চিরহরিৎ পল রাডের রূপরহস্য
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হলিউডে একটি কথা প্রচলিত আছে। পল রাডের নাকি কখনোই বয়স বাড়ে না! অনেকে তো তাঁকে অস্কার ওয়াইল্ডের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পিকচার অব ডোরিয়ান গ্রে’র কুখ্যাত চরিত্র ডোরিয়ান গ্রের সঙ্গে তুলনা করেন। কেউবা বলেন ভ্যাম্পায়ার। ‘ক্লুলেস’ ও ‘অ্যান্ট-ম্যান’খ্যাত এই অভিনেতাকে দেখে বোঝারই উপায় নেই যে তাঁর বয়স পঞ্চাশোর্ধ। মনে হয়, এই তো সবে ত্রিশের ঘরে পা রাখলেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিপলস ম্যাগাজিন তাঁকে ‘সেক্সিয়েস্ট ম্যান অ্যালাইভ’ সম্মানে ভূষিত করে। এর পর থেকেই বিশ্বের সবাই পল রাডের রূপরহস্য জানার জন্য বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আগ্রহীদের তালিকায় তাঁর সহকর্মীরাও রয়েছেন।

পল রাড নিজের রূপরহস্য নিয়ে কখনো রাখঢাক করেননি। তাঁকে দেখলে মনে হবে, সুস্থ–স্বাভাবিক–সুন্দর ত্বকের জন্য নিশ্চয় অনেক কিছু করেন। ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও তা নয়। শুধু তিনটি বিষয় মেনে চলেই তিনি তাঁর ত্বকের যৌবন ধরে রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

সানস্ক্রিন

একবার লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ইনস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পল বলেছিলেন, ‘আমি সানস্ক্রিনের ব্যাপারে অন্ধবিশ্বাসী। একটা সময় ছিল যখন রোদে দাঁড়িয়ে ইচ্ছা করেই ট্যান করতাম। এখন সেটা করার কথা চিন্তাও করতে পারি না। সত্যি বলতে, আমি ত্বকের বলিরেখা রোধের জন্য নয়, ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করি।’ সানস্ক্রিনের পাশাপাশি তিনি ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজারকেও গুরুত্ব দেন।

শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট

মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের বিখ্যাত সুপারহিরো ‘অ্যান্ট-ম্যান’–এর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজের শরীরকে নতুন করে গড়েছিলেন এই অভিনেতা। এ সময় জিমে বিশেষ ট্রেনিং করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতেন তিনি। সুপারহিরোর মতো শরীর পেতে তিনি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন অ্যালকোহল, শর্করা ও ভাজাপোড়া–জাতীয় খাবার। গত কয়েক বছরে তাঁর এই রুটিনে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

হাসিখুশি থাকা

হলিউডে বিচিত্র রসবোধের জন্যও বেশ বিখ্যাত এই অভিনেতা। পল রাড নিজে যেমন সব সময় হাসিখুশি থাকেন, তেমন তাঁর আশপাশের সবাইকেও মাতিয়ে রাখেন। সহকর্মী থেকে শুরু ভক্তানুরাগী—সবার সঙ্গেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি পরিবারের সঙ্গেও যথেষ্ট সময় দেন। সবাই তাঁকে ‘ফ্যামিলি ম্যান’ হিসেবে জানেন।

একটুখানি মেকআপ

২০১৯ সালে বিখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ড ববি ব্রাউনের ‘গেট রেডি উইথ মি’র টিউটোরিয়াল ভিডিও সিরিজে একবার অতিথি হয়ে এসেছিলেন এলিজাবেথ ওলসেন। সেখানে তিনি বলেন, তাঁকে চোখের নিচে কনসিলার আর গালে ব্লাশ লাগানো শিখিয়েছেন নাকি তাঁর সহকর্মী পল রাড। জানা গেছে, পল রাডও কনসিলার ও ব্লাশ ব্যবহার করেন। টানা কয়েক দিন খুব পরিশ্রমের কাজ করতে হলে বা রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো পল রাডের চোখের নিচে কালো দাগ বা আইব্যাগ পড়ে। এই সময় কোনো ইভেন্ট, প্রিমিয়ার বা প্রেস কনফারেন্স থাকলে নিজেকে চটজলদি ক্যামেরার জন্য রেডি করতেই তিনি কনসিলার ও ব্লাশ ব্যবহার করেন। তবে তা খুব সামান্য পরিমাণে।

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২২, ১০: ৩০
বিজ্ঞাপন