ছেলেবেলার পূজার আনন্দ ছিল অনেক বেশি: অবন্তী সিঁথি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ছেলেবেলার পূজার আয়োজন আর এখনকার পূজার আয়োজনে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

ছোটবেলার পূজায় সবচেয়ে বড় পার্থক্য পূজার আনন্দে। ছোটবেলায় পূজা মানে সহজ আনন্দ হতো। বড়বেলায় আনন্দটা ঠিক ছোটবেলার মতো সহজ নয়। দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আর ছোটবেলায় উপহার পেতাম, এখন উপহার পাওয়ার সঙ্গে উপহার দিতে ভালো লাগে।

বাড়িতে পূজার আয়োজন কেমন হতো? বিয়ের পরে প্রথম দুর্গাপূজার জন্য কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপূজা। তাই শ্বশুরবাড়ির সবার সঙ্গে কাটানোর অনেক ইচ্ছা ছিল। আমার শ্বশুরবাড়িতে বড় করে পূজা হয়। সেটা নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম। কিন্তু দেশের বাইরে বরের সঙ্গে কাটবে এবারের পূজা। এটাতেও অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। দুজনই যেহেতু গানের মানুষ, তাই গান নিয়েই কিছু একটা করছি দুর্গাপূজায়। আমাদের বাড়িতে ঠিক পূজা হতো না। পাড়ার পূজায় যেতাম। পাড়ার সব মানুষের সঙ্গে আনন্দ হতো অনেক।

বিজ্ঞাপন

ছোটবেলায় কী পোশাক পরা হতো পূজায়?

ছোটবেলা থেকেই রঙিন যেকোনো পোশাক আমার খুব ভালো লাগত। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আলাদা আলাদা পোশাক পড়া হতো। কখনো শাড়ি, লেহেঙ্গা, কুর্তি, কামিজ, একেক দিন একেক রকম।

বিজ্ঞাপন

এবার কোন দিন কী পোশাক পরা হবে?

এবার বেশির ভাগ দিন শাড়িই পরা হবে। লন্ডনে দুর্গাপূজায় দুটি শো রয়েছে। সেই হিসেবে পোশাক পরা হবে। অঞ্জলি দেওয়া হবে বরের দেওয়া শাড়ি পরে।

বর কী উপহার দিল, আপনি কী উপহার পেলেন?

জামদানি শাড়ি এবং দেশি শাড়ি আমার খুব প্রিয়। বর জামদানি শাড়ি কিনে দিয়েছে।

পূজায় পছন্দের খাবার কী?

আমি বড় হয়েছি জামালপুরে। বাড়িতে পূজার সময় নাড়ু বানানো হতো। সবাই মিলে নাড়ু বানাত। তখনই পূজার আমেজ এসে যেত। পূজার ভোগ আমার খুব পছন্দের। পূজা ছাড়া কিংবা পূজায় আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় লুচি ও সবজি সব সময় এগিয়ে থাকে। মিষ্টি খেতে ভালো লাগে না খুব একটা। হালকা মিষ্টি দেওয়া তিলের নাড়ু খাই।

নিজে কী রান্না করেন পূজায়?

থালিতে সব নিরামিষ পদ থাকে। নিজেও রান্না করি মাঝেমধ্যে। দেশে থাকতে ছানার ফুলকপি ডালনা, মুলার অম্বল, জিরার পোলাও, লাবড়া, সাবুদানার পাঁপড়, আলুঝুরি ভাজা, কই বড়ির ঝাল, পঞ্চবটী ডাল, আনন্দ নাড়ু—এগুলো কিছু নিজের হাতে করা হতো।

মায়ের কোন রান্না পূজায় সবচেয়ে প্রিয়?

মায়ের হাতে ছানার ডালনা সবচেয়ে পছন্দ।

কী ধরনের সাজ পছন্দ পূজায়?

পূজোয় একটু ট্র্যাডিশনাল সাজ আমার বেশি পছন্দ। টিপ, শাড়ি, গয়না পরতে ভালো লাগে এ সময়।

গান নিয়ে কী করছেন এখন?

গান করছি। দেশের বাইরে বসে একটি নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। খুব শিগগির অরিজিনাল গান আসবে আমার ইউটিউব চ্যানেলসহ সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।
ভক্তদের উদ্দেশে পূজার শুভেচ্ছা দিয়ে বলেন, সবার আনন্দময় ও নিরাপদ পূজা কাটুক। সবার মঙ্গল হোক। পৃথিবীর মানুষ আরও একটু মানবিক হোক।

ছবি: অবন্তী সিঁথির সামাজিক মাধ্যম

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০: ১৭
বিজ্ঞাপন