উৎসবে সিকুইনড ড্রেস

সিকুইন। নানা আকৃতির ছোট ছোট ঝলমলে চাকতি। ধাতু বা প্লাস্টিক—দুই ধরনেরই হতে পারে। পোশাক থেকে শুরু করে অনুষঙ্গ—সবকিছুতেই এমবেলিশমেন্ট হিসেবে রয়েছে এর বহুল ব্যবহার। এক শ বছর ধরে ফ্যাশন ট্রেন্ডে বেশ সমাদৃত সিকুইনের পোশাক। ফ্যাশনে সিকুইনের আবির্ভাবের ইতিহাসও বেশ চমকপ্রদ। ১৯২২ সালের মিসরে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা অনেক পরিশ্রম করে খুঁজে পান বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেনের কবর। সেখানে তুতেনখামেনের মমির সঙ্গে আরও পাওয়া যায় খাঁটি সোনার গোল চাকতিতে অলংকৃত গর্জাস সব পোশাক। এই কবর ও তার ভেতরে পাওয়া পোশাকগুলো আবিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা ফ্যাশনে দ্রুত এই চকচকে শিল্পকর্ম প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। তখন চলছে ‘রোরিং টোয়েন্টিজ’-এর দশক। সে সময়ের ফ্ল্যাপার অর্থাৎ তরুণ, প্রগতিশীল আধুনিক নারীদের গো-টু পার্টি ওয়্যার ছিল সিকুইনের পোশাক। সেই থেকে শুরু। এখনো সিকুইন এমবেলিশড পোশাক পার্টি ওয়্যারের সমার্থক হয়ে আছে।

এই এক শ বছরের সিকুইনের পোশাক নিয়ে বেশ নিরীক্ষা হয়েছে। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যেমন এখন শুধু সন্ধ্যা বা ডিস্কো নাইটের পোশাক নয়, ডে ওয়্যার হিসেবেও সিকুইনের পোশাক পরা হচ্ছে। অন্যদিকে আগে শুধু নারীদের পার্টি ওয়্যার হিসেবে সিকুইন পোশাকের বেশ কদর থাকলেও এখন পুরুষেরাও এ ধরনের পোশাক বেছে নিচ্ছেন। পশ্চিমের মতো আমাদের দেশে ছেলেদের ফ্যাশনে পার্টি ওয়্যার হিসেবে সিকুইন এমবেলিশড টাক্সেডো, জ্যাকেট, শার্ট, প্যান্টের বেশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে।  

পশ্চিমে প্রতিবছর এই ছুটির মৌসুমে সিকুইনড পোশাকের বিক্রি বেড়ে যায়। এই কথা মাথায় রেখে এবার আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড বড়দিন ও নববর্ষের পার্টির কথা মাথায় রেখে সিকুইনের পোশাক বাজারে এনেছে। এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে নেশনের সহযোগী ব্র্যান্ড নেশন পিঙ্ক অন্যতম।

তাদের নতুন ব্লিং ইট অন নামের সেলিব্রেশন কালেকশনে মেয়েদের জন্য রয়েছে সিকুইনের কো-অর্ড ও  থ্রি-পিস সেট ও জ্যাকেট। এ ছাড়া ছেলেদের জন্য আছে জ্যাকেট ও শার্ট। এই পোশাক বড়দিন ও নববর্ষের পার্টির আমেজ যেমন বাড়িয়ে দেবে, তেমনি এই ছুটির মৌসুম শেষ হলেও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে ক্যাজুয়াল ওয়্যার হিসেবেও পরা যাবে।  

হিরো ইমেজ: পোশাক: র নেশন, মেকআপ: হাসান, মডেল: রাব্বি, মাহেলকা ও তুবা, ছবি: সাইফুল ইসলাম, লোকেশন: হলিডে ইন ঢাকা