ঋতুভিত্তিক সংগ্রহের জন্য জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড সুরঞ্জনা এবার শারদ সংগ্রহ সাজিয়েছে শরৎ প্রকৃতির স্নিগ্ধতায়। শরৎ আর দুর্গাপূজা মিলিয়ে চারদিকে শারদ উৎসবের আমেজ। সেটাকে আরও বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে সুরঞ্জনা। পোশাকের রং ও নকশায় তাই স্পষ্ট উৎসবের আবহ। এই ব্র্যান্ডের শারদ আয়োজনে গুরুত্ব পেয়েছে থিমভিত্তিক শাড়ি ও থ্রি–পিস। পূজা ছাড়া অন্য সময়েও বেশ মানাবে এই সংগ্রহের পোশাক।
শরতের অনুষঙ্গ পেঁজা তুলার মতো মেঘ আর কাশফুল চিত্রিত হয়েছে সুরঞ্জনার শাড়িতে। আকাশি শাড়িতে মেঘের ভেলা আর কাশবনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পথের পাঁচালীর অপু ও দুর্গার কাশবনে দাঁড়িয়ে ট্রেন দেখার দৃশ্যটি মনে করিয়ে দেবে এই শাড়ি। কাশবন ও মেঘ ছাড়াও নয়নতারা, সারস, আলপনা তো সব মোটিফের উপস্থাপনায় উজ্জ্বল এই সংগ্রহে মাত্রা এনেছে জামদানি মোটিফ। আছে শিবুরি প্রক্রিয়ায় রঞ্জিত শাড়ি আর থ্রি–পিসও।
সুরঞ্জনার ফুলেল মোটিফের শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নয়নতারা। একটি পিচ রংয়ের জমিন আর অন্যটি পিচ, গোলাপি ও সাদার সমন্বয়ের জমিনে ফুটেছে বেগুনি নয়নতারা।
সমসাময়িক অস্থিরতা কাটিয়ে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে পিস লিলি মোটিফও ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকের জমিন অলংকরণে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দিতে শাড়িতে ‘পজিটিভিটি ইজ দ্য কি টু হ্যাপিনেস’-এর বার্তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুখে থাকার চাবিটি নিজ হাতের মুঠোয় রাখতে প্রতীকী চাবি আঁকা হয়েছে পুরো শাড়ির জমিনে।
এই সংগ্রহে ঐতিহ্যবাহী জামদানি মোটিফে করা শাড়িগুলোও নজর কাড়ছে বিশেষভাবে। ফয়েল প্রিন্টে মোটিফ ফুটিয়ে তোলায় শাড়িগুলো হয়েছে বেশ জমকালো। মানিয়ে যাবে যেকোনো সান্ধ্য আয়োজনে। তাঁতে বোনা সুতি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এসব শাড়িতে। কেবল উৎসব উপযোগী নয়, আরামদায়কও। ফলে পরা যাবে ক্যাম্পাস কিংবা অফিসে। এ ছাড়া শিবুরি পদ্ধতিতে ডাই করা শাড়ি ও থ্রি–পিস আছে সুরঞ্জনার এই সংগ্রহে।
সুরঞ্জনার স্বত্বাধিকারী নূর নাহার তৃপ্তি বলেন, ‘টেকসই ফ্যাশন নিয়ে সবাই এখন ভাবছে। আমরাও চেষ্টা করছি সেটা অনুসরণ করতে। আর দেশের তাঁতে কাপড়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগ্রহ তৈরি করতে। আমাদের পণ্যে আমাদের উৎসব এই সুরে আমরাও সুর মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই দেশের প্রয়োজনে।’