ফ্যাশন মানেই বল্গাহারা, বাঁধ না মানা এক স্রোতধারা, যা প্রতিনিয়ত দিক পরিবর্তন করে। যুগে যুগে ফ্যাশন বিদ্রোহের প্রতীক রূপে এসেছে হাই হিলস, মিনি স্কার্ট, ডেনিমের পোশাক ইত্যাদি রূপে। আবার বিদ্রোহী বা রেবেল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব আর মনোভাবের জানান দেওয়া যায় সার্থকভাবে। এই ভাবনার রূপায়নে সময়ের সঙ্গে হিপ্পি, পাংক বা হালের হিপহপ আর এক্সট্রিম স্ট্রিট ফ্যাশন আগলভাঙার ডাক দিয়ে যাচ্ছে।
তবে কোনো কোনো সময় ব্যক্তিগত বিদ্রোহ আর প্রথা ভাঙা অ্যাটিচিউডের প্রকাশে নিজস্ব সিগনেচার ফ্যাশন হতে পারে এক সর্বজনীন ভাষা। সর্বযুগের সেরা ফ্যাশন আইকনদের একজন ম্যাডোনা যেমন নিজস্ব মেজাজের সাজপোশাক দিয়ে বারবার আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে থাকেন সবসময়। ঠিক তেমনি বহুদিন ধরে অ্যাডাল্ট মুভির তকমাধারী অভিনেত্রীর খেতাব একপাশে রেখে মিয়া খলিফা ফ্যাশন দুনিয়াতে সদর্পে পদার্পন করেছেন এ বছর ২০২৩-এর প্যারিস ফ্যাশন উইকে। সেখানকার ফ্রন্ট রো-তে দেখতে পাওয়া মিয়ার আলোচিত বিদ্রোহী ফ্যাশন নিয়ে তিনি সাড়া জাগালেন এবারে ভোগ ইন্ডিয়ার প্রচ্ছদকন্যা হয়ে।
নতুন বছরে ভোগ ইন্ডিয়ার ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সংখ্যার প্রচ্ছদে দেখা যাবে মিয়াকে। আর তাঁর বিদ্রোহী ফ্যাশনের গল্প থাকবে কভারস্টোরি হিসেবে। ভোগ ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপটিকে মুক্তধারার ফ্যাশন আর ট্যাবু ভাঙার ক্ষেত্রে এক মাইলফলক বলছেন সকলে৷
মিয়া খলিফাকে চেনেন সবাই। অ্যাডাল্ট মুভি ছাড়াও নিজের টিকটক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সবাই দেখেন তাঁকে। কিন্তু মিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রত্যেকটি ছবি আর সবকিছুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মনোভাব থাকে সবসময় সকলের মধ্যে। আর এর মাঝে ফ্যাশন কন্যা হিসেবে মিয়ার পুনরুত্থান তাঁকে বিশেষায়িত করছে ইতিবাচকভাবে।
জাঁ পল গতিয়ের বা শিয়াপারেল্লির মতো ব্র্যান্ড এখন তাঁকে এনডর্স করছে নির্দ্বিধায়। আর জীবনের প্রথম ভোগ ফটোশুটে মিয়া নিজের ওয়ার্ড্রোবের সংগ্রহ থেকেই পরেছেন সব পোশাক। স্টাইলিংও করেছেন নিজে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মিয়া খলিফা ‘শেইতান’ নামে এক জুয়েলারি ব্র্যান্ড লঞ্চ করতে যাচ্ছেন।
‘'আমাকে যে নাম দেওয়া হয়েছে, সে নামেই আমি ব্যবসা দিচ্ছি।আর এখানে মুক্ত ফ্যাশন ভাবনার ভ্রুক্ষেপহীন প্রকাশ থাকবে এখানে’, বলেন তিনি। ভোগ ইন্ডিয়ার ছবিগুলোতে মিয়া নিজের শেইতানের গয়নাই পরেছেন।
ছবি: ভোগ ইন্ডিয়ার ইন্সটাগ্রাম