পপ রাজকুমারী টেলর সুইফট নব্বইয়ের দশকে না জন্মে প্রস্তরযুগে জন্মালে কিংবা বর্তমান সময়ের আরও ২০০ বছর পর জন্মালে কেমন হতেন দেখতে! আমরা সহজে কল্পনা করতে না পারলেও কাজটি অনায়াসেই করতে পারে এআই। অন্তর্জালে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘টেলর সুইফট ইন ডিফারেন্ট এরাস’ শিরোনামে একটি ভিডিও।
সেখানে গুহাবাসী থেকে শুরু করে সত্তরের দশকের, এমনকি ভবিষ্যতের কাল্পনিক সাইবোর্গ রূপেও দেখা যাচ্ছে মার্কিন এই পপ তারকাকে। উল্লেখ্য, সাইবোর্গ হলো মেশিন ও মানুষের সংমিশ্রণে তৈরি একটি প্রযুক্তি, যা মানুষ ও রোবটের চেয়েও শক্তিশালী।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে সিরিও বেরাতি নামের একজন সৃজনশীল উদ্যোক্তা টেলর সুইফটের ভিডিওটি তৈরি করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানবসভ্যতার বিবর্তনের বিভিন্ন যুগে প্রভাবশালী এই তারকার এলিগ্যান্ট সব লুক। ভিডিওতে নানা রূপে দেখা যায় তাঁকে। প্রস্তরযুগে বর্শা হাতে শিকারির লুক থেকে মধ্যযুগীয় ভিনটেজ লুকে দেখা যায় এই পপ আইকনকে। ২০২৪ সালের টেলর সুইফটকে দেখা যায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গগলস পরা।
সিরিও প্রস্তরযুগ থেকে শুরু করে উনিশ ও বিশ শতকের লুক, এমনকি ২২৩১ সালের টেলর সুইফটের লুক তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এআই টাইম মেশিন টেলরকে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ থেকে ২২০০ খ্রিষ্টাব্দে ঘুরিয়ে এনেছে।’
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পর রীতিমতো এটি ভাইরাল হয়ে যায়। এ পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ভিউ আর ১৮৩ হাজার লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে। মন্তব্যের ঘরে টেলরকে টাইমলেস বিউটি বলে আখ্যায়িত করেছেন অনুরাগীরা। অনেকেই এআইয়ের এমন চমকপ্রদ কাজকে প্রশংসা করেছেন।
যুগে যুগে মানুষের ফ্যাশন আর স্টাইলের যে পরিবর্তন, তা চমৎকারভাবে সিরিওর এই ভিডিওতে উঠে এসেছে। এআইয়ের নৈপুণ্যে সূক্ষ্ম সব ডিটেইলিং, যেমন বিভিন্ন যুগের রং, টেক্সচার আলাদা করা যাচ্ছে প্রতিটি ছবিতে। অর্থাৎ প্রতিটি যুগের আবহ চিত্রিত হয়েছে সফলভাবে।
বোনাফায়েড সুইফটি, অর্থাৎ টেলর সুইফটের ‘ডাই হার্ট ফ্যান’ না হলেও সিরিও টেলরের গান বেশ পছন্দ করেন। তাই নিজের শিল্পীসত্তা ও প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে টেলরের বিভিন্ন সময়ের লুক তৈরি করেছেন।
এআই নিয়ে কাজ করার কারণ হিসেবে সিরিও একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘এই পুরো প্রজেক্ট এআই দিয়ে করা। ব্যাপারটি খুবই চিত্তাকর্ষক যে একটি প্রযুক্তিমাধ্যম ব্যবহার করে ভবিষ্যতের গল্পও বলা যায়। অভিনব আরও অনেক কিছুই করা সম্ভব এই প্রযুক্তির সহয়তায়। শক্তিশালী এই মাধ্যম মানুষের সৃজনশীলতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
তথ্যসূত্র: নিউজউইক
ছবি: ইন্সটাগ্রামের ভিডিও থেকে