারহাউসের ডিজাইনে এসেছে কাশফুলের কোমলতা, শরত হাওয়ার আরাম ও প্রকৃতির রং। এগুলোর প্রতিটি ভাঁজে যেন লুকিয়ে আছে একেকটি কবিতা। সাহসী নকশা, রোমান্টিক মোটিফ ও বিলাসবহুল কাপড় মিলে এবারের পূজা সংগ্রহ হয়ে উঠেছে নারীর আত্মপ্রকাশের অনন্য প্রতীক।
উৎসবের আলো, হাসি আর আনন্দে ভরা এই পূজায় ওয়্যারহাউসের শাড়ি কালেকশন শুধু সাজ নয়, বরং এটি এক অভিজ্ঞতা। প্রতিটি নকশা, প্রতিটি কাপড়, প্রতিটি ভাঁজে লুকানো আছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার নিখুঁত সমন্বয়। আরাম, আভিজাত্য ও টেকসই ফ্যাশনের সমন্বয়ে তৈরি এই শাড়িগুলোকে পরিধান করলে প্রতিটি নারী অনুভব করবে নিজস্ব শক্তি ও শৈল্পিক সৌন্দর্য।

টেকসই ফ্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে ওয়্যারহাউসের কর্ণধার তাসনিম ফেরদৌস বলেন, ‘পূজার জন্য শাড়ি তৈরি করতে গিয়ে আমরা চাই এমন সব কাপড় ও নকশা, যা আরামদায়ক, দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই হবে। ভারী বা জটিল পোশাক পরলে উৎসবের সময় আনন্দে ব্যাঘাত আসে। তাই আমাদের কালেকশনের প্রতিটি শাড়ি হালকা ও সহজে পরিধেয়।’
তাসনিম ফেরদৌস আরও যোগ করেন, ‘পূজার পোশাকে ক্রেতাদের দৈর্ঘ্য, কাট ও ফিটের পছন্দকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। লুজ ফিটিং ডিজাইন পোশাক আরামদায়ক রাখে, আবার ফ্যাশনের সঙ্গে স্টাইলও নিশ্চিত করে। এ জন্য আমাদের শাড়ি ও কুর্তা সবই ঢিলেঢালা ও হালকা কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে, যাতে পূজার আনন্দের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা যায়।’
ছবি: ওয়্যারহাউস