
বাঙালির জীবন মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণের উৎসব। আর সেই উৎসবপ্রেম ও ঋতুর বৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড তেরোপার্বণ।


প্রতিটি ঋতুর ভিন্নতা, প্রকৃতির পরিবর্তন আর উৎসবের আবহকে ধারণ করে তৈরি করা হয় এখানকার পোশাক। এবারের শারদ সংগ্রহটিও একই মূলমন্ত্রে সাজানো।
দেশীয় শেকড়েই অনুপ্রেরণা
তেরোপার্বণের প্রতিটি পোশাক বাংলার মাটি, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির গল্প বলে। দেশের তাঁত, হাতে কাটা সুতা, প্রাকৃতিক রঙের ডাই ও স্থানীয় কারিগরদের হাতে বোনা কাপড়ই এখানে মূল উপকরণ।


প্রতিষ্ঠাতা রেজওয়ানা হক জানান—“আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মা-মাটি ও প্রকৃতির ভাণ্ডারেই রয়েছে আমাদের আসল সৌন্দর্য। তাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই আমরা কাজ করি।”
কারিগরদের পাশে তেরোপার্বণ
শুধু পোশাক বানানো নয়, তেরোপার্বণের অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষ কারিগরদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এই উদ্যোগ শুধু ফ্যাশন নয়, বরং এক সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ।

এখানে প্রতিটি সংগ্রহের পেছনে লুকিয়ে থাকে বহু মানুষের শ্রম, ভালোবাসা ও জীবিকার গল্প। এখানে যে ক্রাফম্যানশিপকে কাজে লাগানো হয় তা আমাদের কারিগরদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি।
প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন
এই উদ্যোগটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় সুতি ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পোশাকে। আজকের দিনে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা যেমন জরুরি, তেমনি টেকসই ও আরামদায়ক পোশাকও সমান প্রয়োজনীয়।

তেরোপার্বণের নতুন কালেকশন তাই শুধু ফ্যাশনের বাহার নয়, বরং পরিবেশবান্ধব পোশাকের দিকেও এক শক্তিশালী পদক্ষেপ।
গ্রাহকের উদ্দেশ্যে তেরোপার্বনের বার্তা
তেরোপার্বণের লক্ষ্য শুধু শহুরে ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য নতুন ট্রেন্ড তৈরি করা নয়, বরং সাধারণ ক্রেতাদের দেশীয় পোশাকে ফিরিয়ে আনা। কারণ, দেশীয় বস্ত্র ও ডিজাইন পরার মধ্যেই রয়েছে একধরনের গর্ব, ভালোবাসা আর শেকড়ে ফেরার আনন্দ।

রেজওয়ানা হক বলেন, “তেরোপার্বণ” কেবল একটি বুটিক নয়, এটি একটি স্বপ্ন, যা বাঙালির উৎসব, প্রকৃতি, ও ঐতিহ্যকে একসূত্রে বাঁধে। আর তাদের নতুন কালেকশন আপনাকে শুধু সুন্দর করে তুলবে না, বরং আপনাকে দেশের শেকড় ও সংস্কৃতির সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবে।
ছবি: তেরোপার্বণ