শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নয়, নিজস্ব ফ্যাশন স্টেটমেন্ট বহনে অপরিহার্য অনুষঙ্গগুলোর একটি ব্যাগ। বয়স ও কাজের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয় প্রয়োজনীয় ব্যাগটির আকার ও ধরন। হাঁটতে বের হওয়া, বাজারে যাওয়া, অফিসে যাওয়া, ক্যাম্পাসে যাওয়া- সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন মানানসই ও রুচিশীল একটি ব্যাগ।
এই গরমে ব্যাগে একটা ছাতা, পানির বোতল ও ছোট ফ্যান রাখা আবশ্যক। প্রসাধনী সামগ্রী তো আছেই। তাই একটু বড় সময়ের জন্য কর্মক্ষেত্রে কিংবা ক্যাম্পাসের জন্য দরকার একটু বড় আকারের ব্যাগ। দা হকার্স সে কথা মাথায় রেখে তাদের সংগ্রহে যোগ করেছে ‘ডলি’ নামের ক্রস বডি ব্যাগটি।
প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সব জিনিস অনায়াসেই জায়গা করে নিবে ১১ ইঞ্চি লম্বা, ১০.৫ইঞ্চ উচ্চতা ও ৪.৫ইঞ্চ গভীরতার এই ব্যাগে। ব্যাগটি ক্যানভাস ফেব্রিকসে করা। আর হঠাৎ বৃষ্টি যেন ব্যাগের ভেতরের জিনিসপত্র নষ্ট না করে দেয়, সে জন্য পানি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা আছে। ব্যাগের মূল অংশে জিপ লকের সঙ্গে আছে ম্যাগনেট লক। ব্যাগের সামনের অংশে, পেছনে ও ভেতরেও একটি করে পকেট আছে। ফোন, চাবি এমনকি ওয়ালেটও রাখা যাবে এই পকেটগুলোতে। আর ব্যাগের দুপাশেই আছে বোতল রাখার সুবিধা। অফিস কিংবা ক্যাম্পাসে এ ধরনের ব্যাগ বেশ কাজের।
শুধু গরম নয় ঈদকে আরও উৎসবমুখর করে তুলতে পারে দা হকার্সের রঙিন ‘জুটোপিয়া’ ক্রস বডি ব্যাগটি। ডলির মতোই এর ধারণ ক্ষমতা। জুট ও সাটিন কাপড়ের সমন্বয়। তার ওপর পকেট দিতে রঙিন জার্সি কাপড় যোগ করা। প্রাণবন্ত রঙের এই ব্যাগটি এখন দা হকার্সের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত পণ্য। এমনটি জানান দা হকার্সের স্বত্বাধিকারী তাসনিয়া ইরা।
ডাফল ব্যাগগুলোও কিন্তু এখন ফ্যাশনিস্তাদের পছন্দের শীর্ষে। ক্যানভাস ফ্যাব্রিক ও পিউ লেদারে ‘মিনি ডাফি’ গুলো নকশা করেছে দা হকার্স । নামে মিনি হলেও ক্যাম্পাসে কিংবা অফিসে এমনকি বেড়াতে গেলেও অনায়াসেই বহন করা যাবে এই ব্যাগগুলো। এই তিনটি ব্যাগই লম্বা বেল্টের। তবে টপ হ্যান্ডেল না থাকায় হাতে বহন করা একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে।
টপ হ্যান্ডেল আর লম্বা বেল্টের সুবিধা আছে ‘রাই কমল’ নামের স্লিং ব্যাগটিতে। ব্যাগটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি উল কাপড়ে তৈরি। মূলত এই কাপড় দিয়ে গার্মেন্টসে জ্যাকেট তৈরি করা হয়। কারখানার বেঁচে যাওয়া কাপড় সংগ্রহ করে কোরিয়ান ট্রেন্ডের এই ব্যাগটি তৈরি করেন তাসনিয়া ইরা।
ট্যুর কিংবা ছোটখাট ভ্রমণ বান্ধব বেশ কিছু ব্যাগপ্যাকও আছে তাদের সংগ্রহে। ডাবল চেম্বার ও বেশ কিছু পকেট আছে ব্যাগগুলোতে। ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যাওয়া যাবে নিশ্চিতে।
মিনিমাল নকশার ক্রসবডি মোবাইল ব্যাগগুলোর কথা না বললেই নয়। নোভেলাস নামের ব্যাগটি ফ্রেবিকের সঙ্গে লেদার যোগ করা। আড্ডা, পার্টিতে মিনিমাল লুক পেতে সঙ্গী হতে পারে এটি। লেদার ছাড়াও একদম আড়ম্বরবিহীন মোবাইল ব্যাগ মনা। ছোট এই ব্যাগগুলো মোবাইল ফোন আর টাকা নিয়ে হাঁটতে বের হওয়ার উপযোগী।
দা হকার্সের দৃষ্টিনন্দন কিছু টোটব্যাগও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর সব সময়ের ক্ল্যাসিক ‘মোয়ানা’ নামের ড্যাফোডিল ব্যাগ তো আছেই। যেকোনো আয়োজনে কিংবা প্রয়োজনে মানিয়ে যাবে স্টাইলিশ এই ব্যাগগুলো। যেকোনো আউটফিটের সঙ্গে স্টাইল স্টেটমেন্ট ধরে রাখবে শতভাগ।
দা হকার্সের আকর্ষণীয় একটি ব্যাপার হলো, তারা জিরো ওয়েস্ট ও ঝুট ফেব্রিকস নিয়ে কাজ করে। বিভিন্ন গার্মেন্টসের ঝুট ফেব্রিকগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ফ্যাব্রিক যোগ করে তৈরি করেন স্টাইলিশ সব ব্যাগ। এ ক্ষেত্রে একই ধরনের কাপড় পরবর্তিতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। এ জন্য দা হকার্স তাদের অনেক জনপ্রিয় ব্যাগ পুনরায় তৈরি করতে পারে না। ঝুট সংগ্রহ করে ব্যাগ তৈরি করার এটি হয়তো অসুবিধা, জানান ইরা।
দা হকার্সের পার্স ও 'কি পার্স' গুলো বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে সংগ্রহ করা টুকরো কাপড় থেকে তৈরি। ঝুট কাপড় ও লেদারের চমৎকার মিশেল। বিভিন্ন কার্ড রাখার জন্য দারুণ ফাংশনেবল ছোট এই ব্যাগগুলো।
ফ্যাশনেবল ও মাল্টিপারপাস এই ব্যাগগুলোর দামও রাখা হয়েছে হাতের নাগালেই। কি পার্সগুলো মাত্র ২০০টাকায় পাওয়া যায়। মোবাইল ব্যাগগুলোও বেশ সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের বড় ব্যাগগুলোও ৭৫০থেকে ১৫০০টাকায় পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য ঈদে কাউকে উপহার দিতেও বেশ সাশ্রয়ী দা হকার্সের ফ্যাশনেবল এই ব্যাগগুলো।
ছবি: দ্য হকার্স