স্বমহিমায় উজ্জ্বল কিশোয়ারের বাঙালি খাবার
শেয়ার করুন
ফলো করুন

খাঁটি বাঙালি খাবারকে বিশ্বদরবারে নিয়ে গেছেন তিনি সগর্বে, নিজস্ব অনন্য কায়দায়। এ কথা বললে একটি নামই মনে পড়ে সবার এখন। কিশোয়ার চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ সদাহাস্যোজ্জ্বল ও বিনয়ী আন্তর্জাতিক তারকা রন্ধনশিল্পী দুনিয়া মাতাচ্ছেন তাঁর ক্যারিশমাটিক রন্ধনশৈলী আর ব্যঞ্জন-দর্শনে।

এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বাণিজ্য উদ্যোগের দূত হয়ে এসেছিলেন ভারতে। অত্যন্ত সফল এ কার্যক্রম শেষে অন্তরের টানে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের মাটিতে। মাত্র চার দিনের কঠোর শিডিউলের মধ্যে হালফ্যাশনের পাঠকদের জন্য সময় বের করেছেন তিনি। জানিয়েছেন রন্ধনশিল্প নিয়ে তাঁর আবেগের জায়গা, বাঙালি খাদ্যসংস্কৃতি নিয়ে তাঁর স্বপ্নময় কর্মযজ্ঞ আর বর্ণাঢ্য কালিনারি জার্নির গল্প।

বিজ্ঞাপন

তাঁর এবারের সফর মাত্র ছয় মাস পরে। মাস্টার শেফে অনন্য অর্জন তাঁকে বিশ্বব্যাপী যেমন পরিচিতি এনে দিয়েছে, তেমনি তাঁকে করে তুলেছে বাঙালির ঘরের মানুষ। আবার সেই সঙ্গে আমাদের বাঙালি হেঁশেলের প্রাত্যহিক খাবার পান্তাভাত, খিচুড়ি আর মাছের ঝোল এখন পৌঁছে গেছে ফাইন ডাইনিংয়ে। আমাদের দেশের বৈচিত্র্যময় খাদ্যভান্ডার পৃথিবীর মানুষের কাছে সমাদৃত করতে কিশোয়ার বদ্ধপরিকর।

আবার সেই সঙ্গে খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত জীবনঘনিষ্ঠ সমস্যা যেমন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শরণার্থী সমস্যা, পরিবেশ তথা পৃথিবীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব—সবকিছু নিয়েই তাঁর কাজ। কিশোয়ার চৌধুরীর কাছে খাবারের সামগ্রিক তাৎপর্যটি আক্ষরিক অর্থে পাতে পরিবেশিত খাদ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বড় ও অর্থবহ। এ নিয়ে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। রয়েছেন বিভিন্ন কল্যাণমুখী কর্মসূচির সঙ্গে। অন্যদিকে বাংলাদেশে দুর্জয় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যেমন কালিনারি আর্ট নিয়ে কাজ করছেন কিশোয়ার, তেমনি বেঙ্গল মিটের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর সক্রিয় সংশ্লিষ্টতা।

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ান-ভারতীয় যৌথ বাণিজ্য উদ্যোগ ছাড়া যুক্ত রয়েছেন আরও অনেক কিছুর সঙ্গে। এর মধ্যে সবচেয়ে মজার একটি ভূমিকা পালন করছেন অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিশেষ চ্যাম্পিয়ন বা দূত হিসেবে। উচ্ছ্বসিত হয়ে জানালেন, বাংলাদেশ দল বরণ করে নেওয়ার আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। শুধু খাদ্য নয়, সব মিলিয়ে চমকপ্রদ আয়োজনের অংশ হবেন তিনি সেখানে, এমন আভাস দিলেন।

কিশোয়ারের তারকা খ্যাতি ও ব্যস্ত কর্মময় জীবন ছাপিয়ে তিনি এক প্রাণবন্ত ও মায়াবতী বাঙালি নারী, যার মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতে চায় এ দেশের হাজারো মেয়ে। স্বমহিমায় উজ্জ্বল, নিজেদের খাদ্যসংস্কৃতি নিয়ে চরম আত্মবিশ্বাসী কিশোয়ারের পথ ধরে এই নারীরা এগিয়ে এলে, অথেনটিক বাঙালি খাবার পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে গেলে জীবন সার্থক হবে, মনে করেন তিনি। আমাদের সবার সেই কামনা। কিশোয়ার চৌধুরীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত বিবরণ পড়তে চোখ রাখুন হালফ্যাশনে।

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১২: ৪৭
বিজ্ঞাপন