এমন দাবদাহে স্বস্তি দেবে যেমন পোশাক

গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে সবার প্রাণই ওষ্ঠাগত। এ অবস্থায়ও সবাইকে জীবনের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে। এমন সময় পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই আরাম ও স্বস্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে সেটা স্টাইলের সঙ্গে আপস না করেই করা যাবে।

গরমে সবারই উচিত ঢিলেঢালা পোশাক পরা। যত ঢোলা তত ভালো। ঢিলেঢালা পোশাকের ভেতর দিয়ে খুব সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে পরিধানে আরাম পাওয়া যায়। অনেকেই ভাবেন ঢিলেঢালা পোশাকে ঠিকমতো স্টাইল করা যায় না। কথাটা মোটেও ঠিক নয়। ঢোলা বা ওভারসাইজ পোশাক এখন ট্রেন্ডি। এ ধরনের পোশাক স্টাইল করা যায় হাজারভাবে।

এ গরমে হালকা রঙের পোশাক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। হালকা রঙের পোশাক পরলে যেমন আরাম, তেমন চোখকেও দেয় প্রশান্তি। এর ভেতর সাদা রঙের পোশাক গরমের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। কারণ, এর তাপ শোষণের ক্ষমতা খুব কম। সম্প্রতি জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী তোশিয়াকি ইচিনোজের একটি গবেষণার ফলাফল বেরিয়েছে, যেখানে তিনি ও তাঁর গবেষক দল মিলে বের করেছেন, কোন রঙের পোশাক তীব্র গরম ও রোদে স্বস্তি দেবে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাদার পর হলুদ, ধূসর ও লাল রঙের কাপড় শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই গরমের জন্য গোলাপি, বেগুনি, নীলের হালকা শেডের পোশাক বেছে নেওয়া যায়।

এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো সুতি কাপড়ের পোশাক। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতি কাপড়ের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া এর ঘাম শোষণক্ষমতাও বেশি। সুতির পরই গরমে আরামদায়ক কাপড়ের দৌড়ে এগিয়ে নরম লিনেন। এ ছাড়া বেছে নিতে পারেন খাদি, ভিসকস, ধুপিয়ান, শিফন, সিল্কের পোশাক। গরমে কোনোভাবেই ভারী ও সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক পরা উচিত নয়।

এ সময় মেয়েরা বেছে নিতে পারেন ঢিলেঢালা কামিজ, কুর্তি, টিউনিক, টপস। ফুলহাতার পোশাক না পরে হাফহাতা বা স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন। বটম হিসেবে এখন পালাজ্জো, ধুতি সালোয়ার, ওয়াইড লেগড জিনস বা গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট, লম্বা স্কার্ট খুব চলছে। এগুলো গরমে পরতেও বেশ আরামদায়ক হবে। ট্রেন্ড হিসেবে এখন মিডি ও ম্যাক্সি ড্রেসের জনপ্রিয়তা অনেক। চাইলে এগুলো দরজির কাছে ফরমাশ দিয়ে সুতি বা লিনেন ফেব্রিকে বানিয়ে নেওয়া যায়। যাঁরা শাড়ি পরতে চান, তাঁরা সুতি, কোটা, জর্জেট ও সিল্কের শাড়ি বেছে নিতে পারেন।

ছেলেরা এ সময় একরঙা, ছাপা বা চেকের ঢিলেঢালা শার্ট পরতে পারেন। এ ছাড়া ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে সুতি কাপড়ের ফতুয়া বা শর্ট পাঞ্জাবিও পরা যেতে পারে। এগুলোর সঙ্গে স্ট্রেট কাট জিনস ও চিনো খুব ভালো মানায়।

গরমে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার জন্য আরামদায়ক পোশাক হলো টি-শার্ট। অন্যদিকে এখন আমাদের দেশে ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই হাওয়াই ও কিউবান শার্ট পরতে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের শার্ট গরমে স্টাইল ও স্বস্তি দুটিই দিতে পারে।

ছবি: হাল ফ্যাশন