মায়ের মুখে রাজা-রানি, পাখি ও প্রাণীদের বিভিন্ন গল্প শুনেই আমরা চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হয়ে বেড়ে উঠি। চাঁদের বুড়ি, বাঘ মামা, শেয়াল পণ্ডিত, টানা চোখের মায়াবী হরিণ- এসবের সঙ্গে মায়ের গল্প থেকেই পরিচয় হয় আমাদের। মায়ের মুখের সেই গল্পগুলো স্মৃতি হয়ে গেঁথে থাকে মনে। এই গল্প বলতে গিয়ে মায়েরাও ফিরে যান নিজের ছোটবেলায়। সেই অনুভূতিকেই শাড়িতে তুলে এনেছে আরবান ভোগ।
আরবান ভোগের স্বত্বাধিকারী সুমাইয়া আরজু সদ্য মা হয়েছেন। সন্তানের গল্পের প্রিয় চরিত্রগুলো শাড়িতে তুলে এনেছেন । এই সিরিজের শাড়িগুলোর নামও খুব আদর করেই রাখা হয়েছে -দ্য রেড হেন, বেয়ার অ্যান্ড বি, দা বিউটিফুল ডিয়ার। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, লাল মোরগ, ভালুক ও মৌমাছি, হরিণের গল্প উঠে এসেছে তার ১২ হাতের এই ক্যানভাসে।
গল্পে শোনা কিংবা বই ও টিভিতে দেখা চরিত্রগুলো মাকে পড়তে দেখলে বাচ্চাদের ভেতর এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ হবে - এটা ভেবেই শাড়িগুলো আনতে শুরু করেন আরবান ভোগের সুমাইয়া আরজু। তিনি বলেন, ব্যাপারটি আসলে কিন্তু তাই হলো। আমি আমার ছেলেকে দিয়েই যাচাই করলাম। কী যে খুশি হলো ও! ও যখন দেখল মায়ের গায়ে ওর চিরচেনা ভাল্লুকটা বসে আছে, মৌমাছিগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে-ওর চোখের জ্বলজ্বল চাহনি ছিল দেখার মতো ।
গল্পের লাল মোরগকে মায়ের আঁচলে লুটোপুটি করতে দেখে আনন্দে আত্মহারা হওয়া সন্তানের চোখ তাঁকে সিরিজটি আরও বড় করতে অনুপ্রাণিত করেছে। ফেবল স্টোরি সিরিজে এখন ৩টি শাড়ি আছে। তবে আরও নতুন কিছু শাড়ি যোগ হবে শিগগিরই। কারণ ইতিমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে তাদের এই শাড়িগুলো।
সুতি ও নাইলনের মিশ্রণে তৈরি একটি আরামদায়ক ও হালকা ফেব্রিকসে এই শাড়িগুলো করা হয়েছে। তাই এই রোদবৃষ্টির দিনেও সারা দিন পরে থাকা যাবে সহজেই। ডিজিটাল প্রিন্টে প্রতিটি মোটিফ নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে।
এ ছাড়াও চোখে আরাম দেবে এমন রঙে সাজানো হয়েছে আরবান ভোগের ফেবল স্টোরি সিরিজ। ধূসর, পিচ, নীল, হলুদ ও সবুজের হালকা শেডগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সুমাইয়া আরজু বলেন, ছোট বাচ্চাদের মায়েদের সারা দিন কাটে দৌড়ঝাঁপে। আবার যদি কর্মজীবী হন, তাহলে তো কথাই নেই। এ ক্ষেত্রে হালকা রং কিছুটা মানসিক স্থিরতা ও প্রশান্তি দিতে পারে।
ছবি: আরবান ভোগ