মন খারাপের দিন কিংবা বিষণ্ণ বিকেলেও বেঁচে থাকার ইচ্ছে জাগে। কেউ যেন এসে কানে কানে বলে যায়, সুন্দর কিছু দেখার জন্য বয়ে চলো। আসলে এই কংক্রিটের শহর, যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াও এখন কষ্টের; সেখানে প্রেরণা যোগায় প্রকৃতি। বলা তো যায়, প্রকৃতির জন্যই এই বেঁচে থাকা। এই প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর উপাদান হলো ফুল। নানা রঙে ভুবন ভরায়। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুরে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথপাশের সারি সারি কৃষ্ণচূড়া লাল আভা সব বিরক্তি শুষে নেয়। ওর রঙের উচ্ছ্বাস নতুন উদ্দ্যমে চলতে শেখায়।
গ্রীষ্মের এইসময়ে শহরের আনাচে–কানাচে বেগুনি চাদর বিছিয়ে রাখে জারুল। সেদিন একটা দৃশ্য দেখে মনটা ভরে উঠলো। সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্তি নিয়ে প্রেমিকযুগল বসে আছে শহরের এক উদ্যানে। পাশে বিশাল জারুল গাছটি ভরে আছে থোকা থোকা ফুলে। বহুকষ্টে লাফিয়ে অবশেষে বিজয়ী প্রেমিক, তার প্রেমিকার কানের পাশে গুঁজে দিলো সবচেয়ে দামী অলংকার- একগুচ্ছ জারুল। কি সুন্দর! এ শহরে আকাশরেখা দেখা যায় না। দম বন্ধ হয়ে আসে নানা অব্যবস্থায়। অথচ এরই মাঝে প্রকৃতি অনুঘটক হয় অমলিন ভালবাসার। জারুলের মোহাবেশে ভেসে যায় দুটি হৃদয়।
দাবদাহের গ্রীষ্মকালকে আমরা অনেকেই ভীষণ অপছন্দ করি। কিন্তু এসময়ের ফুলেরা মন ভালো করে দিতে বাধ্য। তখন মনে হয় রবীন্দ্রনাথই ঠিক। বসন্ত তো কেবল ফোটা ফুলের মেলা নয়। এই যেমন কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু এক গুচ্ছ সাদা ফুল উপহার দিলো। নাম কুর্চি , গ্রীষ্মকালে ফোটে। মিষ্টি গন্ধে ভরপুর এই ফুল এতটাই স্নিগ্ধ যে সারাদিনের অবসাদ ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে ছোট্ট এই ফুলটির আছে আরও সুন্দর সুন্দর ডাক নাম।
এদিকে গ্রীষ্মের অন্যতম সুন্দর ফুল সোনালুর কথা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। রোদে ঝলমল করে ওঠা হলুদ রঙের ঝুমকার মতো ঝুলে থাকা এই ফুলগুলো যেন ব্যস্ত শহরে জীবনসংগ্রামের প্রেরণা। হলুদের উজ্জ্বল আভা ইতিবাচক ইশারা দেয়। এই ভাবনা পথ চলার অনুপ্রেরণা জাগায়। আসলে একেকজনের ভালো থাকার চেষ্টার ধরন একেক রকম। তবে সব দুঃখ, কষ্ট, বিষাদ, বিবাদ, মতবিরোধকে পাশে রেখে ফুলের বিষয়ে সবাই একমত। হাজার দলে বিভক্ত এই জনগোষ্ঠীর সবাই কিন্তু ফুলের দলেই। আরে! দল মানে তো ফুলের পাপড়ি। এদিকে গ্রীষ্মের লু হাওয়া বা কালবোশেখী ঝড় এলেই এই ফুলগুলো ঝরে পড়ে রাস্তায়। তখন সেই ফুল দলে-মাড়িয়ে যেতে বড় বাজে বুকের মাঝে।
আসলে গ্রীষ্ম এলেই শহরের রাস্তা, পার্ক আর ছায়াঘেরা প্রান্তর যেন এক এক করে প্রাণ ফিরে পায় রঙের ঝলকে। প্রকৃতির এই রঙিন আবির্ভাব শুধু চোখ জুড়ায় না, বরং ছুঁয়ে যায় আমাদের পোশাক, সাজসজ্জা ও জীবনের নানান পরতে । এই মৌসুমে ফ্যাশনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে আমাদের আশেপাশের গ্রীষ্মকালীন ফুলগুলো—জারুল, কুর্চি, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া।
ফুল যে পজেটিভ এনার্জির প্রতীক সেটা কিন্তু যাপনের সব ক্ষেত্রেই স্পষ্ট। নতুন শিশু ঘরে এলে মা–বাবাকে অভিনন্দন জানানো থেকে জীবনের বিদায়বেলায়ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এই ফুলে ফুলে সাজিয়ে। ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেও যুগ যুগ ধরে অমূল্য উপহার এই ফুল। ঘর সাজানো এমনকি নিজেকে সাজাতেও ফুলের ভূমিকা অনন্য। আর সেই ফুলই আবার পোশাকের নকশার প্রেরণা হয়। ফ্যাশনিস্তারা অবশ্য এ বিষয়ে এক ধাপ এগিয়ে। নতুনভাবে ভাবছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররাও। ঋতুভিত্তিক ফুল নিয়ে এখন ডিজাইনাররা অনেক ধরনের কাজ করছেন। নিরীক্ষা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো শাড়িতে ফুলেল নকশা।
পছন্দের ফ্লোরাল শাড়ি পরে, মাথায় ফুল গুঁজে সেই ফুলগাছের সঙ্গে ছবি তোলাটাও কিন্তু মন ভালো করার টোটকা। চাইলে বানিয়ে নেওয়া যায় ফুলের গয়নাও। প্রকৃতির সঙ্গে ফ্যাশনের এই নিবিড় যোগটা কেবল সুন্দর নয়, অনন্যও। আসলে ফুল নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। তবে আজকের মূল প্রয়াস গ্রীষ্মের এই চার নাগরিক ফুল নিয়ে। গরমের চোখরাঙানি পাশ কাটিয়ে এই ঋতু তার নিজস্ব কালার প্যালেট খুলে দেয় অকাতরে—বেগুনি, সাদা, হলুদ আর মনমাতানো লাল। আর সেই সম্পূর্ণ রঙিন ছবির নায়িকা চতুষ্টয় হলো জারুল, কৃষ্ণচূড়া, কুর্চি আর সোনালু। শুধু চোখের আরাম নয়, এই ফুলগুলো হয়ে উঠেছে আমাদের সাজসজ্জা, উৎসব, যাপন আর ফ্যাশনের বিশেষ অনুপ্রেরণা।
কৃষ্ণচূড়া: আগুনরঙা উদ্দীপনা
প্রতিটি রং -এর আলাদা তাৎপর্য আছে, ভাষা আছে। যতটা তীব্র, ততটাই মোহময় কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ। তাইতো কাজী নজরুল লিখেছেন, 'কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে/ আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে'। লাল ভালোবাসা, বিপ্লব এমনকী রক্তের মতো অনেক কিছুরই প্রতীক। আর কৃষ্ণচূড়া মানেই যেন গ্রীষ্মের রঙিন উন্মাদনা। এর লাল-কমলা ফুলগুলো একেকটি জ্বলন্ত মশালের মতো । রোদ হোক বা বৃষ্টি, এই ফুল মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকে ঋতু জুড়ে। কৃষ্ণচূড়া মনে করিয়ে দেয়—জীবন কখনো কখনো তীব্র, কখনো উদ্দাম, তবুও সুন্দর। চিরল চিরল পাতার মাঝে মহারানীর মতো ফুটে থাকে এই ফুল । তারপর সময় ফুরালে ঝরে পড়ে। ঝরে পড়ার আগে হয়ে যায় গান কিংবা কবিতার। ছেড়ে যাওয়া ভালবাসার মানুষটির কথা ভেবে অর্থহীন ব্যান্ডের ' এপিটাফ গানটি শুনে কেঁদেছে বহু হৃদয়। 'তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল/ আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর, তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল/ চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে…বহুদূর।'
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখা যায় সংসদ ভবন এলাকায়। ফুলে ভরে থাকা গাছগুলো এখন নজর কাড়ছে সবারই । জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন আগারগাঁওয়ের দিকে চলে যাওয়া সড়কটিও ছেয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ায় । এছাড়া রাজধানীর রমনা এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, গুলশান, হাতিরঝিল, বনানী, বারিধারা, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থান এখন কৃষ্ণচূড়ার আস্তানা। ছুটির দিনগুলোতে অনেকেই প্রিয়জনকে নিয়ে বের হচ্ছে এসব জায়গায়।
তপ্ত রোদ হোক কিংবা বৃষ্টিমুখর বিকেল , ফ্যাশনিস্তা রমণীরা যেন উদযাপনের উপলক্ষ্য খোঁজে সবসময়। তাইতো কৃষ্ণচূড়া মাথায় গুঁজে কিংবা হাতে ধরে ফ্রেমবন্দী হওয়াটা এখন ট্রেন্ডি। সঙ্গে সেই ফুলের শাড়ি হলেতো কথাই নেই। শাড়ির ক্যানভাসে কমলা-লাল রঙের ফুলগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠে প্রতিটি ছবিতে। বাস্তবেও তাই।
সোনালু: স্বর্ণালি আলোর ঝরনাধারা
কেউ বলে সোনালু, কেউ বলে সোঁদাল, সোনাইল আবার কেউ বলে বাঁদরলাঠি। ফুলের ফাঁকে দেখা যায় লম্বা ফল-তাই হয়তো এই নাম। আরও নাম আছে এর। ভাবা যায়! অঞ্চলভেদে এই একটি ফুলের এতো নামডাক। তবে আমার বিশেষ পছন্দ রবীন্দ্রনাথের দেওয়া 'অমলতাস' নামটি। গ্রীষ্মের অন্যান্য ফুলের ভিড়ে এই ফুল যেন স্বর্ণালি হলুদ আলোর ঝরনাধারায় ভাসিয়ে দেয়।কাঁচা হলুদ রঙের এই ফুলগুলো ফুটলে সত্যিই মনে হয় প্রকৃতির সঙ্গে আমরাও একটু সাজি। সোনালুর আদি নিবাস হিমালয় অঞ্চলে হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং মিয়ানমারজুড়ে এর দেখা পাওয়া যায়। সোনালু কিন্তু থাইল্যান্ডের জাতীয় ফুল। আবার ভারতবর্ষের কেরালা রাজ্যে বিষু উৎসবেও এর গুরুত্ব আছে। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবেও এর পরিচিতি আছে। একই অঙ্গে এত রূপের রানী সোনালু।
সেই ফুলই যখন শাড়ির জমিনে স্থান পায় তখন আর কিছু না ভেবে পরে ফেলতে ইচ্ছে হয়। ফ্যাশনপ্রেমীরা অন্তত এভাবেই ভাবেন। সোনালু তার ডালপালাসহ ঝাড়-লণ্ঠনের মতো এমনভাবে নীচের দিকে ঝুলে থাকে তাতে চারপাশটা যেন আলোয় ভরে ওঠে । এখানে আকাশী নীল শাড়ির জমিনে ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে সোনালুর রূপ। দেখে মনে হচ্ছে যেন পুরো গাছের ফুলগুলো জীবন্ত হয়ে ফুটে আছে। মাটির দিকে ঝুঁকে থাকা মাঝারি -উঁচু গাছের হলুদ ফুলগুলো খেলা করছে আপন মনে। শাড়ির সঙ্গে চুলে কিংবা কানে গুঁজে রাখা যায় এই ফুল। আলাদা করে গয়নার প্রয়োজন হবে না তাহলে।
জারুল: বেগুনির আভায় রাঙানো গ্রীষ্ম
'এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ, সেখানে সবুজ ডাঙা ভ'রে আছে মধুকৃপী ঘাসে অবিরল; সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বথ, বট, জারুল, হিজল; সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ।' রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের মতো অনেকেই উপমা হিসেবে জারুল ফুলকে এনেছেন তাঁদের লেখায় । আবার এই ফুলে মুগ্ধ হয়ে আধুনিক কবি আহসান হাবিব তাঁর স্বদেশ কবিতায় লিখেছেন, 'মনের মধ্যে যখন খুশি; এই ছবিটি আঁকি; এক পাশে তার জারুল গাছে, দুটি হলুদ পাখি।' অসম্ভব রূপবতী এই বেগুনী ফুলটি গ্রীষ্মকালেই ফোটে । এসময় বিভিন্ন স্থানে দেখা মেলে মাঝারি -উঁচু এই গাছের।
ছয় পাপড়ির মধ্যে হলুদ রঙের পরাগ বিশিষ্ট মায়াবী জারুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন এখন একেকজন একেকভাবে। শহরের রাস্তায় কিংবা পার্কে এক ঝলক জারুল দেখা মানেই একটা থেমে যাওয়া মুহূর্ত। কারণ জারুলের রংটা এমনভাবেই বিমোহিত করে রাখে। কেউ মুঠোফোনে ফ্রেমবন্দী করছে জারুলের সৌন্দর্য, কেউ আবার চুপিচুপি তুলে নিচ্ছে একগুচ্ছ ফুল। হয়তো প্রিয়জনের হাতে দিলে কিংবা খোঁপায় গুঁজে দিলেই পূর্ণতা পায় ফুলটি। আবার ফুলেল পোশাকেও নিজেকে সাজানো যায় এই ফুলকে আর নিজেকে ভালবেসে।
শাড়িতে জারুলের দেখা পাওয়া গেলে কিন্তু দারুণ হয়। এই জারুল শাড়িটা দেখে মনে হবে যেন বেগুনির আভায় রাঙানো ক্যানভাস। গায়ে জড়িয়ে কাঠফাটা গ্রীষ্ম ঋতুকে উদযাপন করা যায় আনন্দের সঙ্গে । নরম বেগুনি রঙে ফুটে ওঠা জারুল যেন গ্রীষ্মে একটুকু শান্তির নাম।
কুর্চি: শুভ্র প্রেমের মায়া
শুভ্রতার আলাদা আবেদন আছে, যেমন আছে কুর্চির। সাদা ফুলের মধ্যে কুর্চি যেন এক বিশেষ নাম। গ্রীষ্মের উত্তাপে প্রশান্তির ছায়া হয়ে, নগরীর বিভিন্ন জায়গায় রাতের আকাশে অগুনতি তারার মতো ফুটে আছে এই ফুল। কুর্চির সঙ্গী গাঢ় সবুজ পাতাগুলো চোখে খুব আরাম দেয়। তবে রবীন্দ্রনাথ এই ফুলকে ডাকতেন ' কুরচি' বলে। ফুলের রূপের প্রেমে বিমোহিত হয়ে তিনি লিখেছিলেন, 'কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা/ যে ভ্রমর, শুনি নাকি তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।'
তিনি বুঝিয়েছেন কুর্চি এতোই আকর্ষণীয় যে, ভ্রমর পদ্মকে ভুলে কুর্চির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। আবার রবি ঠাকুর লিখেছেন, 'সূর্যের আলোর ভাষা আমি কবি কিছু কিছু চিনি, কুরচি পড়েছ ধরা, তুমি রবির আদরিণী।' মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যেও কুর্চির উল্লেখ আছ । মিষ্টি ঘ্রাণের এই ছোট্ট ফুলের প্রেমে পড়েছিলেন তিনিও। কাজী নজরুল ইসলাম এই ফুলের নাম দিয়েছিলেন গিরিমল্লিকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সমাধিস্থলে এই ফুলের গাছ আছে। এ ছাড়া কুটজ, কুটরাজ, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পাণ্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ ও কোটিশ্বর নামেও পরিচিত পরিচিত এই ফুলটি। ঊর্ধ্বমুখী এই গাছে শীতে পাতা ঝরে। ফাল্গুনের শেষভাগে ছাড়া ছাড়া ভাবে ফুটতে শুরু করে ফুল । তারপর গ্রীষ্মব্যাপী গাছ ছেয়ে যায় তুষারধবল কুর্চিতে। আর তার মায়াবী রূপ ও সুগন্ধ আকৃষ্ট করে পথিককে।
সময় ফুরালে কুর্চির জন্য আবার অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের । তাই ফ্যাশন আর ফুলপ্রেমীদের জন্য এই ফুলও এসেছে শাড়ির জমিনে। গাছের পাতার সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে ঘন সবুজ। সেখানে উঁকি দিচ্ছে থোকা থোকা সাদা কুর্চিরা।
খোঁপায় গোঁজা ফুল বা ফুলের গয়নার পাশাপাশি ফ্যাশনিস্তাদের গ্রীষ্মের ফুলের উদযাপনে ট্রেন্ডি আমেজ আনতে এমন ফুলের শাড়ির সাজের জুড়ি নেই। তবে আর দেরি কেন? পছন্দের ফুলেল শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে ফুলের শহরে মনমতো একটা লোকেশন খুঁজে নিয়ে ফুলেশ্বরী হয়ে উঠুন। মুহূর্তগুলো ধরে রাখুন ক্যামেরায়। প্রাণ ভরে উদযাপন করুন ফুলের শহরে ফুলের শাড়িতে আমাদের সবার ভালোবাসার জারুল, কুর্চি, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়াকে৷
ভাবনা: ফ্লোরিডা শুভ্রা রোজারিও
আয়োজন: টিম হাল ফ্যাশন
শাড়ি: হরিতকী
ছবি: অনিক মজুমদার
মডেল: তূর্ণা, শ্রেয়া, অস্মিতা ও ঋতি
ভিডিওগ্রাফি: কানিজ ফাতেমা ও আশিকুর রহমান