ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০টি ডিজাইনের পোশাক এনেছে কিউরিয়াস। এসব পোশাক তৈরিতে প্রেরণা হয়েছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ বয়নশিল্প। এখানে প্রদর্শিত প্রতিটি পোশাক দেশীয় ঐতিহ্য ও সমকালীন পাশ্চাত্য ধারার মিশেলে তৈরি। ব্র্যান্ডের প্রতিটি পোশাকে সময়োপযোগী মোটিফ, রং ও বুননের সমন্বয় লক্ষণীয়।
এবারে কিউরিয়াসের মেয়েদের দেশীয় পোশাকের কালেকশনে আছে বিভিন্ন ডিজাইনের সুতি, রেমি কটন ও সিল্ক ফেব্রিকের সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি। এ সংগ্রহে বেশি নজর কেড়েছে বেল্ট দেওয়া রেডিমেড শাড়ি। ছেলেদের দেশীয় পোশাকের সংগ্রহে ছিল সুতি ও সিল্কের শর্ট এবং লং পাঞ্জাবি ও কোটি। আউটলেট ও তাদের অনলাইন স্টোরে।
এখানে সূক্ষ্ম হাতের কাজ প্রতিটি পোশাককে দিয়েছে অনন্যতা।
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী সংগ্রহের পাশাপাশি কিউরিয়াস এ ঈদে আরও এনেছে আকর্ষণীয় সব ওয়েস্টার্ন পোশাক। কালেকশনের পোশাকগুলো বেশ স্টাইলিশ ও আরামদায়ক। ভারী এমব্রয়ডারির সঙ্গে প্রিন্টের সংযোগ সংগ্রহটির বিশেষ আকর্ষণ।
মেয়েদের জন্য এতে আছে ট্রেন্ডি কাট-আউট টপ, স্কার্ট, মিনি ড্রেস, জ্যাকেট, জিন্স, ওয়াইড প্যান্ট, জাম্পস্যুট। ছেলেদের ফরমাল শার্ট, প্যান্ট ও ক্যাজুয়াল শার্ট, টি–শার্ট, পোলো শার্ট, প্যান্ট—সব ধরনেরই পোশাক ছিল প্রদর্শনীতে।
কিউরিয়াসের চিফ অপারেটিং অফিসার বিশ্বজিৎ রায় বলেন, সমৃদ্ধ দেশীয় ঐতিহ্যকে আধুনিকতার মোড়কে উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আগামীর ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠাই কিউরিয়াসের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের মেধা, দক্ষতা ও নিপুণতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি অসাধারণ সব ডিজাইনের পোশাক দিয়ে দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর কিউরিয়াস।
মনোজ্ঞ ফ্যাশন শোর কোরিওগ্রাফি করেন মারিয়া কিসপট্টা। এখানে প্রদর্শিত সব পোশাক পাওয়া যাবে কিউরিয়াসের বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা সিটি আউটলেটে ও অনলাইন স্টোরে।