আলোচিত গাউনটি তৈরি করেছিলেন ভারতের জনপ্রিয় ডিজাইনার গৌরব গুপ্ত। কিন্তু কানের নতুন ‘ড্রেস কোড’ নীতির জন্য শেষ মুহূর্তে পোশাকটি বদলাতে হয় হলিউড তারকা হ্যালি বেরিকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানায়, উৎসব কর্তৃপক্ষের পোশাক নিয়ে নতুন নির্দেশনার কারণে বেরিকে শেষ মুহূর্তে তার সাজে পরিবর্তন আনতে হয়।
হ্যালির জন্য গৌরব গুপ্তর বিশেষভাবে তৈরি করা গাউনটি ছিল একটি ভলিউমিনাস কাস্টম গাউন। অর্থাৎ দীর্ঘ ট্রেন, ড্রামাটিক শোল্ডার ও ফ্লেয়ারযুক্ত গাউনটি কানের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নিষিদ্ধ হওয়ায় পোশাকটি বাতিল করতে বাধ্য হন হ্যালি। বিষয়টি নিয়ে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে খোলামেলা কথা বলার পর তা আলোচনায় উঠে আসে।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন গৌরব গুপ্ত, তিনি বলেন, যদিও নতুন নিয়মের কারণে লম্বা ট্রেনযুক্ত গাউনটি পরা সম্ভব হয়নি হ্যালির। আমরা এক সঙ্গে যে ভাবনা ও সৃজনশীলতা গড়ে তুলেছিলাম, তা নিয়ে আমরা গর্বিত। সত্যিকারের কতুর-এর জন্য সবসময় মঞ্চের প্রয়োজন হয় না। কখনও কখনও কেবল আন্তরিক ভাবনাই একটি পোশাককে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটা হতাশার হলেও, আমি বুঝতে পেরেছি কেন হ্যালি বেরি পোশাকটি পরতে পারেনি। কান-এর রেড কার্পেটেও এখন নিয়মের শাসন চলছে। আমি বলতে চাই এটি এক ধরনের শিল্প-রাজনৈতিক বাস্তবতা, যেখানে ফ্যাশনও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ‘কনজারভেটিভ নীতিমালার’ মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্লেষকদের মতে হ্যালি বেরির মতো একজন প্রভাবশালী তারকাকে যখন নিজের রেড কার্পেটর পোশাক শেষ মুহূর্তে বদলাতে হয়। তখন তা কেবল ফ্যাশন নয়, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বকীয়তা প্রকাশকেও বাধা দেয়। অনেকেই মনে করছেন, কান চলচ্চিত্র উৎসবে পোশাক নিয়ে এমন বাধাধরা নিয়মে শিল্পী ও ডিজাইনারদের সৃজনশীলতাকে সীমিত করে দিতে পারে।
গৌরব গুপ্তর কতুরের পরিবর্তে হ্যালি বেরি ফ্রেঞ্চ ডিজাইনার লেবেল জ্যাকুমুস এর বেরলাগু ড্রেসে হাজার হন কানের রেড কার্পেটে।