চরম গরমে স্বস্তির নিশ্বাস পেতে সঠিক পোশাক নির্বাচন খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। এ সময় ঈদের শাড়িটি হওয়া চাই একই সঙ্গে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ। আর এ জন্য যে ফেব্রিকটার কথা সবার আগে মাথায় আসে, তা অবশ্যই সুতি। কাঠফাটা রোদ্দুরে ঘর থেকে দুই পা ফেললেই এখন শরীর ঘামছে, ত্বক পুড়ছে।
তাই এ সময় বাতাস চলাচল করতে ও ঘাম শুষে নিতে পারে, এমন আরামদায়ক ফেব্রিক বেছে নিতে হবে। সুতির শাড়ির আবেদন চিরন্তন। তাই এই ঈদে গরম আবহাওয়াকে সঙ্গে নিয়েই গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন আরামদায়ক সুতি শাড়ি। ‘সামার ফিল’ আনতে বেছে নেওয়া যেতে পারে হালকা ও ফুরফুরে মন ভালো করা রঙের সব প্রিন্ট বা ব্লকের শাড়ি।
গরমে তাঁতে বোনা নরম সুতির টাঙ্গাইল শাড়ি বা তাঁতের সুতি কাপড়ের মোলায়েম থানে ছাপা, ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ি অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। সুতির কোটা, মনিপুরি ও জামদানি শাড়িও বেছে নেওয়া যায়।
সুতির শাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এটি সব বয়সীর জন্যই মানানসই। একুশ শতকে এসে সুতি শাড়ির বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। আঁচল, পাড় থেকে শুরু করে জমিনেও নকশাকারেরা ফুটিয়ে তুলছেন নানা ধরনের সমকালীন মোটিফ ও কারুকাজ। এ মৌসুমে অবশ্য হালকা নকশাওয়ালা শাড়িই শ্রেয়।
লেবু-হলুদ, হালকা গোলাপি, কমলা, সাদা, বেগুনি বা যেকোনো রঙের সুতি শাড়ি পরা যেতে পারে এই গরমে। নানা রঙের কাঠি আইসক্রিম, লেবু, তরমুজ, লেমনেড বা সমুদ্রসৈকতের আমেজের মোটিফ, যেমন নারকেলপাতা, কাঁকড়া, দুই ফিতার স্যান্ডেল, প্যারস্যুট ইত্যাদি শাড়ির সাদা জমিনে ফুটে উঠলে সামার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নজর কাড়বে সবার ষোল আনা।
শাড়িতে ‘সামার ভাইব’ দিতে নকশাকারেরা শাড়ি তৈরিতে এসব মোটিফ তুলে আনছেন। গায়ে জড়ালেই ফুরফুরে আর চনমনে ভাব দেবে এমন শাড়ি। রং আর মোটিফগুলো বলে দিচ্ছে, উৎসবের দিনে গরমে স্বস্তি দিতে এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হয় না। শুধু কুঁচি করে শাড়ি গায়ে জড়ালেই হয়, ফ্যাশনিস্তাদের ভাবনাটি ঠিক এ রকম নয় কিন্তু। ক্লাসিক ড্রেপিংয়ের পাশাপাশি শাড়ি পরার ধরনে ভিন্নতা আনলে সুতি শাড়িও হতে পারে স্টাইলিশ। সে ক্ষেত্রে নানা কাটিংয়ের ব্লাউজ বা টপও পাল্টে দিতে পারে লুক।
ছবি: সুরঞ্জনা