অফলাইন হোক কিংবা অনলাইন, বর্ণিল পোশাকের পসরা সেজেছে পূজাকে কেন্দ্র করে। পূজার থিম থেকে অনুপ্রাণিত ডিজাইন যেমন আছে, তেমনি অনেকে প্রাধান্য দিচ্ছেন সর্বজনীন নকশায়। বরাবরের মতোই উৎসব চলে গেলেও যেন পোশাকের আবেদন না কমে, সে কথা ভেবে পূজার সংগ্রহ এনেছে ওয়্যারহাউস। ব্র্যান্ডটির বিশেষত্বই হলো, পোশাকে উৎসবের আমেজ থাকলেও নকশা এমনভাবে করা, যা সারা বছরই পরা যায়।
সমসাময়িক নকশা ও কাটের পোশাক নিয়ে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে আছে ওয়্যারহাউস। পূজাসংগ্রহেও সেই চমক ধরে রেখেছে ব্র্যান্ডটি। সব বয়সী নারীর কথা মাথায় রেখে চিরায়ত শাড়ি থেকে শুরু করে রাখা হয়েছে ওয়েস্টার্ন ও ফিউশনধর্মী পোশাক। আছে কুর্তি, জাম্পস্যুট, শর্ট ও লং কাফতান। হালকা জর্জেট ও পলিয়েস্টার কাপড়ে করা হয়েছে পোশাকগুলো। কাপড়গুলো শীত ছাড়া সারা বছরই আরামদায়ক।
পূজাসংগ্রহের এবারের পোশাকের নকশা ওয়্যারহাউসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার তাসনিম ফেরদৌসের ইউরোপ ভ্রমণ থেকে অনুপ্রাণিত। তাঁর স্কেচবুকের ডুডলস ও বিমূর্ত সব আঁকিবুঁকি আর ইউরোপের প্রকৃতি–প্রাণিত দৃশ্যপট উঠে এসেছে কাপড়ের ক্যানভাসে। বার্সেলোনা ও ভেনিসের ম্যাপও উঠে এসেছে নকশায়। মিনিমাল ও স্টাইলিশ নকশাগুলো একই সঙ্গে সময়োপযোগী ও উৎসবধর্মী।
ওয়্যারহাউসের পূজাসংগ্রহে হেমন্তের সব রং ফুটে উঠেছে ডিজিটাল ও স্ক্রিন প্রিন্টে। অফহোয়াইট, মেরুন, বোটল গ্রিন ও দারুচিনি রঙে সাজানো হয়েছে পোশাকগুলো। জামার দৈর্ঘ্য ও কাটের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে ওয়্যারহাউস।
প্রচলিত বোট ও ভি–নেকও রয়েছে পূজার পোশাকে। রেগুলার কাটের পাশাপাশি নজর কাড়ছে অ্যাসেমেট্রিক কাটের পোশাক। লং ও শর্ট লেন্থের ড্রপ শোল্ডার হাতা বিশেষ আর্কষণ যোগ করেছে কাফতানগুলোয়। পূজায় আনন্দ–আড্ডার পাশাপাশি কাজের ধকলও যায় বেশ। তাই ওয়্যারহাউসের পোশাকগুলো ঢিলেঢালা ধরনেরই রাখা হয়েছে।
তাসনিম ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা এবার ক্রেতাদের প্রাণবন্ত কিছু দিতে চেয়েছি, যেখানে মিনিমাল নকশায় প্রাত্যহিক আরামের সঙ্গে নিশ্চিত করতে চেয়েছি উৎসবের আমেজও।’
ছবি: ওয়্যারহাউস