দেশীয় মডেস্ট ব্র্যান্ড হায়া বাই সানজানা এবার ঈদে মডেস্ট ফ্যাশনওয়্যারের ক্ষেত্রে এনেছে নতুনত্ব। ব্র্যান্ডটির এবারের কালেকশনে যোগ করা হয়েছে ব্লেজার আবায়া। হায়া বাই সানজানা থেকে দাবি করা হয়েছে, ব্লেজার কাটের এই আবায়া ঈদে মডেস্ট ফ্যাশন অনুসারীদের পাশাপাশি অন্য নারীদেরও আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ঈদ কালেকশনে বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই কাপড়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হায়া বাই সানজানার আবায়াগুলো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কালেকশন করা হয় বলে জানান হায়া বাই সানজানার সিইও এবং ডিজাইনার সানজানা ইয়াসনা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে যেসব ডিজাইনার মডেস্ট ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের ডিজাইন অনুসরণ করে নিজেদের সিগনেচার ডিজাইনগুলো করা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে এবারের ঈদে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মেরুন, পার্পেল, মিন্ট ও গোল্ডেন কালারের আবায়া। বর্তমান সময়ের ফ্যাশনসচেতন মডেস্ট নারীদের কথা মাথায় রেখে হায়া বাই সানজানা কালো আবায়ার সঙ্গে ভিন্ন রং যোগ করেছে ঈদ উপলক্ষ করে। আবার অনেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে পরার জন্য রঙিন আবায়ার খোঁজ করেন। তাঁদের জন্য রয়েছে রঙিন আবায়া। এ ছাড়া তরুণীদের মধ্যে যাঁরা নতুন আবায়া পরছেন বা যাঁরা রমজান মাসে ওমরাহতে যাচ্ছেন বা হজে যাবেন তাঁদের জন্য গরম আবহাওয়ায় পরার উপযুক্ত আবায়া এনেছে হায়া বাই সানজানা।
হজ ও ওমরাহর ক্ষেত্রে সাদা রংকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হায়া বাই সানজানার আরেকটি আকর্ষণ নোজ নিকাব, যেটি সবার নজর কেড়েছে আর মডেস্ট ফ্যাশন জগতে ভিন্ন লুক যোগ করেছে। হায়া বাই সানজানার সিগনেচার রেডি জার্সি হিজাবগুলো বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়ায় সবার মন কেড়েছে।
হায়া বাই সানজানার সিইও এবং ডিজাইনার সানজানা ইয়াসনা বলেন, জিলাবিয়া মধ্যপ্রাচ্যেও নারীদের উৎসবের অন্যতম একটি পোশাক, যেসব নারী আবায়া পরিধান করেন অথবা করেন না; তাঁরা সবাই জিলাবিয়া পরিধান করেন।
বিশেষ কোনো উৎসবে জিলাবিয়া প্রথম বাংলাদেশের মডেস্টি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। মা-মেয়ে ম্যাচিং আবায়া হায়া বাই সানজানার ক্রেতাদের সবচেয়ে পছন্দের কালেকশন এবার, মা-মেয়ে ম্যাচিং করে এক রকম আবায়া এই প্রথম হায়া বাই সানজানাতে নিয়ে এসেছে।
হায়া বাই সানজানাতে এক থেকে ১০ বছর পর্যন্ত মেয়েদের আবায়া পাওয়া যায়। এই সেট অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে হায়া বাই সানজানার ক্রেতাদের কাছে এবার ঈদে। শোরুম লোকেশন উত্তরা-১১, রোড-১৯, হাউস-১৫, জমজম টাওয়ারের বিপরীতে, টপ টেনের পেছনের গলি।