
সালটা ২০১৪। মিস আয়ারল্যান্ড বিজয়ী হয়ে চমকে দেন বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আখতার প্রিয়তী। এরপর মিস আর্থ আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকায় মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল, মিস ইউনিভার্সাল রয়্যালটি, ইউকে টপ মডেল, আইরিশ মডেল অব দ্য ইয়ারের মতো আন্তর্জাতিক বহু প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতেন তিনি। প্রিয়তি একই সঙ্গে মডেল, অভিনেত্রী, পাইলট আর তিন সন্তানের দায়িত্বশীল মা।
বহু গুণে গুণান্বিত প্রিয়তি সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে আবারও সামনে এসেছেন আকর্ষণীয় সব লুকে। পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিয়তির হাতে উঠেছিল টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ড। সে সময় ইন্টেগ্রিটি ম্যাগাজিন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিশ্বের নানা প্রান্তের মডেলরা অংশ নিয়েছিলেন। সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে সেরার সম্মান অর্জন করে নেন। আর গত বছর ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অংশ নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন প্রিয়তি। এ বছরও অংশ নিয়েছেন তিনি। কানের লালগালিচায় এবার দশমবারের মতো হাঁটলেন তিনি। বোঝাই যায়, কানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সখ্য সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর।
আজকের এ আয়োজন প্রিয়তীর বেছে নেওয়া কানের আকর্ষণীয় পোশাকগুলো নিয়ে। তবে প্রিয়তীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর এবারের অভিজ্ঞতা অন্যবারের চেয়ে কিছুটা আলাদা। কারণ, উদ্বোধনের আগের দিন কান ফেস্টিভ্যাল থেকে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়, অতিরিক্ত বড় ট্রেন বা বিশালাকৃতির ভলিউম আছে, এমন পোশাক নিষিদ্ধ। এটা শুনে অনেকটাই আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। কেননা পোশাক ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি জানান, সবচেয়ে খারাপ লেগেছে ডিজাইনারদের জন্য। কারণ, তাঁরা দীর্ঘ সময় ব্যয় করে একেকটি পোশাক বানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত প্রিয়তী যদিও সবকিছু ম্যানেজ করে কান মাতিয়েছেন ছয়টি ভিন্ন আমেজের পোশাকে। তাঁর প্রথম তিন দিনের পোশাকের বিশেষ আকর্ষণে ছিল টেকসই বা সাসটেইনেবল থিম। যেগুলো নকশা করেছেন আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত ডিজাইনার ক্লেয়ার গারভির। আর কানে প্রিয়তির মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলের দায়িত্বে ছিলেন ক্রিস্টিনা জয়।















ছবি: মাকসুদা আখতার প্রিয়তী