সবুজ রঙের সঙ্গে চোখ জুড়ানো একটা ব্যাপার থাকে। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এই সবুজ-শ্যামল দেশের প্রকৃতি থেকে নেওয়া এই রঙের কোনো জুড়ি হয়না। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর লুক দেখে কিন্তু সেটাই মনে হচ্ছে। নতুন সিনেমা 'সাবা' নিয়ে তিনি সেখানে হয়েছেন। বলাই বাহুল্য, তিনি এখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এখানে মেহজাবীনের শাড়ি-ব্লাউজ দেশের সুপরিচিত ডিজাইনার লেবেল সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা।
এই তরুণ ডিজাইনার ইতিমধ্যেই তারকাদের গুরুত্বপূর্ণ সব ইভেন্টে পরার পোশাকের জন্য এক নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছেন। মেহজাবীনের এই আউটফিটটিও এই উপলক্ষে অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে, বলতেই হয়। সাফিয়া সাথীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অভিনেত্রী মেহজাবীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এমন থিমের পোশাকই পরতে চেয়েছেন এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে। আর সেজন্যই এই সবুজ রং বেছে নেওয়া। ব্যাকড্রপের লাল রঙের সঙ্গে মেহজাবীনের সবুজ শাড়ি বাংলাদেশের কথাই বলছে।
বেশ ঐতিহ্যবাহী লুকের এই শাড়িটিতে সিল্কের ওপরে কাতানের জমকালো পাড়-আঁচল রয়েছে। আর তাঁর ওপরে করা হয়েছে নিখুঁত জারদৌসির কাজ। খুব ঝলমলে নয়, বরং আভিজাত্যময় আমেজ দিচ্ছে শাড়িটি। শাড়ি-ব্লাউজের ডিটেইলস সাফিয়া সাথীর কাছ থেকেই জানা গেল। ফরেস্ট গ্রিন বলা যায় সবুজের এই শেডটিকে, বললেন তিনি।
নজর কাড়ছে ম্যাচিং ব্লাউজ ও কাতানের তৈরি বটুয়া স্টাইল ব্যাগ। ব্লাউজের ফিটিং সত্যিই চমৎকার। হাইনেক ও ফুলস্লিভ সবুজ ব্লাউজের সোনালি কাউকাজে রীতিমতো রাজকীয় ভাব। ব্যাকলেস ব্লাউজের লুকের হিরো বলা চলে বো-ডিজাইনটিকে। এতে পুরোপুরি ট্র্যাডিশনাল সাজের মাঝেও কন্টেম্পোরারি ভাইব এসেছে।
মেহজাবীনের সিগনেচার হেয়ারস্টাইল বলা চলে এই স্লিক, টেনে বাঁধা খোঁপাকে। তাতে সাদা ফুলের গাজরা দিয়েছে স্নিগ্ধ লুক। কানের সবুজ পাথরের দুলটি বেশ মানিয়েছে।
দুল ছাড়া আর কোনো গয়নার বাহুল্যে যান নি মেহজাবীন। আর অত্যন্ত হালকা মেকওভারে সবসময়ের মতোই সুন্দর লাগছে তাঁকে। বাংলাদেশের রঙে নিজেকে সাজিয়ে সেই সবুজে এবার বুসানও রাঙালেন এই অভিনেত্রী।
ছবি: মেহজাবীনের ইন্সটাগ্রাম