পীর ইয়ামেনী মার্কেটের যাত্রা শুরু হয় স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে। তখন এটা ছিল টিনের চালায় একতলা মার্কেট। ১৯৯৩ সালে চারতলা ভবন নিয়ে যাত্রা শুরু করে মার্কেটটি। পাঞ্জাবির জন্য সুপরিচিত হলেও এর নিচতলায় রয়েছে থান কাপড়, শিশু ও নারীদের পোশাক, স্যুট ও সাফারি পিস, জুতাসহ অনেক কিছু।
মার্কেটের তিনতলাজুড়ে পাঞ্জাবির বিশাল সমাহার। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোট ৮৮টি দোকান রয়েছে এখানে। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, সবারই পছন্দের মার্কেট এটি। কারণ, এখানে সুলভ মূল্যে বৈচিত্র্যময় পাঞ্জাবি বিক্রি হয়। রাজধানীর গুলিস্তানের পীর ইয়ামেনী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা সাজিয়েছেন দেশি-বিদেশি পাঞ্জাবির পসরা। বাহারি রং, নানা ধরনের ডিজাইন আর নিখুঁত কারুকাজের পাঞ্জাবিতে সাজানো হয়েছে বিপণিবিতানটি।
পাঞ্জাবির সংগ্রহে এবার থাকছে বিভিন্ন নকশা ও বৈচিত্র্যময় রং। কাটেও এসেছে পরিবর্তন। দেখা গেল শর্ট আর সেমি লং পাঞ্জাবি। শরীয়তপুর পাঞ্জাবি বিতানের বিক্রেতারা জানালেন এবারের ঈদে সিকুইনের কাজ করা পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি।
এ ছাড়া রয়েছে সফট কাতান, খাদি, ধুতি স্টাইল আর অলওভার কাজের চাহিদা। রাজশাহী সিল্কের পাঞ্জাবির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি এর গুণগত মানের জন্য। সাদ ফ্যাশনের বিক্রেতারা জানালেন রুচিশীল ক্রেতারাই এই পাঞ্জাবি নেন, যাঁরা সিল্কের কদর বোঝেন।
পীর ইয়ামেনী মার্কেটে ঈদের পাঞ্জাবির কাপড়ের মধ্যে রয়েছে মটকা, সুতি, রাজশাহী সিল্ক, আদ্দি, মহীশূর সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, প্রিন্স শামসি, ক্রুশান, কাশিশ, খানশাহ, শাহজাদা আদ্দি, জয়শ্রী সিল্ক, অ্যান্ডি কটন, ইন্ডিয়ান সিল্ক, জাপানি ইউনিটিকা, তসর, শামুজ সিল্ক, ধুপিয়ান, ইন্ডিয়ান চিকনকারি। এসব পাঞ্জাবির দাম পড়বে ৪০০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
এর মধ্যে শর্ট পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, তসর ১ হাজার ২০০, ইন্ডিয়ান চিকনকারি ১ হাজার ৫০০, জাপানি ইউনিটিকা ৩ হাজার, জলছাপা ১ হাজার ৭৫০, ধুপিয়ান ২ হাজার ৯০০, প্রিন্স শামসি ৪ হাজার, লংলা পাঞ্জাবি ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। পাকিস্তানি কাবুলি সেটের দাম পড়বে ১ হাজার ৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা।
যেকোনো বয়সী মানুষের জন্য পাঞ্জাবি মিলছে মার্কেটটিতে। এবার ঈদে হালকা রঙের সুতি পাঞ্জাবির দিকেই তরুণদের ঝোঁক বেশি থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ১৫ থেকে ২০ রমজানে এসে বিক্রি বেড়ে যায় বলে জানান বিক্রেতারা। রুচিশীল ডিজাইনের বাজেট–সাশ্রয়ী পাঞ্জাবি কিনতে চলে যেতে পারেন পীর ইয়ামেনী মার্কেটে।
ছবি: হাল ফ্যাশন