পূজার সাজ মানেই সেই লাল বা লাল-সাদার ট্র্যাডিশনাল সাজ তা কেন হবে! এখন ফ্যাশনিস্তারা বৃত্তের বাইরে গিয়ে এখন নিজের পছন্দের রং ও নকশার পোশাকে সাজছেন সব উৎসবেই। আমিনা সুলতানা সানজানার উদ্যোগ সাজো বাই সানজানা-তে এমন বেশ কিছু বৈচিত্র্যময় নকশার শাড়ির দেখা মিলল, যা পূজার সাজপোশাকে আনবে আলাদা আমেজ। মিশ্র মাধ্যমে ডিজাইন করা শাড়িগুলোর নকশা বেশ সৃজনশীল।
নিজের উদ্যোগ নিয়ে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে কথা বললেন আমিনা। তাঁর বয়ানে, 'সাজো আমার একটি স্বপ্নের নাম। বাংলাদেশী পোশাক বিশেষ করে শাড়িকে বিশ্বে নানা রকম ভাবে উপস্থাপন করাই সাজোর উদ্দেশ্য'।
সাজোর শাড়িগুলো দেখে ডিজাইনের ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার সবরকম প্রয়াসের ছাপ দেখা যায়। আমিনা বললেন, তিনি দেশিয় আমেজেই আধুনিকতার ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেন সবসময়। কাঠ ব্লক, সুতা, বিডস, গামছা ফেব্রিকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়৷ উজ্জ্বল কালার প্যালেট উৎসবকে ধারণ করে আর তাই রং নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালো লাগে, বললেন আমিনা।
আমাদের দেশে বারো মাসের মাঝে আট মাস জুড়েই আবহাওয়া অনেক গরম থাকে৷ তাই ফেব্রিক বাছাই করার ক্ষেত্রে আমিনা সুতি কাপড়টা বেছে নেন বেশিরভাগ সময়। তবে ডিজাইন ও উৎসব ভেদে রেয়ন সিল্ক, বলাকা সিল্ক, মসলিন ও জামদানির কাজও করে থাকেন তিনি।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের শাড়িকে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সাজো। সম্প্রতি বিশ্বরঙের উদ্যোক্তা ভূমির আয়োজনে মেলায় অংশ নিয়ে নজর কেড়েছে এই ফ্যাশন উদ্যোগটি।
ছবি: সাজো বাই সানজানা