সারা লাইফস্টাইলের মূল কোম্পানি স্নোটেক্সের শুরু ১৯৯৮ সালে। ফলে প্রায় দুই যুগ তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান। স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম খালেদ বলছিলেন, তৈরি পোশাকশিল্পে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বের বাজারে যারা এখন নামকরা ও গুরুত্বপূর্ণ বায়ার, তাদের অনেকেই একসময় এমন ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
তাঁদের দীর্ঘ এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষকে সঠিক মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের পোশাক উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই ২০১৮ সালে তাঁরা শুরু করেন সারা লাইফস্টাইল, বলেন তিনি। স্মৃতি থেকে খালেদ বললেন, শুরুর গল্পটি আরও বিশদে। ২০০৪ সালে আমেরিকার একটা প্রতিষ্ঠান তাঁদের ফ্যাক্টরি করে দিয়েছিল। এভাবেই তৈরি পোশাকশিল্পে তাদের সূচনা। খালেদ অবশ্য জানালেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—সোর্সিং, উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত হলেও সারা লাইফস্টাইল শুরু করতে গিয়ে তাঁদের ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারগুলো নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করতে হয়েছে।
খালেদ অবশ্য একেবারেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ এ ক্ষেত্রে। বললেন, এখনো শিখছেন একটু একটু করে। ডিজাইনের ক্ষেত্রেও অনেক পথ চলা বাকি বলে তিনি মতামত দেন। তাঁর বয়ানে জানা গেল, ২০১৯ সালে সারা লাইফস্টাইলের আউটলেটের সংখ্যা হয় ৫। এভাবে আগামী বছরের মধ্যে আউটলেট ১৫ থেকে ২০টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা তাঁদের। বর্তমানে ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে মোট ১০টি আউটলেট রয়েছে। শীঘ্রই বগুড়া ও সিলেটে আরও দুটি আউটলেট উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
খালেদ আরও জানান, আন্তর্জাতিক বায়ারদের কাছ থেকে ব্র্যান্ডিং, ব্যবস্থাপনা, মানসম্মত উৎপাদন ও অপারেশন ইত্যাদির পাঠ নিয়েই যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া সারা ব্র্যান্ডকে সবার সামনে আনার আগেও তাঁরা বাজার-সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রচুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছেন। অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শেখা হচ্ছে অনেক কিছু, আন্তর্জাতিক বাজারের ট্রেন্ডের দিকেও আছে তাঁদের খেয়াল। এভাবেই এই মুক্তবাজারে সারা ব্র্যান্ডটি এগিয়ে চলছে, জানান খালেদ।
পরিচালক শরিফুন রেবা শুরুতেই সারা লাইফস্টাইলে তাঁদের কাজের মূলমন্ত্র সম্পর্কে ধারণা দিলেন। তিনি বলেন, পুরো উৎপাদনের প্রক্রিয়ার প্রাণভোমরাই হচ্ছে সুচিন্তিত গবেষণার ধাপগুলো। আন্তর্জাতিক, বিশেষত ভারতের ফ্যাশন ট্রেন্ডই কিছুদিন পরে এদেশে সমাদৃত হয় বলে তিনি জানান।
আবার দ্রুত পরিবর্তনশীল কাট, প্যাটার্ন ও সিলোয়েটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজাইন ও উৎপাদনের বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোচ্ছে সারা লাইফস্টাইল, মতামত তাঁর।
গবেষণার এই কাজগুলো প্রতিষ্ঠানটির সব বিভাগেই করা হয়। বাজার পর্যবেক্ষণকে সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন রেবা। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি সুচিন্তিত ভারসাম্যসূচক মূল্যে যদি বায়ারদের তৈরি পোশাক দেওয়া যায়, তবে দেশীয় ক্রেতাদের কেন নয়! এটিই ছিল কাজের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে বিভিন্ন দেশের সফল প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন, তাদের কর্মপদ্ধতিতে নিজেদের উৎপাদনের প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী রেবা। তবে বললেন, এখনো মান ও মূল্যের সঠিক ভারসাম্যের দিক থেকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও অনেক পথ চলতে হবে সারা লাইফস্টাইলকে। অবশ্য সঠিক পথে এগোনোর ফলে আত্মবিশ্বাস স্পষ্টতই অনুরণিত হচ্ছিল তাঁর কণ্ঠে। অতিমারি পরবর্তী সময়ে নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটছে ও ঘটবে বলেই তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কিন্তু একটি ন্যূনতম সংখ্যায় না পৌঁছালে উৎপাদন লাভজনক ও পণ্যের মূল্য সুলভ হওয়া খুব কঠিন, উঠে এল তাঁর কথায়। আবার, কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডকে অনুপ্রেরণা ধরে না এগোলেও নিজেদের বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভালো–মন্দ খুবই মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে সারা লাইফস্টাইল, বললেন রেবা। মানসম্মত হাই অ্যান্ড ফ্যাশন পণ্য সহনীয় দামে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া—নিজেদের ব্র্যান্ড পরিচয় বা বিশেষত্ব হিসেবে এই বিষয়ের ওপরেই জোর দিলেন তিনি।
হিসাব-নিকাশের প্রসঙ্গে এসে শরিফুন রেবা বলেন, ২০১৮ সালে আমরা মাত্র শুরু করি। ২০১৯ সালে যে বিক্রিটা হয়, ২০২০ সালে বৃদ্ধি ছিল ৫-১০ শতাংশ। পরে ২০২০-২১ সময়কালে তা ছিল প্রায় ৫০ শতাংশের মতো। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৭৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধি হয়েছে সারার। আমরা আশা করছি, আগামী বছরও আমাদের এমন বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
কথা প্রসঙ্গে করোনাকালে সারা লাইফস্টাইল মাস্ক ও পিপিইর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বলে জানান রেবা। দেশের এই ক্রান্তিকালে নিজেদের উদ্যোগে বিনা মূল্যে দেড় কোটি টাকার পিপিই বিতরণ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। জ্যাকেটে ব্যবহৃত কিছু ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে স্নোটেক্সের কারখানায় বানানো প্রায় ১৫-২০ হাজার পিপিই বিক্রি করা হয় ন্যূনতম মূল্যে, যাতে চিকিৎসকসহ অন্যান্য পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে কিনতে পারেন।
এরপর বিদেশি কোম্পানিগুলো ‘এন নাইনটি ফাইভ’ মাস্ক সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর যে তীব্র মাস্ক–সংকট ঘটে, তার সমাধানে নিজেদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে সারা লাইফস্টাইল। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অক্লান্ত শ্রম, সময় ও বেশ বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে সারা লাইফস্টাইল জনসাধারণের জন্য নিয়ে আসে ৮৬ শতাংশ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মাস্ক। সে সময় এই কাজটির সঙ্গে সর্বতোভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারার সন্তুষ্টি ঝরে পড়ছিল রেবার বয়ানে।
করোনার সময় কর্মী ছাঁটাই না করে বরং দুই বছরই চার হাজার করে কর্মী নিয়োগ দেয় সারা লাইফস্টাইল, জানান রেবা। এ সময় অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের সহায়তায় সময়মতো শ্রমিকদের বেতনও পরিশোধ করা হয়, বলেন তিনি।
মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে সারার নিজস্ব সিএসআর (করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি) প্রকল্প বা এ ধরনের অন্য কিছু আছে কি না, জানতে চাইলে সপ্রতিভ উত্তর পাওয়া যায় শরিফুন রেবার কাছ থেকে। সারায় এ রকম অনেক কিছুর পরিকল্পনা রয়েছে আর স্নোটেক্সের তরফ থেকে বিনা মূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয় বলে জানান তিনি।
চার বছরে সারার চ্যালেঞ্জ আর সাফল্যের জায়গাগুলো বলতে গিয়ে রেবার কথা শুনে মনে হলো, সারার মূলমন্ত্রই হচ্ছে আরও ভালো করার ক্ষুধাকে জাগিয়ে রাখা। তিনি এখনই সারাকে সেভাবে সাফল্যের জায়গায় দাঁড় করাতে চান না; বরং এ প্রসঙ্গে বললেন, সক্ষমতা বাড়ানোই সাফল্য পরিমাপের নির্দেশক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা স্টাইলে তিন হাজার পোশাক তৈরি করলে, সেগুলো ১০টা শপে দিলে একটি শপে মাত্র ৩০০ পিস দেওয়া যায়। আর ২০টা শপ হলে, শপপ্রতি ১৫০ পিস দেওয়ান সম্ভব হয়। তখন একটা স্টাইল দ্রুত বিক্রি হয়ে যাওয়া, নতুন নতুন প্রোডাক্ট দিতে পারাটা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়।
তবে কোনো একটি স্টাইল তিন হাজার পিস করতে না পারলে পণ্যের মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এই যে এভাবে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা—এটাকেই আমরা বলতে চাই আমাদের সাফল্য।
প্রথম দিকে ভাগে ভাগে ফেব্রিক সংগ্রহ করতে গিয়ে মান ধরে রাখা কঠিন হচ্ছিল বলেন রেবা। তিনি এ–ও জানান যে এখন ৮০ ভাগ কাপড়ই মিল থেকে মান যাচাই করে সংগ্রহ করা হয়। এই সংখ্যা ১০০–তে পৌঁছাতে পারাই তাঁদের লক্ষ্য।
খালেদ ও রেবা বলেন, ঢাকার বাইরে রংপুরে আমাদের প্রথম শপ। রাজশাহীতে আমরা শুরু করেছি। রংপুরে শুরু করার পর কয়েক মাস বোঝার চেষ্টা করি, একটা বড় শহরে কেমন বিক্রি হয়। এভাবে প্রথমে বিভাগীয় শহর, তারপর বড় শহর, এরপর আরেকটু ছোট শহরে গিয়ে আমরা দেখব যে কোন পর্যায় পর্যন্ত গেলে আমরা সারাকে সফল করতে পারব।
এ ক্ষেত্রে পণ্য ডিজাইন ও তৈরির ক্ষেত্রেও এলাকাভেদে কিছু বিষয় মাথায় রাখা হয় বলে তাঁদের বক্তব্যে কথায় জানা গেল। আর এটা গুরুত্ব দিয়েই উত্তরবঙ্গের শীত মোকাবিলার জন্য মোটা জ্যাকেট সারা তৈরি করছে।
রেবা বললেন, পণ্যই মূল ফোকাস হলেও পুত্র রাফান ও কন্যা সারাফের নাম মিলিয়ে সারা লাইফস্টাইল নামটি উচ্চারণে সহজ ও মানু্ষের মুখে মুখে ফেরে এখন। আর এ ক্ষেত্রে শুরুতে তৈরি পোশাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ফেব্রিকের উৎস খুঁজে পেতে সুবিধা হলেও আলাদা ভাবে সাফল্যের জন্য তিনি সুবিধা পাচ্ছেন বলে মনে করেন না রেবা। কারণ, দিনশেষে পণ্যের গুণগত মান ও ক্রেতার কাছে এর গ্রহণযোগ্যতাই কথা বলে। কথা প্রসঙ্গে জানান, তাঁর কন্যা সারাফ সাইয়ারা এখনই ওয়েস্টার্ন বিভাগের পোশাকের ডিজাইন ও উৎপাদনে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নির্দেশনায় আসছে তাদের নতুন সাবব্র্যান্ড ‘ঢেউ’। এটা মূলত তরুণদের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চমৎকার একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সাবব্র্যান্ডের অভিষেক হয়েছে।
দেশ ও বিদেশের ট্রেন্ডের ভারসাম্য রেখেই সারা পোশাক তৈরি করে বলে জানান তাঁরা। উৎসবভিত্তিক পোশাকেও সর্বজনীন ও সব সময় পরার উপযোগী হওয়ার বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয় বললেন খালেদ। রেবা যোগ করলেন ফিউশনধর্মী পোশাকের বিষয়টি। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৩০-৪০ শতাংশ বিক্রি হয় পাঞ্জাবি। কিন্তু অন্যসময়ে তা ১০ শতাংশ থাকে। উৎসবের সময় পাঞ্জাবি প্রায় সব বিক্রি হয়ে যায়। আর যা থাকে তা সারা বছর বিক্রি করা হয়। এভাবেই আমরা ভারসাম্য রক্ষা করি।
সারার জ্যাকেট এখন দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় আর অন্যরকম পর্যায়ে জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেছে চার বছরেই। এ প্রসঙ্গে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও রেবা বলেন, আউটলেট এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হলে ফেব্রিক আরও ভালো দেওয়া যেত কম দামে। খালেদ ও রেবা সপরিবার সারার পোশাক ব্যবহার করেন বলে জানান। ব্যবহার করতে গিয়ে যে যে অসুবিধা হয়, সেগুলোর সমাধান করেই পণ্যের উপযোগিতা বাড়ানো হয় এখানে। সারা লাইফস্টাইলের ডিজাইন ডিজিটালভাবে আর্কাইভিং করা হয় বলে জানান তাঁরা।
ছেলেদের পোশাকেই সাফল্যের পাল্লা ভারী তাঁদের মতে। তবে সার্বিকভাবে ভালো করতে ডিজাইন টিমসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মীদের তাঁরা সরেজমিন বাজার পর্যবেক্ষণ, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন আর দোকানে গিয়ে ক্রেতাদের চাহিদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা নিতে উৎসাহিত করেন।
সারার মূল ব্র্যান্ড ভ্যালু হচ্ছে, ‘বি হ্যাপি, মেক হ্যাপি’। এই সুখ ও সন্তুষ্টির বিষয়টি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে শুরু হয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সঞ্চারিত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস খালেদ ও রেবার।
সারা লাইফস্টাইল টেকসই ফ্যাশনের পথেই চলতে চায় বলে অভিমত দিলেন রেবা। বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ থেকে শুরু করে আউটলেটে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান রাখা- ছোট ও বড় নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সারা পরিবেশ তথা পৃথিবী রক্ষায় অবদান রাখছে বলে জানান তাঁরা। রেবা বলেন, আমি ফাস্ট ফ্যাশনের চেয়ে অ্যাকটিভ ফ্যাশনকে বেশি জোর দিতে চাই। সারা ও স্নোটেক্সে ডিজাইন টিম একসঙ্গেই কাজ করে। দেশি-বিদেশি বাজারের ট্রেন্ড অনুযায়ী কাজ করা হয় এখানে। জানালেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড আর হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ার্ড, কাস্টমস প্রদত্ত সেরা ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার মতো প্রাপ্তি ও স্বীকৃতিগুলো তাঁদেরকে প্রাণিত করে।
সারা লাইফস্টাইলকে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হতে হলে আরও বড় পরিসরে উৎপাদনে যেতে হবে, এটাই মূলকথা বলে জানা গেল খালেদ ও রেবার বয়ানে। সে ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান ও সবার নাগালের মধ্যে থাকা মূল্য—এই দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন বিক্রয়ের কাঠামো তৈরিতে তাঁদের বিনিয়োগ অনেক। নিজেদের প্রচার-প্রসারের কাজটি করে নিজস্ব টিম, জানান তাঁরা। এভাবেই লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়া, এক অনন্য ওয়েস্টার্নধর্মী দেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে সারা লাইফস্টাইলকে প্রতিষ্ঠিত করতে এসএম খালেদ ও শরিফুন রেবাকে খুবই আত্মপ্রত্যয়ী মনে হলো দীর্ঘ আলাপচারিতায়।