১. টেইলর সুইফটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের সাজানো-গোছানো ছোট্ট শহর রিডিংয়ে। সেখানে তিনি বড় হয়েছেন ১৫ একরের একটি ক্রিসমাস ট্রি ফার্মে। ২০১৯ সালে তিনি ' ক্রিসমাস ট্রি ফার্ম' নামের একটি ক্রিসমাসের গান বের করেন, যার মিউজিক ভিডিওতে তিনি নিজের ছোটবেলার ভিডিও ক্লিপগুলো ব্যবহার করেছেন।
২. তাঁর বাবা মার প্রিয় সংগীতশিল্পী হলেন ৭০ দশকের বিখ্যাত জেমস টেইলর। তাই তাঁর নামে নিজেদের মেয়ের নাম রেখেছেন তাঁরা।
৩. তাঁর একমাত্র আদরের ছোট ভাই আমেরিকান অভিনেতা অস্টিন সুইফট। অস্টিনের অভিনীত মুভির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, লাইভ বাই নাইট, আইটি, উই সামন ডার্কনেস। এ ছাড়া তিনি টেইলরের বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন এবং প্রযোজনাও করেছেন
৪. টেইলরের মা চাইতেন তিনি যেন বড় হয়ে ঘোড়সওয়ারীকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত অনেক হর্সব্যাক রাইডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। টেইলর ঘোড়ার পিঠে চড়তে পছন্দ করলেও তাঁর মায়ের মতো ভালোবাসতেন না। তাই রাইডিং ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়ে তিনি লেখালেখির প্রতি মনোনিবেশ করেন।
৫. মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি 'এ গার্ল নেমড গার্ল' নামের একটি উপন্যাস লিখেন।
৬. একজন শিল্পী হিসেবে টেইলর সুইফটের অন্যতম শক্তি হলো হৃদয়গ্রাহী গান লেখার ক্ষমতা । তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম 'স্পিক নাও'-এর সব কয়টি গান তিনি নিজে লিখেছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, টেইলর গান লিখেছেন অন্যান্য শিল্পীদের জন্যও। এর মধ্যে আছে বিখ্যাত 'ইউ উইল অলওয়েজ ফাইন্ড ইওর ওয়ে ব্যাক হোম' (হান্নাহ মনটানা: দ্যা মুভি; গেয়েছেন মাইলি সাইরাস) ar দিস ইজ হোয়াট ইউ কেম ফর (কেলভিন হ্যারিস ফিচারিং রিয়ানা)।
৭. ২০২৪-এ যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের শহর গ্লেনডেলে শুরু হয় ইরাস ট্যুর কনসার্ট। তাঁর সম্মানার্থে শহরটির মেয়র ঐ দুইদিনের জন্য শহরের নাম পরিবর্তন করে 'সুইফট সিটি' রাখেন।
৮. সঙ্গীত বিশ্বে টেইলরের প্রভাব এত বেশি ,যে বিশ্বের কিছু বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর গান নিয়ে আলাদা কোর্স খোলা হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হলো স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাইস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে কলেজ অফ মিউজিক।
৯. এরাস ট্যুরের অংশ হিসেবে সিয়াটলে অনুষ্ঠিত কনসার্টে হাজির হয়েছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ভক্ত। ভক্তদের চাপ ও সাউন্ড সিস্টেমের জন্য এই শহরে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুইফট কোয়্যাক’। মার্কিন মুলুকে কোনো কনসার্টের জন্য ভূমিকম্প সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
১০. টেইলর কিন্তু বেশ কয়েকটি মুভিতে অভিনয়ও করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হান্নাহ মনটানা: দ্যা মুভি, ভ্যালেন্টাইন'স ডে, দ্যা লোরাক্স, দ্যা গিভার, ক্যাটস, , অ্যামস্টারডাম। এছাড়া টিভি সিরিজ সিএসআই: ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন-এর একটি এপিসোডে তাঁকে দেখা গেছে।
১১. টেইলরের সবচেয়ে পছন্দের টিভি শো 'ফ্রেন্ডস'। কনসার্ট শেষে ঘরে ফিরে ক্লান্ত শরীরে এই টিভি শোটি দেখে আরাম করেন।
১২. টাইম ম্যাগাজিনের বিশেষ 'পারসন অফ দ্যা ইয়ার' কভারে টেইলরের সঙ্গে দেখা যায় একটি বিড়ালকে। এটি তাঁর পোষা বিড়াল। তাঁর আরও দুইটি পোষা বিড়াল আছে। টেইলর খুব শখ করে ওদের তিনজনের নাম রেখেছেন মুভি ও টিভি সিরিজের বিখ্যাত তিন চরিত্রের নামে। সেগুলো হলো, অলিভিয়া বেনসন (ল এন্ড অর্ডার: স্পেশাল ভিক্টিমস ইউনিট), মেরেডিথ গ্রে ( গ্রে'স অ্যানাটমি) ও বেঞ্জামিন বাটন (কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন)।
ছবি: এএফপি, উইকিমিডিয়া কমন্স ও টেইলর সুইফটের ইন্সটাগ্রাম