চারটি ব্র্যান্ড—নায়িকা অব বাংলাদেশ, মাশরুফা’স কতুর, গ্লুড টুগেদার ও তনয়া কতুর নিয়ে আলনা খেলনার যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। এই চারটি ব্র্যান্ডের চারজন উদ্যোক্তার সিগনেচার ফ্যাশন পণ্য একই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে এ প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া ব্র্যান্ডগুলোর নতুন কালেকশন নিয়ে প্রায়ই আয়োজন করা হয় প্রদর্শনীর।
গুলশানের কভেন্টিনা লেক স্যুটে রয়েছে আলনা খেলনা ফ্যাশন স্টুডিও। ক্রেতাদের কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পুরো স্টুডিও সাজানো হয়েছে ছিমছামভাবে। প্রতিটি ব্র্যান্ডের রয়েছে আলাদা কর্নার। গয়না ও পোশাক সাজানো হয়েছে বেশ নান্দনিকভাবে। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি গয়না ও পোশাকের দেখা মিলবে এই মাল্টিডিজাইনার প্ল্যাটফর্মে।
আলনা খেলনার অন্যতম একজন উদ্যোক্তা তানজিয়া তাহসিন বলেন, চারটি ব্র্যান্ডই ডিজাইনের ক্ষেত্রে আধুনিক রং ও নকশাকে প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি ব্র্যান্ড যেমন আলাদা, তেমনি তাদের পণ্যের রয়েছে সিগনেচার স্টাইল।
দেশীয় শাড়ি নিয়ে কাজ করে নায়িকা অব বাংলাদেশ। শুরু হয়েছিল লন্ডন থেকে নায়িকা অব লন্ডন নামে। এ ব্র্যান্ডের উদ্যোক্তা তানজিয়া তাহসিন জানান, ২০১৮ সালে লন্ডনে আয়োজিত পাকিস্তান ফ্যাশন উইকে জামদানি, তাঁত, মসলিন, বেনারসিসহ মোট ১১টি দেশীয় শাড়ি নিয়ে অংশ নেন তিনি। পরে ২০২১ সালে নায়িকা অব বাংলাদেশ নামে আলনা খেলনায় অন্তর্ভুক্ত হয় ব্র্যান্ডটি। বাংলাদেশ, লন্ডন, কানাডা ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দেশে ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় শাড়ি বিপণন করছে।
সমসময়ের স্টেটমেন্ট জুয়েলারি নিয়ে গ্লুড টুগেদার ক্রেতাদের নজর কাড়ে। অনলাইনেই উপস্থিতি এ ব্র্যান্ডের। গয়নার ব্র্যান্ড হিসেবে ২০১৫ সালে শুরু গ্লুড টুগেদারের।
জুয়েলারি ডিজাইনার ও গ্লুড টুগেদারের উদ্যোক্তা মেহনাজ আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল গ্লুড টুগেদারের গয়না নিয়ে অন্যদের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করা। তাই ২০২১ সালে আলনা খেলনার সঙ্গে যুক্ত হওয়া। এ ছাড়া আলনা খেলনার মাধ্যমে গ্লুড টুগেদারের গয়নাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিন বোনের ফ্যাশন ব্র্যান্ড তনয়া কতুর। ১৯৮০ সালের দিকে তাঁদের মায়ের উদ্যোগেই প্রথম শুরু হয় এ ব্র্যান্ডের যাত্রা। ব্র্যান্ডটি মূলত সেমি প্রেশাস পাথরের গয়না নিয়ে কাজ করে। নিজেদের ডিজাইন করা গয়নার পাশাপাশি অন্য ডিজাইনারদের গয়নাও পাওয়া যায় তনয়া কতুরে। ২০২২ সালে ব্র্যান্ডটি যুক্ত হয় আলনা খেলনার সঙ্গে। এ ছাড়া কয়েকটি দেশে প্রায় ১২টি আউটলেট রয়েছে তাদের। ভারতীয় মাল্টিব্র্যান্ড ই-কমার্স ওয়েবসাইট পার্নিয়া’স পপআপ শপের সঙ্গেও যুক্ত আছে তনয়া কতুর। এ ছাড়া দেশের বাইরে রপ্তানিও হয় তাদের ডিজাইন করা গয়না।
ট্রেন্ডি ফিউশন স্টাইল ও আভিজাত্য দুটিই পাওয়া যায় মাশরুফা কতুরের ফ্যাশনেবল পোশাকে। আলনা খেলনার উদ্যোক্তা তানজিয়া তাহসিন জানান, মাশরুফা’স কতুরের নিজস্ব ডিজাইন হলেও পোশাকের কাপড় ও অন্যান্য উপকরণ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। ২০২১ সাল থেকে আলনা খেলনার সঙ্গে কাজ করছে মাশরুফা’স কতুর।
ছবি: কবির হোসেন