পূজার আনন্দ, গান আর স্মৃতিচারণায় ঋতুরাজ বৈদ্য
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এবারের পূজা নিয়ে নিজের কথা বলেছেন নতুন প্রজন্মের গায়ক ঋতুরাজ বৈদ্য। উঠে এসেছে তাঁর স্মৃতি, গান আর পরিকল্পনার কথা।

বিজ্ঞাপন

নতুন প্রজন্মের গায়ক ঋতুরাজ বৈদ্য। কোক স্টুডিও বাংলায় ‘বুলবুলি’ গান দিয়ে আলোচনায় এলেও, ছেলেবেলা থেকেই তাঁর সংগীতচর্চা শুরু। তখন থেকেই শাস্ত্রীয়সংগীতের তালিম। এবারের পূজাকে ঘিরে হাল ফ্যাশনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর স্মৃতি, গান আর পরিকল্পনা।

ছবি: শিল্পীর সামাজিক মাধ্যম

বিজ্ঞাপন

নাদিয়া ইসলাম: ছেলেবেলার পূজা আর এখনকার পূজার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

ঋতুরাজের কাছে ছেলেবেলার পূজার আবেদন অন্যরকম
ঋতুরাজের কাছে ছেলেবেলার পূজার আবেদন অন্যরকম

ঋতুরাজ: ছোটবেলার পূজা ছিল অন্য রকম। পরিবারের সবাই একসঙ্গে মিলিত হতো, আনন্দ ভাগাভাগি হতো। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। একসঙ্গে সময় কাটানো কমে গেছে। তাই পূজার আনন্দের সেই স্বতঃস্ফূর্ত আমেজটা এখন আর আগের মতো নেই।

নাদিয়া ইসলাম: পূজার আয়োজন বাড়িতে কেমন হতো?

ঋতুরাজের বাড়িতে পূজা মানেই নানা পদের রান্না
ঋতুরাজের বাড়িতে পূজা মানেই নানা পদের রান্না

ঋতুরাজ: আমাদের বাড়িতে পূজা মানেই নানা পদের রান্না। মিষ্টি, লাবড়া, মাংস, লুচি, পোলাও সবই হতো। এখনো মা পূজার দিন রান্না করেন। আসলে ঈদ হোক বা পূজা, মা সব সময় রান্নায় ব্যস্ত থাকেন। আমার জন্মদিন আর পূজা প্রায় কাছাকাছি সময়ে হয়, তাই মা বন্ধুদেরও এই সময়ে দাওয়াত করেন। পূজা আর জন্মদিন মিলে বেশ একটা উদ্‌যাপন হয়ে যায়।

নাদিয়া ইসলাম: ছোটবেলায় পূজার পোশাক?

ঋতুরাজ: বিশেষ কোনো পোশাক পরার তেমন নিয়ম ছিল না। নতুন জামা পেলেই খুশি হতাম। খুব ছোটবেলায় একবার মা ধুতি পরিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা পরতে ভীষণ ঝক্কি হয়েছিল। এখন তো ইলাস্টিক দিয়ে আধুনিক ধুতি পাওয়া যায়, তখন হলে হয়তো সহজেই পরা যেত। এখন সাধারণত পূজায় পাঞ্জাবি-পাজামাই পরি। তবে খুব ভিড়ের মধ্যে যাই না।

এবারের পূজার তেমন কোন উপহার পাননি ঋতুরাজ
এবারের পূজার তেমন কোন উপহার পাননি ঋতুরাজ

হাল ফ্যাশন: এবারের পূজায় উপহার কী পেলেন?

ঋতুরাজ: এখনো তেমন কোনো উপহার পাইনি, আবার কাউকে দিতেও পারিনি। তবে আশা করছি শিগগিরই কিছু পাওয়া যাবে।

নাদিয়া ইসলাম: মায়ের কোন রান্নাটা পূজায় প্রিয়?

ঋতুরাজ: মা অসাধারণ রান্না করেন। তবে পূজার সময় মায়ের বানানো লুচি আর মিষ্টি বুটের ডালই আমার সবচেয়ে প্রিয়। এটাকে বলব আমাদের পূজার সিগনেচার ডিশ। মায়ের রান্নায় যে ভালোবাসা মিশে থাকে, সেটাই আসল স্বাদ।

নাদিয়া ইসলাম: গান নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?

ঋতুরাজ: ছয়টা নতুন গানের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। একে একে রিলিজ হবে। পূজায় পয়লা অক্টোবর, নবমীর দিন শিল্পকলা একাডেমিতে আমার শো আছে। আমি আর সিঁথি সাহা গান করব। আশা করি সবাই আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।

নাদিয়া ইসলাম: পূজার শুভেচ্ছা

ঋতুরাজ: পূজা আমাদের একসঙ্গে থাকার উৎসব। সব রাগ, অভিমান, কষ্ট ভুলে মিলেমিশে আনন্দ করার সময়। আমি চাই আমরা সবাই একসঙ্গে সুন্দরভাবে উদ্‌যাপন করি। সবাইকে জানাই পূজার অনেক শুভেচ্ছা।

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪: ২৭
বিজ্ঞাপন