শীতের স্মার্ট ও স্টাইলিশ পোশাকের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো হুডি ও সোয়েটশার্ট। ছেলে ও মেয়ের উভয়ের মধ্যেই ট্রেন্ডি এই পোশাক।
সোয়েটশার্ট কী
সোয়েটশার্ট মূলত পুলওভার ফুলহাতা শার্ট। সাধারণত মোট সুতি কাপড়ে তৈরি হয় সোয়েটশার্ট। তবে এখন সুতি ছাড়াও শীত উপযোগী ভারী ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়। শুরুর দিকে সোয়েটশার্টে হুডি ব্যবহার করা হতো, তবে এখন হুডি ছাড়াও ক্যাজুয়াল সোয়েটশার্ট ডিজাইন করা হয়। মূলত হুডি ফ্যাশন সোয়েটশার্ট থেকেই এসেছে। সেই সময়ে সোয়েটশার্টকে বলা হতো হুডেড সোয়েটশার্ট।
ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে খেলোয়াড়দের মধ্যে সোয়েটশার্ট জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। যদিও তুলনা করলে এ সময়ের সোয়েটশার্টের কাটিং ও ডিজাইন সবই আলাদা স্টাইলের হয়ে থাকে।
বন্ধ গোল গলার পোশাকটি গেঞ্জি স্টাইলে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া শার্টের ওপর সোয়েটারের মতো পরলেই তৈরি হবে আলাদা স্টাইল। ইউনিসেক্স পোশাকটি ছেলে ও মেয়ে উভয়ের উপযোগী করেই ডিজাইন করা হয়। সোয়েটশার্ট আরও হতে পারে ক্রপড, ব্যাগি, টাই-ডাইড, হুডেশ বা জিপড স্টাইলের। আবার বডি ফিটিং সোয়েটশার্টের পাশাপাশি ওভারসাইজ সোয়েটশার্টও কিন্তু চলছে সমানতালে।
হুডি কী
হুডি পোশাকটি সোয়েটশার্ট থেকেই এসেছে, তবে এখন এই দুই পোশাকের লুকে রয়েছে বেশ পার্থক্য। পুলওভার ও জিপ স্টাইল ছাড়া হুডির আছে আরও কয়েক ধরনের ডিজাইন। আবার মাফ বা বড় আকারের পকেট হুডি সিগনেচার স্টাইলে পরিণত হয়েছে।
সত্তর দশকের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে হিপ-হপ কালচারের প্রচলত শুরু হয়। সেই সময়ের তরুণেরা ভিন্নধর্মী এই পোশাককে দারুণভাবে গ্রহণ করেছিল। বিশেষ করে হলিউড ব্লকবাস্টার ‘রকি’ সিনেমাটিতে হুডিকে স্টাইলিশভাবে উপস্থাপন করা হয়; যা হুডির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। আর নব্বই দশকে ফ্যাশনজগতে সারা ফেলে দেয় হুডি নামের পোশাকটি।
এ সময়ের হুডিতে উল, ডেনিমের মতো মোটা ও ভারী ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়। পুলওভার হুডি, জিপ–আপ হুডি, ফিটেড হুডি, কালার ব্লক হুডি, রেগুলার হুডি, স্লিভলেস হুডি, ক্রপড হুডি, ওভারসাইজড হুডি, অ্যাথলেটিক হুডি—সবই এখন আছে ট্রেন্ডের শীর্ষে।