হাতে আঁকা চশমা এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, টপস, শার্ট, টি-শার্ট, এমনকি শাড়ির সঙ্গে এই তপ্ত দিনে অনেকে বেছে নিচ্ছেন কিশ কিংবা রিকশা আর্টের নানা রকম মোটিফ ও নকশা করা হাতে আঁকা চশমা।
ভ্রমণে, গায়েহলুদ-বিয়েতে অথবা যেকোনো অনুষ্ঠানে অনেকের চোখে থাকে এ ট্রেন্ডি অনুষঙ্গ। এবারের বৈশাখ উদ্যাপনেও আপনার সঙ্গী হতে পারে রংচঙে রোদচশমা।
অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ বছর রোদের উত্তাপ অনেকটা বেশি। তাই যেকোনো জায়গায় গেলে সঙ্গে একটা রোদচশমা রাখতে হবে। তবে আজকালকার ফ্যাশনপ্রেমীরা শুধু নামীদামি ব্র্যান্ড আর চোখকে তাপ থেকে বাঁচাতে চশমা পরেন না। সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব পায় স্টাইলিংও।
একরঙা ফ্রেমের কালো চশমার চেয়ে এখন বহুবর্ণিল ফ্রেমের সানগ্লাসের দিকে ঝুঁকছেন ফ্যাশনিস্তারা। এর মধ্যে কিশ আর্ট বা রিকশা পেইন্ট সবচেয়ে এগিয়ে। চশমার ফ্রেমে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি ছাড়াও অন্যান্য পপিং রঙের আধিপত্য থাকায় চশমা সেজে ওঠে আলাদা ঢং আর আমেজে। আর সেই চশমা চোখে দিলে মনটাও থাকে ফুরফুরে।
মজার বিষয়, রোদ না থাকলেও কিন্তু রোদচশমা পরছেন অনেকে। এই যেমন গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে রঙিন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন রোদচশমা পরা হালের ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। হলুদের ডালাতেও বর আর কনে পক্ষের জন্য সাজানো থাকে অভিনব এ উপহার।
বিয়েতে বর-কনের জমকালো পোশাকের সঙ্গে পরতে দেখা যাচ্ছে রিকশা পেইন্টের রোদচশমা। ভ্রমণেও তা-ই। কোথাও ঘুরতে গেলে এখন পোশাক ও স্টাইলিশ অনুষঙ্গ আলাদা করে ব্যাগে গুছিয়ে নেওয়া হয় ছবি তোলার জন্য। এর সঙ্গে রঙিন ফ্রেমের রোদচশমা ভ্রমণের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
ফুল, পাতা, বিখ্যাত শিল্পী ভ্যান গঘের আঁকা ছবি ‘স্টারিনাইট’, বাংলা ছবির সংলাপ, কবিতার লাইন, ট্রেন্ডি যেকোনো কথা এখন হাতে আঁকা চশমার ফ্রেমে জায়গা করে নিচ্ছে। চাইলে ফরমাশ দিয়ে নিজের পছন্দের নকশাও আঁকিয়ে নেওয়া যাবে।
সাধারণত মানুষের মুখের আকৃতি চার ধরনের হয়—পানপাতা বা হার্ট আকৃতি, ডিম্বাকৃতি, গোল ও চৌকো। চশমা বাছাইয়ের সময় তাই আয়নায় নিজেকে দেখে নেওয়া ভালো। চাইলে চশমা চোখে দিয়ে সেলফি তুলেও বাছাই করা যায়। আরেকটি সমাধান হলো এখন নানা রকম ছবি এডিটিং অ্যাপে লাইন ড্রয়িং করে চশমা কেনা যায়।
চশমা শুধু কিনলেই হবে না। এর ব্যবহারবিধিও জানতে হবে। না হলে শখের রোদচশমার স্থায়িত্ব কমে যাবে। একেবারেই সাধারণ কিছু টিপস মাথায় রাখলে মুশকিল আসান হবে। যেকোনো কাপড় বা টিস্যু দিয়ে নয়; বরং চশমার সঙ্গে থাকা মাইক্রোফাইবারের কাপড় দিয়ে মুছলে দাগ পড়া থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। ব্যবহারের পর অবশ্যই চশমার বক্সে চশমা রাখতে হবে, নয়তো ধুলাবালু ও ময়লা জমে চশমা নষ্ট হতে পারে।
ছবি: মিন্ডালা , বিস্কুট ফ্যাক্টরি, হাল ফ্যাশন