ইতিবাচক মনোভাবই কামিলা কাবেইয়োর সৌন্দর্যের রহস্য
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও আলোচিত সংগীতশিল্পী কামিলা কাবেইয়ো। তাঁর গানে মাতোয়ারা এ প্রজন্মের তরুণ সম্প্রদায়। গানের মতো কামিলার ব্যক্তিগত জীবনও ভক্তদের আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে সৌন্দর্য ও ফিটনেসের রহস্য জানার জন্য তাঁদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। কামিলা আবার এসব নিয়ে কোনো লুকোচুরি করেন না। বিভিন্ন সময় করা ইন্টারভিউয়ে নিজের ফিটনেস ও ত্বকের যত্নে তিনি কী করেন, তা নিয়ে কথা বলেছেন।


প্রথমেই আসা যাক কামিলার ফিটনেসের কথায়। তিনি তাঁর ডায়েটকে বেশ গুরুত্ব দেন। তিনি সচেতনভাবেই কার্বোহাড্রেট–জাতীয় খাবার এড়িয়ে যান। এর পরিবর্তে ওটমিল, মিষ্টি আলু ও কিনোয়া দিয়ে তিনি সকালের নাশতা সারেন। দুপুরে তিনি সবুজ শাকসবজি ও ফল খেয়ে থাকেন। সঙ্গে থাকে সবজি বা মুরগির স্যুপ। কামিলা চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। আর ডিম, মুরগি ও টার্কি তাঁর ডায়েটে প্রোটিনের উৎস নিশ্চিত করে। তিনি অতিরিক্ত তেলজাতীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকেন। তিনি মাঝেমধ্যে নিয়মের বাইরে গিয়ে পছন্দের খাবার খেয়ে নেন। তবে সবকিছুই সীমিত পরিমাণে। এই সীমিতকরণের কারণেই ভালো আছেন বলে মনে করেন কামিলা।

বিজ্ঞাপন

ফিটনেস ধরে রাখতে শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই সচেতন হলে চলবে না, শরীরচর্চাও করতে হবে। এ জন্য কামিলা নিয়মিত ভারোত্তলন ও শরীরচর্চা করেন। সপ্তাহে নিয়মিত চার দিন প্রায় এক ঘণ্টা জিমে সময় কাটান। শরীর ঠিক রাখতে তিনি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলেন এবং জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন, তার প্রমাণ আছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেই। জানা গেছে, কামিলার বিখ্যাত দুজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকও আছেন, যাঁরা তাঁর শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করেন। জনপ্রিয় গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি সমাজসেবকও বটে। এটি তাঁকে সুখী এবং সুস্থ রাখে।


প্রতিদিন ত্বকের যত্নে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখেন কামিলা। বাড়িতে ফিরেই তাঁর প্রথম কাজ হলো ক্লিনজার দিয়ে ভালো করে মেকআপ তুলে ফেলা এবং প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বককে কোমল ও সুন্দর রাখা। এর পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তিনি শসার রস ব্যবহার করেন। ফ্রিজে আইস কিউব করে রাখেন তিনি। কারণ, শসায় পানি থাকায় এটি ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে। তাই তিনি এর ওপর ভরসা করেন। রাতে ঘুমানোর আগে ফেসটোনার ও তুলা দিয়ে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে ভোলেন না। এ ছাড়া কামিলা প্রচুর পানি, ফল এবং ফলের রস নিয়মিত খেয়ে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

কামিলা প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেকআপ করতে পছন্দ করেন না। তাই খুব হালকা কিংবা ন্যাচারাল লুকেই তাঁকে বেশি দেখা যায়।
সুহাসিনী এ শিল্পী সব সময় নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখেন। তিনি প্রাণখুলে হাসতে ভালোবাসেন। কারণ, হাসলে নিজের মন যেমন ভালো থাকে; তেমনই দুশ্চিন্তার কথাও ভুলে থাকা যায়। পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সতেজ হয়ে ওঠে। তাই মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যায়। এ জন্য সব আচার-অনুষ্ঠানেই কামিলার সুন্দর হাসিমুখের দেখা মেলে। কামিলা তাঁর জনহিতৈষীমূলক কাজের জন্যও বেশ সুপরিচিত।

সব সময় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন তিনি। ২০১৬ সালে কামিলা ঘোষণা দেন যে তিনি সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন সীমিত সংস্করণের একটি ‘লাভ অনলি’ টি-শার্টের ডিজাইনের জন্য। মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে সমানাধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সাফল্যের সুযোগ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তাঁর এই মহৎ উদ্যোগ। সে বছর কামিলার সঙ্গে প্রযোজক বেনি ব্লাংকো এবং অলাভজনক আর্ট সংস্থা ওএমজি এভরিহোয়ারের সদস্যরা মিলে পাওয়ার ইন মি চ্যারিটি তৈরিতে সাহায্য করেন। তা ছাড়া কামিলার চিলড্রেন’স হেলথ ফান্ডের সঙ্গেও অংশীদারত্ব রয়েছে, যেটি একটি অলাভজনক সংস্থা এবং স্বল্প আয়ের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৪: ০০
বিজ্ঞাপন