
শারদীয় দুর্গাপূজা মানেই সাজপোশাকে বিশেষ পরিকল্পনা। ফ্যাশনপ্রেমীরা আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন, কোন দিনে কী পরবেন। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোও ক্রেতাদের এই চাহিদা মাথায় রেখে সাজায় তাদের সংগ্রহ নান্দনিক নকশা ও বাহারি রঙে। তবে রঙিন পোশাকের ভিড়েও এই উৎসবে লাল-সাদার আবেদন আজও অমলিন।

যুগ যুগ ধরে পূজার প্রধান আকর্ষণ হয়ে আছে এই দুই রঙের ঐতিহ্যবাহী সমন্বয়। এবারের পূজা সংগ্রহে নকশার কারিকুরিতে নকশা মিস্ত্রী আলাদাভাবে নজর কাড়ছে লাল-সাদার চিরন্তন আবেদনের মাঝেও।
নকশা মিস্ত্রি এই কালেকশনে রেখেছে দু'টি নকশার শাড়ি। এবারের সংগ্রহে পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে তারা। অর্থাৎ সংখ্যায় কম হলেও শাড়ির ফেব্রিকে কোনো ছাড় দেয়নি নকশা মিস্ত্রি। এই ফ্যাশন উদ্যোগটি সবসময় আরামদায়ক সব পোশাক তৈরি করে থাকে। পূজার শাড়িতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কাপড় হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে নরম খাদি। এতে আরাম আর ফ্যাশন দুই-ই নিশ্চিত হয়েছে।


বাংলাদেশের বর্ণময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধন এই লাল পাড়ে সাদা শাড়িতে ফুটে উঠেছে। কোরা শাড়ির জমিনে সাদা ব্লক প্রিন্ট আর আঁচল ও পাড় স্ট্রাইপ প্যাটার্নে লাল ব্লকের নকশায় অলংকরণ করা হয়েছে।
সূচিশিল্পের নিপুণতা নজর কাড়ছে। লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে লাল সুতায় হাতের কাজ করা হয়েছে। মিনিমাল নকশার এই শাড়িগুলো এখন বেশ ট্রেন্ডি। আটপৌরে কায়দায় হোক, কিংবা ক্লাসিক ড্রেপিং যেকোনো ভাবে স্টাইলিং করা যাবে শাড়িগুলো। সঙ্গে থাকতে পারে স্লিভলেস লাল ব্লাউজ। গ্ল্যাম মেকওভার বেছে নিতে পারেন উৎসবের আমেজে।


লাল টিপ, সিঁদুর আর লাল ঠোঁটই মানাবে। কাজল আর আলতা বাড়িয়ে দেবে আকর্ষণ। আর সেই সঙ্গে অক্সিডাইজড গয়না বেশ মানাবে লাল-সাদার অনসম্বলে।
ব্র্যান্ডটির কর্ণধার ও ডিজাইনার শ্রাবনী মহলদার বলেন, 'ঐতিহ্য আরাম ও আধুনিকতা এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করে নকশা মিস্ত্রি। পূজার কালেকশন সাজাতেও এই বিষয়গুলো ভাবনায় রেখেছি। আর আমাদের এবারের সাদা শাড়ির লাল পাড়ে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের রঙিন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আধুনিকতার অনন্য মেলবন্ধন।'


শ্রাবনীর পোশাকে বরাবরই দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক স্টাইলের মেলবন্ধন দেখা যায়। আর দেশীয় উপকরণ নিয়েই তিনি সবসময় কাজ করেন।
ছবি: নকশা মিস্ত্রি