ক্রিকেটের মহাতারকা শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা সারা টেন্ডুলকার বরাবরই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে ক্রিকেট নয়—নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছেন তিনি ফ্যাশন, মডেলিং ও সমাজসেবার মঞ্চে। এবার তাঁর সেই পরিচয় পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে বেছে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ট্যুরিজমের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন শচীনকন্য।
ট্যুরিজম অস্ট্রেলিয়ার ‘কাম অ্যান্ড সে জি’ডে ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে তাঁকে এই নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই আন্তর্জাতিক পর্যটন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায় তাদের অ্যাডভেঞ্চার, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা দিক । তরুণ পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই অস্ট্রেলিয়া এবার ভরসা রেখেছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সারার ওপর।
ইনস্টাগ্রামে সারার অনুসারীর সংখ্যা মিলিয়নের ঘরে। লাইফস্টাইল, ফ্যাশন ও ট্রাভেল—সব কিছুতেই নিজের স্বতন্ত্র স্টাইল ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নজর কাড়েন সারা। ফলে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নেওয়াটা ট্যুরিজম অস্ট্রেলিয়ার জন্যও সুফল বয়ে আনবে।
জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়তাই সারাকে এই ক্যাম্পেইনে নিযুক্ত করার অন্যতম কারণ। সারাও এই প্রজেক্টে যুক্ত হতে পেরে দারুণ খুশি। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছিলাম, তখন থেকেই এই দেশের সঙ্গে আমার এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই এই অভিযানের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’
সারাকে ঘিরে এই ক্যাম্পেইন চলবে টেলিভিশন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়ার নানা মাধ্যমে। ক্যাম্পেইনের ভিডিওতে দেখা যাবে সারাকে, যিনি অস্ট্রেলিয়ার দর্শনীয় স্থান, সংস্কৃতি ও অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে এক রঙিন সফরে যাচ্ছেন। তরুণদের মধ্যে তাঁর প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সারাই সেরা।
সারাকে ক্যাম্পেইনে যুক্ত করার পেছনে আরেকটি মজার দিক হলো—অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তারকা ম্যাথু হেডেনের কন্যা গ্রেস হেডেনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। দুই কিংবদন্তির কন্যার এই বন্ধনও গুরুত্ব পেয়েছে নির্বাচনের ক্ষেত্রে। সারা টেন্ডুলকার ছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে আছেন একঝাঁক আন্তর্জাতিক তারকা—রবার্ট ইরউইন, নাইজেলা লসন, ইয়শ ইউ এবং আবারেরু কুনের মতো পরিচিত মুখ। অস্ট্রেলিয়া যে বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করে, এই নির্বাচন তা-ই বলে দেয়। অস্ট্রেলিয়া সরকার মনে করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সারার প্রভাব ও তরুণদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ এই পর্যটন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: এনডি টিভি
ছবি: ইন্সটাগ্রাম