পাখি, বাদুড় আর কাঠবিড়ালির আকালের খাবার কদম ফুল ছেঁড়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে এখন সামাজিক মাধ্যমে। তাই এই ফুল না ছিঁড়ে প্রিয়জনকে দিন কদম ফুলের শাড়ি, গয়না আর ব্যাগ।
কদমের আগমনে এই মেট্রোপলিটন শহরের নকশা বদল হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল আর সোনালুর দিন পেরিয়ে এই শহর এখন কদমের। রাস্তায় হাঁটলেই চোখ জুড়াচ্ছে সুন্দর ফুল। এমন বাদর দিনে গানের সুরে প্রিয় মানুষটির হাতে চোখজুড়ানো কদম তুলে দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে, 'এক গুচ্ছ কদম হাতে, ভিজতে চাই তোমার সাথে'।
কদম শুধু ফুল নয়, পণ্যনকশার অনুপ্রেরণাও
গোলাকৃতির ছোট এই ফুল কদম। কেমন একটা আবেশী সৌরভ আছে এর। কোনো ফুলের সঙ্গে এর চেহারার মিল নেই। কদম কিন্তু নিজের রূপেই জয় করে নিতে জানে সকলের মন। বর্ষার জানান দিয়ে শহরের নানা জায়গায় এসেছে কদম। রাস্তায় রাস্তায় দেখা মিলছে এর। বালতি হাতে কদম বিক্রি করছেন ফুলবিক্রেতা। এই দৃশ্য নান্দনিক চোখ ও মনে সুখের সঞ্চার করছে, সেই সঙ্গে হচ্ছে ফটোগ্রাফারের ছবির অনুপ্রেরণা। অনেকের আবার জীবিকার উৎস।
তবে বিনা হিসেবে কদম ফুল ছিঁড়ে ফেলাটা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বর্ষার এই ফুল বছরে একবারই ফোটে। পাখি আর ছোট ছোট প্রাণীরা ভরা বর্ষায় খাদ্যাভাবে ভোগে। এসময় তাদের খাবারের যোগান দেয় এই ফুল। ছোট কিছু পাখি সরাসরি কদম ফুলের নেকটার বা মধু খেয়ে বেঁচে থাকে। এছাড়াও কদমের শোভায় আকৃষ্ট হয়ে মধু খেতে আসা কীটপতঙ্গও পাখির খাবার হয়। কিন্তু কদম ছাড়া বর্ষাযাপন যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। তবে আশার কথা হচ্ছে, কদম ফুলের সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় পোশাক আর অনুষঙ্গেও৷
এই কদম সাহিত্যে-সঙ্গীতে অনুপ্রেরণা হয়েছে অনেক আগেই। স্বয়ং রবি ঠাকুর একে তুলে এনেছেন তাঁর গানে। শহুরে রোমান্টিকতাতেও ব্যান্ড ‘ব্লু জিনস’ এর ‘কদম’ গানে ঠাঁই হয়েছে তার। তবে ফ্যাশনেও এর গুরুত্ব কম নয়। যা কিছু সুন্দর, তাকে ঘিরেই তো সৃজনশীল মনের ভাবনার বিস্তার।
শাড়ি, গয়না, ব্যাগ, এমনকী খোঁপার কাঁটাতেও কদম নিজের সৌন্দর্যে শোভা বাড়িয়েছে। তাতে কার্পণ্য করেনি একচুলও। চলুন দেখে নিই ফ্যাশনের পণ্যনকশায় কদম কীভাবে হয়েছে নকশাকারের অনুপ্রেরণা ।