ঈদে চামড়ার জুতার সমারোহ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

পুরুষদের পছন্দ

এই ঈদে ছেলেদের জুতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা স্যান্ডেল শু, স্লিপার ও লোফারের। এর প্রধান কারণ হলো আবহাওয়া। গরমে মানুষ সবার আগে নিজের আরামের কথা ভাবে। পা আরাম না পেলে মাথা গরম হয় বেশি। তাই ক্রেতারা পা ঢাকা জুতা কিনছেন কম।

বিজ্ঞাপন

ছেলেদের জুতার মধ্যে স্যান্ডেল ও লোফার ছাড়াও রয়েছে ট্যাসেল জুতা, ক্যাজুয়াল শু, হাফ শু, মুজারি, ব্রেডেড জুতা, অক্সফোর্ড ও চেলসি বুট। পছন্দ ও রুচিভেদে এগুলোও বেছে নিচ্ছেন ছেলেরা। লোফারের মধ্যে— পেনি, ডাবল মঙ্ক, ফ্রেঞ্চ মঙ্কের চাহিদা রয়েছে তরুণদের মধ্যে। এর মধ্যেও রয়েছে প্রকারভেদ। রয়েছে নানা নকশা ও টেক্সচারের হিলসহ হাফ লোফার। এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দামের লোফার রয়েছে দোকানগুলোয়।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে যাঁরা বাইক চালান, তাঁরা বুটের দিকে ঝুঁকছেন বেশি। এরই মধ্যে পয়েন্টেড ও চেলসি বুট অন্যতম। এগুলোর দাম শুরু হয়েছে ৯০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ঈদে পাঞ্জাবি ও কাবলির সঙ্গে পরতে কোলাপুরি নকশার জুতা ও ব্রেডেড বা বোনা জুতা কিনছেন অনেকে। সব জুতারই রয়েছে নানা ধরনের নকশা ও রং। ট্যাসেল জুতার চাহিদাও রয়েছে তরুণদের মধ্যে। এই জুতার ওপরে নকশা করা বিভিন্ন ধরনের ট্যাসেলই মূল আকর্ষণ যোগ করে। এসব জুতার সোল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রাবারের দেশি সোল, টিপিআর ও পিইউ সোল।

নানা ডিজাইনের মুজারি জুতাও রয়েছে দোকানগুলোতে, যার দাম শুরু দুই হাজার টাকা থেকে। নানা টেক্সচারের হিলসহ হাফ টারসেল জুতার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা। আর ফ্ল্যাট হাফ জুতা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানালেন মারিয়া লেদার শপের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে যাদের একটু বয়স হচ্ছে, তাদের পছন্দ ডক্টর’স শু। খাঁটি লেদারের এই শু মূলত হাঁটাচলায় সুবিধা হয়। রাবারের ওপরে চামড়া থাকায় ডক্টর’স শু পরতে আরাম হয়।


সবগুলো দোকানেই রয়েছে নজরকাড়া সব রঙের জুতা। চামড়ার জুতার চাহিদা একসময় কালো রঙের মধ্যে আটকে থাকলেও একুশ শতকে ক্রেতাদের চাহিদা ও পছন্দ বদলেছে অনেক, জানালেন আলফার শুর কর্তৃপক্ষ।

কালো ছাড়াও অন্যান্য রংগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে জুতায়। বাদামি, চকলেট, হলুদ, নেভি ব্লু, কফি, সাদা ও ধূসর রঙের জুতা বেছে নিচ্ছেন তরুণেরা। চামড়াজাত পণ্যের জন্য বিখ্যাত এই দোকানগুলোয় জুতা ছাড়াও ছেলেদের নানা নকশার বেল্টও রয়েছে।

মেয়েদের কেনাকাটা

হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ের জুতার দোকানগুলোয় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের যাতায়াত কম। ফলে মেয়েদের চামড়া জুতার কালেকশন খুবই অল্প। এখানকার দোকানীদের মতে, ছেলেদের চামড়ার জুতা নকশা করা যতটা সহজ, মেয়েদের জুতার ক্ষেত্রে সেটা উল্টো। ফিনিশিং ভালো হয় না মেয়েদের জুতার। তবে ঢাকা লেদার শপে মেয়েদের স্যান্ডেল শু এসেছে কিছু, যা গরমে পরতে বেশ আরাম হবে। দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। কিছু দোকানে মেয়েদের কয়েক ধরনের ডক্টর’স শু এসেছে। তবে মেয়েদের চামড়ার জুতা সেভাবে না থাকলেও অনেকগুলো দোকানেই উৎসবভিত্তিক জুতা পাওয়া যাচ্ছে।


এখানে আরও একটা বিষয় লক্ষ করা গেছে, ছেলেরা জুতা কিনতে এসে তাঁর সঙ্গীর জন্যেও জুতা কিনছেন। সে ক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি বেছে নিচ্ছেন পাম শু ও ফ্ল্যাট জুতা। যাঁরা একটু রঙিন ও ফেন্সি জিনিস পছন্দ করেন, তাঁরা কিনছেন চুমকি, পুঁতি বা স্টোনের অলংকরণের জুতাগুলো। যেহেতু এই এলাকা বিখ্যাত চামড়াজাত পণ্যের জন্য। তাই শতভাগ চামড়ার নানা ডিজাইনের ব্যাগও নিচ্ছেন তরুণীরা। আলফা ও ঢাকা লেদার শপে রয়েছে মেয়েদের রংবেরঙের ব্যাগের কালেকশন। ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকার চামড়ার ব্যাগ রয়েছে এখানে।

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ০৪
বিজ্ঞাপন