কাতারে ফুটবল মাঠে চলছে এখন দলগুলোর বাঁচা-মরার লড়াই। মাঠ গড়িয়ে জমজমাট এই আয়োজনের উত্তাপ লেগেছে দেশীয় সমর্থকদের মধ্যেও। প্রিয় দলের সমর্থনে ফ্যাশনকেও যুক্ত করা হয়েছে। এ বছর একেবারেই অভিনব ও মজার ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে বিশ্বকাপ লুঙ্গি।
লুঙ্গি পরলেই যেন বোঝা যায় কোন দলের প্রতিনিধি সেই চিন্তা থেকে আমানত শাহ লুঙ্গি ফ্যানদের জন্য এনেছে বিশ্বকাপ লুঙ্গি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্যান লুঙ্গি’।
বিশ্বকাপে খেলা এত দেশের মধ্যে প্রতিবারই কয়েকটি দেশ পায় ফেবারিটের তকমা। এবারও হয়নি ব্যতিক্রম। এ তালিকায় প্রথমেই আছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের নাম। এ ছাড়া স্পেন, জার্মানি আর ফ্রান্সও আছে প্রথম সারিতে।
এই পাঁচটি দেশের পতাকার রং অনুসরণে ডিজাইন করা হয়েছে এসব লুঙ্গি। আর এই লুঙ্গিই হয়ে উঠেছে সমর্থন জানানোর অন্যতম অনুষঙ্গ।
মজার বিষয় হলো দেশীয় তারকারাও পছন্দের দলের লুঙ্গিতে জানান দিচ্ছে তাঁদের জোরালো সমর্থন। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ব্রাজিল দলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন বিশেষ ব্রাজিল লুঙ্গি পরেই।
এ ছাড়া কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশু পছন্দের দল ফ্রান্সের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিশেষ লুঙ্গি পরে।
তরুণদের মধ্যে লুঙ্গি ফ্যাশনকে জনপ্রিয় করতে ফুটবল বিশ্বকাপের মৌসুমে ভিন্নধর্মী প্রচারণা নিয়ে কাজ করছেন আমানত শাহ লুঙ্গির পরিচালক রেজাউল করিম।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী অন্তর আহমেদ জানান, পাঁচটি দেশের পতাকা ও জার্সির আদলে একেবারেই নিজস্ব ডিজাইনে এসব লুঙ্গি তৈরি করা হয়েছে। আর সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিটি লুঙ্গির দাম রাখা হয়েছে ৩৭০ টাকা। বছরের অন্য সময়েও যেন পরা যায় তাই হুবহু পতাকা বা জার্সির মতো ডিজাইন করা হয়নি।
আমাদের দেশে বিশ্বকাপে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। লুঙ্গি ফ্যাশনেও দেখে গেছে একই চিত্র। অন্তর আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলের লুঙ্গি।
তবে দুই দেশের হিসাবে ব্রাজিলের থেকে বিক্রিতে প্রায় ২৫ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা; যা মেসি ও আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য হতে পারে বিশেষ আনন্দের খবর। এ ছাড়া জার্মানির ভক্তদের সংখ্যাও যে কম নয়, তা লুঙ্গি বিক্রির ধুমে অনেকটাই পরিষ্কার।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্যান লুঙ্গি নিয়ে আরও একটি মজার তথ্য দিলেন অন্তর আহমেদ। তিনি জানান, কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে যাওয়া কয়েকজন ফুটবলপ্রেমী নিয়ে গেছেন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও জার্মানির লুঙ্গি। তাই কাতারের মাঠে লুঙ্গির দেখা পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না; বরং তা হতে পারে মজার এক অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে হয়ে যাবে লুঙ্গির প্রচারণাও।