জাম্পস্যুট
এ বছর জাম্পস্যুটের জনপ্রিয়তা দেখা গেছে সাধারণের মধ্যেও। আরামদায়ক এই পোশাকের ফেব্রিক ও ডিজাইনে ছিল বেশ কিছু ভিন্ন ধরন। অফিসে যাওয়ার উপযোগী পোশাকে ছিল বেল্ট ও পকেট।
কো-অর্ড
ফ্যাশনে বিশ্বব্যাপী জোরেশোরে চলেছে কো-অর্ড সেটের ট্রেন্ড। সত্তর-আশির দশকের কো-অর্ড স্টাইলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। নতুন রূপের কো-অর্ডের ওপরের অংশে দেখা গেছে নানা প্যাটার্নের ফিউশন। আর নিরীক্ষাধর্মী টপের সঙ্গে স্কার্ট, প্যান্ট বা পালাজ্জো ছিল জনপ্রিয়।
শার্ট ও স্কার্ট
ফুলস্লিভ শার্টের সঙ্গে ঘের দেওয়া স্কার্ট এ বছরে ছিল তুমুল জনপ্রিয়। সুতি, জর্জেট, সিল্ক—প্রায় সব ধরনের ফেব্রিকেই ডিজাইন হয়েছে শার্ট ও স্কার্ট। স্কার্টে হাতের সেলাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্টসহ আরও বেশ কিছু ডিজাইন চোখে পড়েছে। দেশীয় ক্রেতাদের বিশেষ পছন্দ ছিল ঘের দেওয়া রুমাল ছাঁট, ‘এ’ কাট, ম্যাক্সি, অসম কাট, কুঁচি, গোল স্কার্ট।
স্কার্টের কাটে পুরোনো স্টাইল ভেঙে হয়েছে প্রচুর ফিউশন। স্কার্টে পকেটের ব্যবহারে বেড়েছে দৃষ্টিনান্দনিকতা। এ ছাড়া গাউন স্টাইলেও ডিজাইন করা স্কার্ট এ বছরে অনেকটাই নতুন ছিল। স্কার্টগুলোয় প্রাধান্য পেয়েছে পার্টি থিম।
শার্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চলছে একরঙা সুতি ও সিল্কের ঢিলেঢালা ফুলস্লিভ শার্ট। ঘের দেওয়া স্কার্টের সঙ্গে শার্ট টাকড-ইন করে পরার স্টাইল অনেকেই অনুসরণ করেছেন। এ ছাড়া স্কার্টের সঙ্গে মাঝারি লম্বার শার্ট ছেড়েও অনেকে পরেছেন।
কাফতান
কাফতানের ফ্যাশন বেশ কিছু বছর ধরেই সাড়া ফেলছে। তবে এ বছর কাফতান ট্রেন্ড ছাড়িয়ে গেছে অন্য বছরের জনপ্রিয়তাকে। লম্বা ও ঢিলেঢালা কাফতানের পাশাপাশি এবার হাঁটু পর্যন্ত কাফতানও চলেছে বেশ। কাফতানে ডিজাইনে বেড়েছে ফিতার ব্যবহার। বোট ও হাইনেক ছাড়াও আরও অনেক ধরনের গলা দেখা গেছে। শার্টের হাতায় কাফতান স্টাইলে ঝুলের ব্যবহার ছিল নতুন। সার্কেল, অফ শোল্ডার, বাটারফ্লাই, ড্রেপ, ওপেন শোল্ডার কাফতান, ডিপ ভি নেক বা গোল গলার কাফতান ছিল ট্রেন্ডি।
মিডি ড্রেস
ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনে মিডি ড্রেসের জনপ্রিয়তা ছিল নজরকাড়া। কটন, রেমি কটন, বাটারফ্লাই জর্জেট, ডাবল জর্জেট, সিল্ক, লাইট ডেনিম, লিনেন ফেব্রিকের মিডি ড্রেস বেছে নিয়েছেন অনেকেই। প্রিন্টের ভেতর প্রাধান্য পেয়েছে ফ্লোরাল, ট্রপিক্যাল, পলকা ডট, টাইডাই, জিওম্যাট্রিক, সাইকেডেলিক ইত্যাদি। কিশোরীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে উঠেছে আসা এই ড্রেসের স্লিভের কথাও আলাদাভাবে ভাবা হয়েছে। শর্ট ও লং পাফি, বেলুন, বাটারফ্লাই, বেল ইত্যাদি স্লিভের জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি।
অন্যান্য
এ বছরে আরামদায়ক ও সুবিধাজনক কর্মক্ষেত্র উপযোগী পোশাক নিয়ে হয়েছে নানা রকম নিরীক্ষা। এ ধরনের পোশাক পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তাও। ডেনিম, ফরমাল ট্রাউজারস আর একরঙা গ্যাবার্ডিনকে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাভেল প্যান্ট, হেরেম প্যান্ট আর বড় ঘেরের প্যান্টও ছিল।
সুতি, কটন-রিচ ভিসকস, লিনেন কাপড় ব্যবহৃত হয়েছে বেশি। কোনো কোনো বটমে পকেটের ওপরে বা পায়ে দেখা গেছে প্যাচ আকারে লেস ওয়ার্ক, এমব্রয়ডারি ধরনের হাতের কাজ। আবার চিকনকারি করা স্ট্রেট প্যান্টও ছিল জনপ্রিয়। আর ঘরে-বাইরে সমানতালে চলেছে আরামদায়ক পালাজ্জো, স্কার্ট পালাজ্জো।
টপ, টি-শার্ট ও ফতুয়া সব ধরনের পোশাকেই গুরুত্ব পেয়েছে ওভার সাইজ বিষয়টি। সহজে পরা যায় ও কর্মক্ষেত্রে আরাম দিয়েছে এমন পোশাকগুলো।
ছবি: হাদী উদ্দীন ও সাইফুল ইসলাম; স্টাইলিং ও কোরিওগ্রাফি: অখিলা সাহা